আহত আরিফ ও আল আমিন |
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুরে মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হতে হলো দুই জন তরুণের। যখন মাদক ব্যবসায় অংশগ্রহণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাদের উপর নেমে আসে সন্ত্রাসী হামলা। রুবেল মিয়া, আবু সাইদ, সিয়াম, রাশেদ, শাকিল ও আল আমিন নামে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় আহত তরুণদ্বয় সংকটাপন্ন অবস্থায় বর্তমানে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তরুণদ্বয়ের ভাই মো. মমিনুল হক বাদী হয়ে এ ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানায় আজ শনিবার (০২ নভেম্বর ২০২৪) একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভাওরাইদ গ্রামের মো. আবু সাইদের ছেলে মো. রুবেল মিয়া (২২), মো. সুজন আলীর ছেলে মো. সিয়াম, মো. এনামুল হকের ছেলে মো. রাশেদ এবং একই এলাকার মো. শাকিল ও আল আমিন দীর্ঘদিন যাবত গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার অন্তর্গত হাতিয়াব এলাকায় বিভিন্ন মাদক ব্যবসা করে আসছিল।
অভিযোগের বাদী মো. মমিনুল হকের ছোট ভাই আরিফ (২০) ও তার চাচাতো ভাই আল আমিন (১৯) কে অভিযুক্ত বিবাদী মাদক ব্যবসায়ীগণ এলাকায় মাদক ব্যবসা করার জন্য করার জন্য প্রস্তাব দেয়। তখন মো. মমিনুল হকের ভাই ও চাচাতো ভাই অবৈধ মাদক ব্যবসা করতে পারবে না বলে জানায়। তখন থেকেই অভিযুক্ত বিবাদীগণ তাহাদেরকে মারপিট সহ খুন জখম করার হুমকি দেয়। এ সব কথা জানতে পেরে অভিযোগের বাদী মো. মমিনুল হক তার ভাই ও চাচাতো ভাইকে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দূরে ও নিরাপদে থাকতে ও সাবধানে চলাফেরা করিতে বলেন। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনদের জানালে বিবাদীগণ আমাদের উপর আরো বেশি ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে।
এমতাবস্থায় গত শুক্রবার (০১ নভেম্বর ২০২৪) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ওই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উল্লিখিত বিবাদীগণ এবং তাদের আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ সহযোগী মিলে হাতে ধারালো দা, চাপাতি, লাঠি, লোহার রড, চাকু, সুইচ গিয়ার ইত্যাদি অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনি জনতাবদ্ধে জিএমপি সদর থানাধীন ভাওরাইদ গ্রামের জনৈক বছির-এর বাংলো বাড়ির পুর্ব পার্শ্বের রাস্তা দিয়ে আমার ছোট ভাই আরিফ এবং আমার চাচাতো ভাই আল আমিন বাড়িতে ফেরার পথে অভিযুক্তরা তাহাদের পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালগালাজ শুরু করে। তারা অভিযুক্ত উক্ত বিবাদী সন্ত্রাসীদের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করলে উক্ত বিবাদী সন্ত্রাসীরা তাহাদেরকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে আরিফ ও আল আমিনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।
অভিযুক্ত সন্ত্রাসী মো. রুবেল মিয়া তার হাতে থাকা ধারালো সুইচ গিয়ার দিয়ে আল আমিনের পিঠের বাম পার্শ্বের কোমরের উপরে আঘাত করে কাটা ও রক্তাক্ত জখম করে। এতে আল আমিন চিৎকার করে মাটিতে পড়ে গেলে আরিফ আল আমিনকে রক্ষা করার চেষ্টা করে তখন অপর অভিযুক্ত সন্ত্রাসী মো. সিয়াম তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে আরিফের পিঠের নিচে বাম পার্শ্বে আঘাত করে কাটা ও রক্তাক্ত জখম করে। এসময় আহত আরিফ ও আল আমিনের ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে আসতে থাকলে অভিযুক্ত সন্ত্রাসী বিবাদীগণ তাহাদেকে ফের খুন জখমের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
গাজীপুরে মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হতে হলো দুই জন তরুণের। যখন মাদক ব্যবসায় অংশগ্রহণের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তাদের উপর নেমে আসে সন্ত্রাসী হামলা। রুবেল মিয়া, আবু সাইদ, সিয়াম, রাশেদ, শাকিল ও আল আমিন নামে স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় আহত তরুণদ্বয় সংকটাপন্ন অবস্থায় বর্তমানে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
তরুণদ্বয়ের ভাই মো. মমিনুল হক বাদী হয়ে এ ঘটনায় গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানায় আজ শনিবার (০২ নভেম্বর ২০২৪) একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভাওরাইদ গ্রামের মো. আবু সাইদের ছেলে মো. রুবেল মিয়া (২২), মো. সুজন আলীর ছেলে মো. সিয়াম, মো. এনামুল হকের ছেলে মো. রাশেদ এবং একই এলাকার মো. শাকিল ও আল আমিন দীর্ঘদিন যাবত গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর থানার অন্তর্গত হাতিয়াব এলাকায় বিভিন্ন মাদক ব্যবসা করে আসছিল।
অভিযোগের বাদী মো. মমিনুল হকের ছোট ভাই আরিফ (২০) ও তার চাচাতো ভাই আল আমিন (১৯) কে অভিযুক্ত বিবাদী মাদক ব্যবসায়ীগণ এলাকায় মাদক ব্যবসা করার জন্য করার জন্য প্রস্তাব দেয়। তখন মো. মমিনুল হকের ভাই ও চাচাতো ভাই অবৈধ মাদক ব্যবসা করতে পারবে না বলে জানায়। তখন থেকেই অভিযুক্ত বিবাদীগণ তাহাদেরকে মারপিট সহ খুন জখম করার হুমকি দেয়। এ সব কথা জানতে পেরে অভিযোগের বাদী মো. মমিনুল হক তার ভাই ও চাচাতো ভাইকে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দূরে ও নিরাপদে থাকতে ও সাবধানে চলাফেরা করিতে বলেন। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনদের জানালে বিবাদীগণ আমাদের উপর আরো বেশি ক্ষীপ্ত হয়ে উঠে।
এমতাবস্থায় গত শুক্রবার (০১ নভেম্বর ২০২৪) রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে ওই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উল্লিখিত বিবাদীগণ এবং তাদের আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ সহযোগী মিলে হাতে ধারালো দা, চাপাতি, লাঠি, লোহার রড, চাকু, সুইচ গিয়ার ইত্যাদি অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেআইনি জনতাবদ্ধে জিএমপি সদর থানাধীন ভাওরাইদ গ্রামের জনৈক বছির-এর বাংলো বাড়ির পুর্ব পার্শ্বের রাস্তা দিয়ে আমার ছোট ভাই আরিফ এবং আমার চাচাতো ভাই আল আমিন বাড়িতে ফেরার পথে অভিযুক্তরা তাহাদের পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালগালাজ শুরু করে। তারা অভিযুক্ত উক্ত বিবাদী সন্ত্রাসীদের অন্যায় আচরণের প্রতিবাদ করলে উক্ত বিবাদী সন্ত্রাসীরা তাহাদেরকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে আরিফ ও আল আমিনের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে।
অভিযুক্ত সন্ত্রাসী মো. রুবেল মিয়া তার হাতে থাকা ধারালো সুইচ গিয়ার দিয়ে আল আমিনের পিঠের বাম পার্শ্বের কোমরের উপরে আঘাত করে কাটা ও রক্তাক্ত জখম করে। এতে আল আমিন চিৎকার করে মাটিতে পড়ে গেলে আরিফ আল আমিনকে রক্ষা করার চেষ্টা করে তখন অপর অভিযুক্ত সন্ত্রাসী মো. সিয়াম তার হাতে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে আরিফের পিঠের নিচে বাম পার্শ্বে আঘাত করে কাটা ও রক্তাক্ত জখম করে। এসময় আহত আরিফ ও আল আমিনের ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে আসতে থাকলে অভিযুক্ত সন্ত্রাসী বিবাদীগণ তাহাদেকে ফের খুন জখমের হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
অভিযুক্ত মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসীরা গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে, একই সঙ্গে হামলার শিকার পরিবারগুলো নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এ ঘটনা গাজীপুরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলার অবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে, তবে পরিবারের কাছে ভবিষ্যতের নিরাপত্তা এখনও এক বড় চ্যালেঞ্জ। এই নৃশংস ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সমাজে মাদক ব্যবসায়ীদের প্রভাব ও তাদের ভয়াবহ প্রতিশোধমূলক কার্যকলাপ থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয়রা।
এ ঘটনা গাজীপুরের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলার অবস্থা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে। আহতদের চিকিৎসা চলছে, তবে পরিবারের কাছে ভবিষ্যতের নিরাপত্তা এখনও এক বড় চ্যালেঞ্জ। এই নৃশংস ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সমাজে মাদক ব্যবসায়ীদের প্রভাব ও তাদের ভয়াবহ প্রতিশোধমূলক কার্যকলাপ থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন: