করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
বাংলাদেশে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে জুলাই মাস জুড়ে সংঘটিত মৃত্যুর ঘটনাকে ‘জুলাই হত্যাকাণ্ড’ বলে আখ্যা দিয়েছেন শিক্ষকরা। এ ছাড়া সারা দেশে হত্যা-গুম-গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আতঙ্ক-হয়রানি বন্ধ এবং আটককৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত শতাধিক শিক্ষক।
আজ সোমবার (২৯ জুলাই, ২০২৪) দুপুর সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশ’ থেকে এই দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। সমাবেশে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতাও পালন করেন তারা। সমাবেশ থেকে সারা দেশে হত্যা-গুম-গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ এবং আটককৃতদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
সমাবেশে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. আবদুল হাসিব চৌধুরী বলেন, আজকে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে এক মিথ্যার ওপরে। একটা উদাহরণ থেকেই বোঝা যায়, তা হলো আবু সাঈদের এফআইআর। দেশে যা ঘটছে সাধারণ মানুষ এখন মনে করে পুলিশ যা বলে সব মিথ্যা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাসুদ ইমরান বলেন, আমি এখানে কোনো বিচার চাইতে আসিনি, আমি ঘৃণা জানাতে এসেছি। এই রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ঘৃণা জানাতে এসেছি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। আরও অনেক শিক্ষার্থীকে পাওয়া যাচ্ছে না। ওরা গেল কোথায়?
শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়নের আশঙ্কা করে তিনি বলেন, একটা আইনব্যবস্থার মধ্যে একটি রাষ্ট্রে জোর করে মানুষকে ধরে নিয়ে গেছে একটি সংস্থা। আমাকেও হয়তো রাস্তা থেকে তুলে নেবে কেউ জানতেই পারবে না। এটা কোন দেশে আছি? আর কতদিন এভাবে চলবে? এই রাষ্ট্রব্যবস্থা, তার চেতনাজীবী, বুদ্ধিজীবী সবার প্রতি ঘৃণা জানাচ্ছি। ঘৃণা জানাবার জন্যই এখানে এসেছি কোনো বিচার চাইতে আসিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক চৌধুরী সায়েমা ফেরদৌস বলেন, বিচার কার কাছে চাইবো, কোথায় চাইব? আমরা ঘৃণা জানাই। ক্যাম্পাসে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঞ্চনা হয়েছে। আমি সারারাত ঘুমাতে পারি না।
সমাবেশে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সংবাদকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছেন শিক্ষকরা। সাংবাদিকদের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দেশের মানুষের কথা বলার আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাঈদ ফেরদৌস বলেন, সরকার ভুল পথে নয়, মিথ্যাচারের পথে হাঁটছে। প্রথমদিনে ছাত্রলীগ, হেলমেটবাহিনী, বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢুকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের, শিক্ষকদের পিটিয়েছিল। সেটার পরই যদি সরকার সংশোধন করে নিত আমরা বলতাম ভুল। ভুল তো বারবার হয় না। আর এটা প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র। অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া- এই শপথ নিয়ে তারা রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকেন তারা এতবার ভুল করতে পারেন না।
বাংলাদেশে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে জুলাই মাস জুড়ে সংঘটিত মৃত্যুর ঘটনাকে ‘জুলাই হত্যাকাণ্ড’ বলে আখ্যা দিয়েছেন শিক্ষকরা। এ ছাড়া সারা দেশে হত্যা-গুম-গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আতঙ্ক-হয়রানি বন্ধ এবং আটককৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত শতাধিক শিক্ষক।
আজ সোমবার (২৯ জুলাই, ২০২৪) দুপুর সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ‘নিপীড়নবিরোধী শিক্ষক সমাবেশ’ থেকে এই দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। সমাবেশে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতাও পালন করেন তারা। সমাবেশ থেকে সারা দেশে হত্যা-গুম-গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ এবং আটককৃতদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
সমাবেশে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ড. আবদুল হাসিব চৌধুরী বলেন, আজকে বাংলাদেশ দাঁড়িয়ে আছে এক মিথ্যার ওপরে। একটা উদাহরণ থেকেই বোঝা যায়, তা হলো আবু সাঈদের এফআইআর। দেশে যা ঘটছে সাধারণ মানুষ এখন মনে করে পুলিশ যা বলে সব মিথ্যা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাসুদ ইমরান বলেন, আমি এখানে কোনো বিচার চাইতে আসিনি, আমি ঘৃণা জানাতে এসেছি। এই রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ঘৃণা জানাতে এসেছি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। আরও অনেক শিক্ষার্থীকে পাওয়া যাচ্ছে না। ওরা গেল কোথায়?
শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়নের আশঙ্কা করে তিনি বলেন, একটা আইনব্যবস্থার মধ্যে একটি রাষ্ট্রে জোর করে মানুষকে ধরে নিয়ে গেছে একটি সংস্থা। আমাকেও হয়তো রাস্তা থেকে তুলে নেবে কেউ জানতেই পারবে না। এটা কোন দেশে আছি? আর কতদিন এভাবে চলবে? এই রাষ্ট্রব্যবস্থা, তার চেতনাজীবী, বুদ্ধিজীবী সবার প্রতি ঘৃণা জানাচ্ছি। ঘৃণা জানাবার জন্যই এখানে এসেছি কোনো বিচার চাইতে আসিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক চৌধুরী সায়েমা ফেরদৌস বলেন, বিচার কার কাছে চাইবো, কোথায় চাইব? আমরা ঘৃণা জানাই। ক্যাম্পাসে মেয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর লাঞ্চনা হয়েছে। আমি সারারাত ঘুমাতে পারি না।
সমাবেশে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সংবাদকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছেন শিক্ষকরা। সাংবাদিকদের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে দেশের মানুষের কথা বলার আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাঈদ ফেরদৌস বলেন, সরকার ভুল পথে নয়, মিথ্যাচারের পথে হাঁটছে। প্রথমদিনে ছাত্রলীগ, হেলমেটবাহিনী, বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢুকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের, শিক্ষকদের পিটিয়েছিল। সেটার পরই যদি সরকার সংশোধন করে নিত আমরা বলতাম ভুল। ভুল তো বারবার হয় না। আর এটা প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্র। অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া- এই শপথ নিয়ে তারা রাষ্ট্রের ক্ষমতায় থাকেন তারা এতবার ভুল করতে পারেন না।
মন্তব্য করুন: