মহিউদ্দিন আহমেদ |
বিশেষ প্রতিনিধি
সমবায় ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বর্ণ নিরাপদ থাকার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সোনা বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ২০২০ সালে এই জালিয়াতি কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসে, যার ফলে দুই হাজারেরও বেশি গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জালিয়াতির ধরন থেকে তদন্তে হস্তক্ষেপ এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে রক্ষা করার পেছনে একটি গভীর দুর্নীতির জাল রয়েছে। নতুন তদন্তে এই ঘটনা আবারও সামনে আসায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সাধারণ গ্রাহকরা সমবায় ব্যাংকে সোনা জমা রেখে ঋণ নিয়ে থাকেন। ২০২০ সালে এই সোনা অবৈধভাবে বিক্রি করে দেন ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ। নথিপত্র বলছে, মোট ৭,৩৯৮ ভরি সোনা বিক্রি করা হয়, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এই ঘটনার শিকার হন ২,৩১৬ জন গ্রাহক।
মহিউদ্দিন আহমেদ, যিনি যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং পরবর্তীতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (দক্ষিণ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন, ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে থাকা অবস্থায় এই জালিয়াতি করেন। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অধীনে পরিচালিত সমবায় ব্যাংক থেকে সোনা চুরি ও বিক্রির ঘটনা তদন্ত করতে গেলে, মহিউদ্দিন তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটিয়ে তা থামিয়ে দেন। দুদকও (দুর্নীতি দমন কমিশন) ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলায় মহিউদ্দিনকে প্রধান আসামি করা হলেও, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তার নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফ সমবায় ব্যাংকের সোনা গায়েব হওয়ার কথা উল্লেখ করার পর, বিষয়টি আবারো আলোচনায় উঠে আসে। এই ঘটনার পর গ্রাহকরা ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে তাদের সোনা দেখানোর দাবি করেন।
সমবায় ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক আহসানুল গনি জানান, ২০২০ সালে সোনা বিক্রির সময় অনিয়ম হয়েছিল এবং দুদকের প্রতিবেদনে এ বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।
মামলার তদন্তে জানা যায়, ২০২০ সালে মতিঝিলের প্রধান কার্যালয়ে ৩৩৫টি গ্রাহক আবেদন যাচাই করা হয়, যার মধ্যে ৩৩৫টি আবেদনের জাতীয় পরিচয়পত্র জাল বলে প্রমাণিত হয়। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৭,৩৯৮ ভরি সোনা বিক্রি করে প্রায় ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
সমবায় ব্যাংকে সোনা কেলেঙ্কারির এই ঘটনা একটি গভীর নৈতিক সংকটকে সামনে এনেছে, যা তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের সুরক্ষা ও দুর্নীতি চালিয়ে যাওয়ার প্রবণতাকে তুলে ধরেছে। যদিও বিষয়টি দীর্ঘদিন চাপা পড়ে ছিল, নতুন সরকার এবং সংস্থাগুলোর প্রচেষ্টায় তা আবার সামনে এসেছে। যেসব গ্রাহক এই জালিয়াতির শিকার হয়েছেন, তারা ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় আছেন।
সমবায় ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বর্ণ নিরাপদ থাকার প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সোনা বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ২০২০ সালে এই জালিয়াতি কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসে, যার ফলে দুই হাজারেরও বেশি গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। জালিয়াতির ধরন থেকে তদন্তে হস্তক্ষেপ এবং রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজেকে রক্ষা করার পেছনে একটি গভীর দুর্নীতির জাল রয়েছে। নতুন তদন্তে এই ঘটনা আবারও সামনে আসায় ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
সাধারণ গ্রাহকরা সমবায় ব্যাংকে সোনা জমা রেখে ঋণ নিয়ে থাকেন। ২০২০ সালে এই সোনা অবৈধভাবে বিক্রি করে দেন ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ। নথিপত্র বলছে, মোট ৭,৩৯৮ ভরি সোনা বিক্রি করা হয়, যার বর্তমান বাজারমূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এই ঘটনার শিকার হন ২,৩১৬ জন গ্রাহক।
মহিউদ্দিন আহমেদ, যিনি যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং পরবর্তীতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (দক্ষিণ) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন, ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে থাকা অবস্থায় এই জালিয়াতি করেন। বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের অধীনে পরিচালিত সমবায় ব্যাংক থেকে সোনা চুরি ও বিক্রির ঘটনা তদন্ত করতে গেলে, মহিউদ্দিন তদন্ত প্রক্রিয়ায় প্রভাব খাটিয়ে তা থামিয়ে দেন। দুদকও (দুর্নীতি দমন কমিশন) ২০২১ সালে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলায় মহিউদ্দিনকে প্রধান আসামি করা হলেও, রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তার নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা হাসান আরিফ সমবায় ব্যাংকের সোনা গায়েব হওয়ার কথা উল্লেখ করার পর, বিষয়টি আবারো আলোচনায় উঠে আসে। এই ঘটনার পর গ্রাহকরা ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে তাদের সোনা দেখানোর দাবি করেন।
সমবায় ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক আহসানুল গনি জানান, ২০২০ সালে সোনা বিক্রির সময় অনিয়ম হয়েছিল এবং দুদকের প্রতিবেদনে এ বিষয়টি স্পষ্ট করা হয়েছে।
জালিয়াতির প্রক্রিয়া
সমবায় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংক না হলেও, এখানে সোনা বন্ধক রেখে ঋণ পাওয়া যায়। নিলামের মাধ্যমে সোনা বিক্রির নিয়ম থাকলেও, মহিউদ্দিন আহমেদ সেগুলো ভুয়া মালিক সাজিয়ে বিক্রি করে দেন। জাল জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে তিনি এই প্রতারণা করেন। তাকে সহায়তা করেন তার ভাগ্নে নুর মোহাম্মদ, যিনি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে কাজ করতেন।মামলার তদন্তে জানা যায়, ২০২০ সালে মতিঝিলের প্রধান কার্যালয়ে ৩৩৫টি গ্রাহক আবেদন যাচাই করা হয়, যার মধ্যে ৩৩৫টি আবেদনের জাতীয় পরিচয়পত্র জাল বলে প্রমাণিত হয়। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ৭,৩৯৮ ভরি সোনা বিক্রি করে প্রায় ১১ কোটি ৪০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
মহিউদ্দিনের আরও দুর্নীতি
মহিউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে আরও অনেক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জে ১০ তলা একটি বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণে ৩১ কোটি টাকার অনুমোদিত ব্যয়ের চেয়ে ৫ কোটি টাকা বেশি ব্যয় করেন তিনি। তাছাড়া, ব্যাংকের বিভিন্ন নিয়োগে তার পক্ষপাতিত্ব ছিল স্পষ্ট। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থেকে তার স্বজনদের নিয়োগ দেওয়া হয়।সমবায় ব্যাংকে সোনা কেলেঙ্কারির এই ঘটনা একটি গভীর নৈতিক সংকটকে সামনে এনেছে, যা তৎকালীন ক্ষমতাসীনদের প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের সুরক্ষা ও দুর্নীতি চালিয়ে যাওয়ার প্রবণতাকে তুলে ধরেছে। যদিও বিষয়টি দীর্ঘদিন চাপা পড়ে ছিল, নতুন সরকার এবং সংস্থাগুলোর প্রচেষ্টায় তা আবার সামনে এসেছে। যেসব গ্রাহক এই জালিয়াতির শিকার হয়েছেন, তারা ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় আছেন।
মন্তব্য করুন: