রাহিম সরকার
গাজীপুর
বাংলাদেশের পোশাক খাতের শ্রমিক অসন্তোষের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে গাজীপুরে, যেখানে কর্মসংস্থান সংকট ও শ্রমিক ছাঁটাই নিয়ে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। আজ ২ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া শ্রমিক আন্দোলন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে হাজারো মানুষকে অবরুদ্ধ করে। বিশেষত পুরুষ শ্রমিকরা অভিযোগ করছেন, কারখানাগুলোতে গোপনে নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হলেও, তাদের চাকরির সুযোগ একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। এই অভিযোগে ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের বিক্ষোভের ফলে ১০টি কারখানায় অস্থায়ী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, যা দেশের অন্যতম প্রধান শিল্পাঞ্চলে উত্তেজনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
গাজীপুরে আজ বুধবার (০২ অক্টোবর ২০২৪) সকালে চাকরিতে পুনর্বহাল ও নতুন নিয়োগের দাবিতে শত শত শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধ করে। সকাল ৮:৩০ থেকে বিক্ষোভ শুরু হয় নগরের ভোগরা চৌধুরীবাড়ি এলাকায়, যেখানে শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক আটকে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। দীর্ঘক্ষণ এ অবরোধ চলার ফলে সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আগেই কর্তৃপক্ষ অন্তত ১০টি কারখানায় অস্থায়ী ছুটি ঘোষণা করে শ্রমিকদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, বেশিরভাগ কারখানায় নতুন শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানানো হলেও, গোপনে শুধুমাত্র নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। পুরুষ শ্রমিকরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দাবি করেন, দীর্ঘ চার মাস ধরে তারা বেকার রয়েছেন। পুরুষ শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া বন্ধ রাখার কারণে তারা চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত।
এই বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে গাজীপুরের বেশ কিছু কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়, যার মধ্যে বেলমন্ড, টেকনো ফাইভার লিমিটেড, ইন্টারলিং, ইউরোমিক ট্যাক্স লিমিটেড, রুয়া ফ্যাশনসহ মোট ১০টি কারখানার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ছুটি ঘোষণার পর কিছু শ্রমিক বিক্ষোভ ছেড়ে বাসায় ফিরে গেলেও, অনেকেই আন্দোলনে যোগ দেন এবং শ্রমিকদের যোগদানের আহ্বান জানাতে কারখানার ফটকের সামনে অবস্থান নেন।
শ্রমিকদের দাবি, অনেক কারখানা পুরুষ শ্রমিকদের নিয়োগের পরিবর্তে নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দিয়ে যাচ্ছিলো এবং পুরুষ শ্রমিকরা এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানাচ্ছিলেন। বেকারত্বের এই সংকট শ্রমিকদের জীবিকা ও পরিবারের ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে, ফলে তারা নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।
পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি মেনে নেওয়ার চেষ্টা চলছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ নাগরিক সমাজের কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন বলেন, গাজীপুরের এই শ্রমিক আন্দোলন নতুন করে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বেকারত্ব, শ্রমিক নিয়োগের বৈষম্য, এবং বেতন নিয়ে অস্থিরতা একটি বৃহত্তর অর্থনৈতিক সমস্যার অংশ হয়ে উঠেছে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি এবং কর্মসংস্থানের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা না করা হয়, তাহলে এ ধরনের আন্দোলন ভবিষ্যতে আরও বড় আকার নিতে পারে, যা দেশের অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
গাজীপুর
বাংলাদেশের পোশাক খাতের শ্রমিক অসন্তোষের নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে গাজীপুরে, যেখানে কর্মসংস্থান সংকট ও শ্রমিক ছাঁটাই নিয়ে উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। আজ ২ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার সকাল থেকে শুরু হওয়া শ্রমিক আন্দোলন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে হাজারো মানুষকে অবরুদ্ধ করে। বিশেষত পুরুষ শ্রমিকরা অভিযোগ করছেন, কারখানাগুলোতে গোপনে নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হলেও, তাদের চাকরির সুযোগ একপ্রকার বন্ধ হয়ে গেছে। এই অভিযোগে ক্ষুব্ধ শ্রমিকদের বিক্ষোভের ফলে ১০টি কারখানায় অস্থায়ী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে, যা দেশের অন্যতম প্রধান শিল্পাঞ্চলে উত্তেজনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
গাজীপুরে আজ বুধবার (০২ অক্টোবর ২০২৪) সকালে চাকরিতে পুনর্বহাল ও নতুন নিয়োগের দাবিতে শত শত শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধ করে। সকাল ৮:৩০ থেকে বিক্ষোভ শুরু হয় নগরের ভোগরা চৌধুরীবাড়ি এলাকায়, যেখানে শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক আটকে যান চলাচল বন্ধ করে দেন। দীর্ঘক্ষণ এ অবরোধ চলার ফলে সাধারণ যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ার আগেই কর্তৃপক্ষ অন্তত ১০টি কারখানায় অস্থায়ী ছুটি ঘোষণা করে শ্রমিকদের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা অভিযোগ করেন, বেশিরভাগ কারখানায় নতুন শ্রমিক নিয়োগ বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানানো হলেও, গোপনে শুধুমাত্র নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। পুরুষ শ্রমিকরা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দাবি করেন, দীর্ঘ চার মাস ধরে তারা বেকার রয়েছেন। পুরুষ শ্রমিকদের নিয়োগ দেওয়া বন্ধ রাখার কারণে তারা চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত।
এই বিক্ষোভের প্রেক্ষিতে গাজীপুরের বেশ কিছু কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়, যার মধ্যে বেলমন্ড, টেকনো ফাইভার লিমিটেড, ইন্টারলিং, ইউরোমিক ট্যাক্স লিমিটেড, রুয়া ফ্যাশনসহ মোট ১০টি কারখানার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ছুটি ঘোষণার পর কিছু শ্রমিক বিক্ষোভ ছেড়ে বাসায় ফিরে গেলেও, অনেকেই আন্দোলনে যোগ দেন এবং শ্রমিকদের যোগদানের আহ্বান জানাতে কারখানার ফটকের সামনে অবস্থান নেন।
শ্রমিকদের দাবি, অনেক কারখানা পুরুষ শ্রমিকদের নিয়োগের পরিবর্তে নারী শ্রমিকদের নিয়োগ দিয়ে যাচ্ছিলো এবং পুরুষ শ্রমিকরা এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জানাচ্ছিলেন। বেকারত্বের এই সংকট শ্রমিকদের জীবিকা ও পরিবারের ওপর গভীর প্রভাব ফেলছে, ফলে তারা নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছেন।
পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি মেনে নেওয়ার চেষ্টা চলছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শ্রমিকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। শিল্প পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ নাগরিক সমাজের কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন বলেন, গাজীপুরের এই শ্রমিক আন্দোলন নতুন করে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বেকারত্ব, শ্রমিক নিয়োগের বৈষম্য, এবং বেতন নিয়ে অস্থিরতা একটি বৃহত্তর অর্থনৈতিক সমস্যার অংশ হয়ে উঠেছে। সরকারের পক্ষ থেকে যদি শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি এবং কর্মসংস্থানের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা না করা হয়, তাহলে এ ধরনের আন্দোলন ভবিষ্যতে আরও বড় আকার নিতে পারে, যা দেশের অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
মন্তব্য করুন: