ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী জেলা শহরে প্রকাশ্যে এক নারীর ওপর সন্ত্রাসীদের নৃশংস আক্রমণে পুরো শহর আতঙ্কিত। ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও পুলিশের কার্যত নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ বাড়ছে ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে। বিচার পাবেন কি সাজেদা আক্তার? পড়ুন চাঞ্চল্যকর এই মামলার বিস্তারিত।
ফেনী জেলা শহরের একটি ব্যস্ত সড়কে চলতি বছর ২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর বিকেলে ঘটে যায় এক ভয়াবহ হত্যাচেষ্টা। সাজেদা আক্তার লিপি (৩৫) নামের এক নারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালায় অজ্ঞাতনামা এক যুবক। আশপাশে থাকা মানুষের চোখের সামনে সংঘটিত এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ও তার পরিবার আজও ন্যায়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
সেদিন সাজেদা আক্তার তার শিশুকে ডাব খাওয়ানোর পর পাশের দোকানে যাওয়ার মুহূর্তেই ঘটে যায় এ নৃশংস আক্রমণ। ডাব বিক্রেতা মীর হোসেনের ধারালো দা ব্যবহার করে, পেছন থেকে এসে সেই যুবক সাজেদার ঘাড়ে সজোরে কোপ দেয়। গুরুতর রক্তক্ষরণে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসায় আরও বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান তিনি।
সাজেদা আক্তার দৌড়ে একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন। কিন্তু এর মধ্যেই তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় হতাশ হয়ে সাজেদা আক্তারের ছেলে মারুফ আহাম্মদ আদিত আদালতের শরণাপন্ন হন। গত ২৭ অক্টোবর ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত ফেনী সদর মডেল থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিলেও কার্যত কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
অন্যদিকে, স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশের এই ধীরগতির কার্যক্রমের কারণে অপরাধীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। শহরে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে তার দায় কে নেবে, এমন প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
ফেনীতে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনার পর পুলিশের উদাসীন ভূমিকা জনমনে প্রশ্ন তুলেছে। সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও অপরাধীদের শনাক্ত না করার অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। ভুক্তভোগী পরিবার কবে ন্যায়ের মুখ দেখবে, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। এমন ঘটনায় পুলিশের দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা অপরিহার্য। সঠিক তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত না হলে এ ধরনের ঘটনা সামাজিক নিরাপত্তাকে আরও হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
ফেনী জেলা শহরে প্রকাশ্যে এক নারীর ওপর সন্ত্রাসীদের নৃশংস আক্রমণে পুরো শহর আতঙ্কিত। ঘটনাস্থলে থাকা সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও পুলিশের কার্যত নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ বাড়ছে ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়দের মধ্যে। বিচার পাবেন কি সাজেদা আক্তার? পড়ুন চাঞ্চল্যকর এই মামলার বিস্তারিত।
ফেনী জেলা শহরের একটি ব্যস্ত সড়কে চলতি বছর ২০২৪ সালের ২০ অক্টোবর বিকেলে ঘটে যায় এক ভয়াবহ হত্যাচেষ্টা। সাজেদা আক্তার লিপি (৩৫) নামের এক নারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ চালায় অজ্ঞাতনামা এক যুবক। আশপাশে থাকা মানুষের চোখের সামনে সংঘটিত এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ও তার পরিবার আজও ন্যায়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
সেদিন সাজেদা আক্তার তার শিশুকে ডাব খাওয়ানোর পর পাশের দোকানে যাওয়ার মুহূর্তেই ঘটে যায় এ নৃশংস আক্রমণ। ডাব বিক্রেতা মীর হোসেনের ধারালো দা ব্যবহার করে, পেছন থেকে এসে সেই যুবক সাজেদার ঘাড়ে সজোরে কোপ দেয়। গুরুতর রক্তক্ষরণে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেও চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসায় আরও বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান তিনি।
সাজেদা আক্তার দৌড়ে একটি দোকানে গিয়ে আশ্রয় নেন। কিন্তু এর মধ্যেই তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে থাকে। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন:
এত বড় ঘটনা ঘটার পরও ফেনী সদর মডেল থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। ভুক্তভোগী পরিবার থানায় উপস্থিত হয়ে লিখিত এজাহার জমা দিলেও পুলিশ প্রাথমিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।এ ঘটনায় হতাশ হয়ে সাজেদা আক্তারের ছেলে মারুফ আহাম্মদ আদিত আদালতের শরণাপন্ন হন। গত ২৭ অক্টোবর ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত ফেনী সদর মডেল থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিলেও কার্যত কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি।
সিসিটিভি ফুটেজের অবস্থান:
এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ভুক্তভোগীর পরিবার অপরাধ সংঘটনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তবে তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রেজোয়ানুল ইসলাম জানান, ফুটেজটি ঝাপসা হওয়ায় আসামি শনাক্ত করা যাচ্ছে না।অন্যদিকে, স্থানীয়রা বলছেন, পুলিশের এই ধীরগতির কার্যক্রমের কারণে অপরাধীরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। শহরে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে তার দায় কে নেবে, এমন প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
পরিবারের নিরাপত্তাহীনতা:
সাজেদা আক্তারের পরিবার শুধু ন্যায়বিচারের অভাবে নয়, নিজেদের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কিত। প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানো সন্ত্রাসীরা যে কোনো মুহূর্তে আবারও আক্রমণ করতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা।পুলিশের অবস্থান:
জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. রেজোয়ানুল ইসলাম বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ স্পষ্ট নয়, তবে আমরা সত্য উদঘাটনে কাজ করছি।”ফেনীতে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনার পর পুলিশের উদাসীন ভূমিকা জনমনে প্রশ্ন তুলেছে। সিসিটিভি ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও অপরাধীদের শনাক্ত না করার অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। ভুক্তভোগী পরিবার কবে ন্যায়ের মুখ দেখবে, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। এমন ঘটনায় পুলিশের দ্রুত ও কার্যকর ভূমিকা অপরিহার্য। সঠিক তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত না হলে এ ধরনের ঘটনা সামাজিক নিরাপত্তাকে আরও হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
মন্তব্য করুন: