![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEjHqUwP_uTNLclQa9LxymiesuZHNMlg1by_awa-3_69OeA9UnmuO9Kv2hdhyWr786bHd4WK-IuYrpu4CVIgprRt6e150jp7gpwtpB5_q-fvUPTqLFeglf0sjNa87hey8hKXOOoGbQIBDhcYV1ogGxql6pFIHnhtnieL_o-PJIx7UulErdEinUItWzdr/s16000/gazipur-news.jpg)
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার (এমপি)-এর ১৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী রবিবার (৭ মে)। এ উপলক্ষে টঙ্গী ও তার নিজ গ্রাম গাজীপুরের পূবাইলের হায়দরাবাদে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে দলীয় কার্যালয়ে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত 'শোক পতাকা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, দলীয় নেতাকর্মীদের কালো ব্যাচ ধারণ, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, রবিবার টঙ্গীর নোয়াগাঁও এমএ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের এই সংসদ সদস্য টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম.এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বর্তমানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আমার বাবার খুনিদের বিচার চাই। যারা আমার বাবাকে দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে আমাকে পিতৃহারা করল, তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি। যার পিতা-মাতা নেই তারাই শুধু বোঝে পিতা মাতার শূন্যতা। পিতা মাতার অভাব অপূরণীয়।
আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক, রাজনীতিবিদ ও শ্রমিক নেতা। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-২ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য।
স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা আহসান উল্লাহ মাস্টার (এমপি)-এর ১৯তম শাহাদাৎ বার্ষিকী রবিবার (৭ মে)। এ উপলক্ষে টঙ্গী ও তার নিজ গ্রাম গাজীপুরের পূবাইলের হায়দরাবাদে টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে দলীয় কার্যালয়ে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত 'শোক পতাকা জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, দলীয় নেতাকর্মীদের কালো ব্যাচ ধারণ, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ ও দুঃস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ, রবিবার টঙ্গীর নোয়াগাঁও এমএ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের এই সংসদ সদস্য টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম.এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন।
শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টারের বড় ছেলে জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বর্তমানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘আমার বাবার খুনিদের বিচার চাই। যারা আমার বাবাকে দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে আমাকে পিতৃহারা করল, তাদের ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি। যার পিতা-মাতা নেই তারাই শুধু বোঝে পিতা মাতার শূন্যতা। পিতা মাতার অভাব অপূরণীয়।
আহসান উল্লাহ মাস্টার ছিলেন একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক, রাজনীতিবিদ ও শ্রমিক নেতা। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে সপ্তম ও অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-২ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য।
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgLZwAWLLTVFQ4UsuD0fbvk5Fu7G62XqHK6L_2tzR3cseG894S4i55FVL4mSr6LRAxzZ7z5ez55Pue1dZwLJg05UpjCAO9lyUxBvkS3egFr72aB_-p5TNbohOcfRfhbuxr0LCRKsYPp5ZoAr6UqvTIURi51qPkOY3KvnhJMZi9XZ-c7FGZCjFuq9x4J/s16000/gazipur-news-01.jpg)
দেশবরেণ্য রাজনীতিক আহসানউল্লাহ মাস্টারের জন্ম ১৯৫০ সালের ৯ নভেম্বর, গাজীপুর জেলার পুবাইল থানাধীন ৩৯নং ওয়ার্ডের হায়দরাবাদ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। মাতা বেগম রোসমেতুন্নেসা ও বাবা পীর সাহেব শাহ সূফি আবদুল কাদের পাঠান। তাঁর শিক্ষাজীবন শুরু হয় নিজ গ্রামের পূবাইলের হায়দরাবাদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষাজীবন শেষ করে টঙ্গী হাইস্কুলে ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে এসএসসি পাস করে তৎকালীন কায়েদে আযম কলেজে (বর্তমান শহীদ সোহরাওয়ার্দী সরকারি কলেজ) একাদশ শ্রেণীতে ভর্তি হন। ১৯৭০ সালে ডিগ্রি পাস করার পর আহসানউল্লাহ টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে তিনি ওই স্কুলে সহকারী প্রধান শিক্ষক (১৯৭৭-১৯৮৪) ও প্রধান শিক্ষকের (১৯৮৪-২০০৪) দায়িত্ব আমৃত্যু যোগ্যতার সঙ্গে পালন করেন। আহসানউল্লাহ মাস্টার টঙ্গী শিক্ষক সমিতির সভাপতি হিসেবে সক্রিয় ছিলেন।
কিশোর বয়সেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা ঘটে আহসানউল্লাহ মাস্টারের। ১৯৬২-এ হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। রাজনীতির লড়াকু সৈনিক হিসেবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তাঁর সখ্য গড়ে উঠতে থাকে। তিনি পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে রাজনীতি চালিয়ে যেতে থাকেন। পরবর্তীতে হয়ে উঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের অনুসারী।
দেশমাতৃকাকে শত্রুমুক্ত করতে আহসানউল্লাহ মাস্টার মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ জয়দেবপুরের ক্যান্টনমেন্টের বাঙালি সৈন্যদের নিরস্ত্র করতে ঢাকা থেকে আসা পাকিস্তানি বাহিনীকে ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়ার জন্য জনতাকে উদ্বুদ্ধ করার কাজে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং ডাক দেন বাংলাদেশকে শত্রুমুক্ত করার। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঘর ছাড়েন আহসানউল্লাহ মাস্টার। তবে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার আগে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে আটক হন এবং নির্যাতিত হন। আহত অবস্থাতেই তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। ভারতের দেরাদুনের তান্দুয়া থেকে গেরিলা ট্রেনিং নিয়ে পুবাইল, টঙ্গী, ছয়দানাসহ বিভিন্ন জায়গায় গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
আহসানউল্লাহ মাস্টার ছিলেন সংগঠন অন্তপ্রাণ মানুষ। তিনি ১৯৮৩ এবং ১৯৮৮ সালে পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জাতীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যকরি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
কিশোর বয়সেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ততা ঘটে আহসানউল্লাহ মাস্টারের। ১৯৬২-এ হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশনের বিরুদ্ধে গড়ে উঠা আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে তাঁর রাজনীতিতে হাতেখড়ি। রাজনীতির লড়াকু সৈনিক হিসেবে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে তাঁর সখ্য গড়ে উঠতে থাকে। তিনি পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে রাজনীতি চালিয়ে যেতে থাকেন। পরবর্তীতে হয়ে উঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের অনুসারী।
দেশমাতৃকাকে শত্রুমুক্ত করতে আহসানউল্লাহ মাস্টার মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চ জয়দেবপুরের ক্যান্টনমেন্টের বাঙালি সৈন্যদের নিরস্ত্র করতে ঢাকা থেকে আসা পাকিস্তানি বাহিনীকে ব্যারিকেড দিয়ে বাধা দেয়ার জন্য জনতাকে উদ্বুদ্ধ করার কাজে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং ডাক দেন বাংলাদেশকে শত্রুমুক্ত করার। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঘর ছাড়েন আহসানউল্লাহ মাস্টার। তবে মুক্তিযুদ্ধে যাওয়ার আগে তিনি পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে আটক হন এবং নির্যাতিত হন। আহত অবস্থাতেই তিনি মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। ভারতের দেরাদুনের তান্দুয়া থেকে গেরিলা ট্রেনিং নিয়ে পুবাইল, টঙ্গী, ছয়দানাসহ বিভিন্ন জায়গায় গেরিলা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
আহসানউল্লাহ মাস্টার ছিলেন সংগঠন অন্তপ্রাণ মানুষ। তিনি ১৯৮৩ এবং ১৯৮৮ সালে পূবাইল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জাতীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদক ও কার্যকরি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
মন্তব্য করুন: