নৌকায় ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইউরোপে যান অনেক অভিবাসনপ্রত্যাশী। ফাইল ছবি |
ডেইলি নিউজ ডেস্ক
অভিবাসনপ্রত্যাশী ব্যক্তিদের আটকে রেখে নির্যাতনের দায়ে দুই বাংলাদেশিকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ইতালির একটি আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় একটি ক্যাম্পে অভিবাসনপ্রত্যাশী মানুষদের আটকে রেখেছিলেন তাঁরা। সেখানে তাঁদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে গত সোমবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, সাজাপ্রাপ্ত দুই বাংলাদেশির নাম পাজরুল সোহেল ও হারুন মোহাম্মদ। ইতালির সিসিলি অঞ্চলের পালেরমো শহরের একটি আদালত স্থানীয় সময় গত রোববার এ রায় দেন।
পালেরমোর সরকারি কৌশলি (পিপি) গ্রে ফেরেরা এ মামলার তদন্তে যুক্ত ছিলেন। তিনি জানান, সাজাপ্রাপ্ত সোহেল ও হারুন ২০২০ সালের ২৮ মে নৌকায় ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে সিসিলিতে পৌঁছান। এর পরই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান কয়েকজন অভিবাসনপ্রত্যাশী।
সোহেল ও হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, লিবিয়ার অভিবাসী ক্যাম্পে ওই দুই ব্যক্তি অভিবাসনপ্রত্যাশী ব্যক্তিদের মাসের পর মাস আটকে রেখেছিলেন। তাঁরা অভিবাসনপ্রত্যাশী মানুষদের মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করতেন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ওই বছরের ৬ জুলাই তাঁদের আটক করে সিসিলি পুলিশ।
তদন্তে সোহেল ও হারুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। ভুক্তভোগী অনেকে নিজেদের মুঠোফোনে ধারণ করা নির্যাতনের ভিডিও এবং ছবি তদন্তকারীদের দেখান। তদন্তকারীরা একে ৪৭ রাইফেলসহ আসামিদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুঁজে পান। এ অস্ত্র লিবিয়ায় অভিবাসনপ্রত্যাশী ব্যক্তিদের ভয় দেখানো, মারধর ও শারীরিক নির্যাতনের কাজে ব্যবহার করা হতো।
এমন একদিন এ মামলার রায় দেওয়া হয়েছে, সেদিন পোপ ফ্রান্সিস লিবিয়ার ক্যাম্পগুলোয় অভিবাসনপ্রত্যাশী মানুষদের আটকে রেখে নির্যাতনের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি এসব ঘটনাকে ‘অমানবিক ও অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
মন্তব্য করুন: