জুলীয়াস চৌধুরী
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংশয় ও গুঞ্জন বাড়ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের কারণে জনমনে প্রশ্ন উঠছে—নির্বাচন কবে হবে? বিশেষ করে সেনাপ্রধান এবং প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে যেসব দ্বিধা দেখা দিয়েছে, তাতে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সাম্প্রতিক বক্তব্যও এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। মূলত, নির্বাচনের সময়সীমা এবং সংষ্কার প্রক্রিয়া নিয়ে এমন ভিন্নমত দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বাংলাদেশে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দেওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংশয় বেড়েছে। বিএনপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল স্পষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপের দাবি জানালেও তা নিয়ে সরকার থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট বার্তা দেওয়া হচ্ছে না, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। গত বৃহস্পতিবার রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের আলোচনায় তিনি ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেন। তবে আজ শনিবার সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক ব্যাখ্যায় তিনি জানান, এটি মূলত প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তের বিষয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম মনে করেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করলে এই বিতর্ক এড়ানো যেত। তিনি বলেন, 'সরকার যদি একটি সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করতো এবং সে অনুযায়ী কাজ করতো, তাহলে এই অনিশ্চয়তা থাকতো না।'
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ও সংশয়ের মেঘ এখনও কাটেনি। সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য এই অনিশ্চয়তাকে আরও ঘনীভূত করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি স্পষ্ট—একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা হোক। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও সেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা সময়সীমা না আসায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ও সংশয় অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংশয় ও গুঞ্জন বাড়ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের কারণে জনমনে প্রশ্ন উঠছে—নির্বাচন কবে হবে? বিশেষ করে সেনাপ্রধান এবং প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে যেসব দ্বিধা দেখা দিয়েছে, তাতে রাজনৈতিক অঙ্গন উত্তপ্ত। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সাম্প্রতিক বক্তব্যও এই বিতর্কে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। মূলত, নির্বাচনের সময়সীমা এবং সংষ্কার প্রক্রিয়া নিয়ে এমন ভিন্নমত দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বাংলাদেশে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দেওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংশয় বেড়েছে। বিএনপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল স্পষ্ট নির্বাচনি রোডম্যাপের দাবি জানালেও তা নিয়ে সরকার থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট বার্তা দেওয়া হচ্ছে না, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।
নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। গত বৃহস্পতিবার রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের আলোচনায় তিনি ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেন। তবে আজ শনিবার সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক ব্যাখ্যায় তিনি জানান, এটি মূলত প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তের বিষয়।
সেনাপ্রধানের মন্তব্যে নতুন আলো
সেনাবাহিনী প্রধান ওয়াকার-উজ-জামান গত মাসে রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণ এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে সম্ভব হবে। এ বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন তোলে। তবে সেনাপ্রধানের এই মন্তব্যকে ব্যক্তিগত মত হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। তিনি জানান, নির্বাচন কখন হবে তা নির্ভর করবে সংস্কার প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক আলোচনার ওপর।প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে অস্পষ্টতা
প্রধান উপদেষ্টা জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, 'দেশবাসী যখন আমাদের থেকে বিদায় চায়, তখনই হবে নির্বাচন'। তার এই বক্তব্য সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ না দেওয়ায় সংশয় বাড়িয়েছে। নির্বাচনি রোডম্যাপের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না থাকায় সরকারের অভ্যন্তরেই ভিন্ন ভিন্ন মতামত সৃষ্টি হয়েছে।আসিফ নজরুলের বক্তব্যের ব্যাখ্যা
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল একটি টিভি অনুষ্ঠানে বলেন, বাস্তবতার নিরিখে আগামী বছরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব হতে পারে। তবে তিনি পরে ফেসবুকে তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেন। সেখানে তিনি বলেন, 'নির্বাচনের সময় নির্ধারণ একান্তই প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।' তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, নির্বাচন সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সমঝোতা ও সংস্কারের ওপর নির্ভর করছে।তারেক রহমানের প্রতিক্রিয়া
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরকারের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্যের বিষয়ে সমালোচনা করে বলেন, জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারকে আরও দায়িত্বশীল ও গণমুখী দেখতে চায়। তিনি বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ জরুরি। জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকারকে নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ সুগম করতে হবে।সংশয় কেন বাড়ছে
বিএনপির নেতারা মনে করছেন, সরকার এখনও নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো পরিকল্পনা উপস্থাপন করতে পারেনি। দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, 'সরকারের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিত্বদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য জনমনে সংশয় তৈরি করেছে। জনগণ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়, কিন্তু সরকারের ভেতর থেকে আসা এসব ভিন্নমত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় বাড়াচ্ছে।'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম মনে করেন, নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারণ করলে এই বিতর্ক এড়ানো যেত। তিনি বলেন, 'সরকার যদি একটি সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করতো এবং সে অনুযায়ী কাজ করতো, তাহলে এই অনিশ্চয়তা থাকতো না।'
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তি ও সংশয়ের মেঘ এখনও কাটেনি। সেনাপ্রধান থেকে শুরু করে প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য এই অনিশ্চয়তাকে আরও ঘনীভূত করছে। রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি স্পষ্ট—একটি নির্দিষ্ট রোডম্যাপের মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা হোক। তবে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও সেই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা বা সময়সীমা না আসায় দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা ও সংশয় অব্যাহত রয়েছে।
মন্তব্য করুন: