কোটা সংস্কার আন্দোলন। ফাইল ছবি |
করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থন জানিয়ে এবং ‘ছাত্রহত্যার’ বিচার দাবি করে জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক বলেছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকাকালে গত ২৮ জুলাই রাতে এক ভিডিও বার্তায় আন্দোলন প্রত্যাহারের যে ঘোষণা তাঁরা দিয়েছিলেন, তা স্বেচ্ছায় দেননি।
আজ শুক্রবার (০২ আগস্ট, ২০২৪) রাজধানীর ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকা থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে শাহবাগ দিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে গিয়ে ঐ এলাকা অবরোধ করে রাখেন।
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেখানে গণমিছিলে যোগ দেন।মিছিলকারীরা সায়েন্স ল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়ে কিছু সময় বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের একটি সাধারণ স্লোগান ছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।
পরে মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটের সামনে এবং সিটি কলেজের সামনে গিয়েও তারা কিছুক্ষণ বিক্ষোভ করেন। পুরো এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ থাকলেও আন্দোলনকারীদের তারা বাধা দেননি।
কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও জুমার পর মিছিল বের করে। বায়তুল মোকাররম থেকে শাহবাগ ঘুরে প্রেস ক্লাবের সামনে বামপন্থি সংগঠন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সমাবেশে মিলিত হয় তারা।েএ
সকালে আফতাবনগরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল করেছেন। তারা রামপুরা ব্রিজ পার হয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে আবার নিজেদের ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
আজ এক যৌথ বিবৃতিতে ছয় সমন্বয়ক এসব কথা বলেছেন। বেলা ১১টা ২২ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও নুসরাত তাবাসসুম গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠান।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে ডিবির হেফাজত থেকে ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরিবারের কাছে ফেরার পর আজ তাঁরা যৌথ বিবৃতি দিলেন। এ সময় তাঁরা বলেন, ছাত্র-নাগরিক হত্যার বিচার ও আটক নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-সহিংসতার পর এ অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোথাও কোথাও ব্লক রেড দিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ।
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থন জানিয়ে এবং ‘ছাত্রহত্যার’ বিচার দাবি করে জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক বলেছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকাকালে গত ২৮ জুলাই রাতে এক ভিডিও বার্তায় আন্দোলন প্রত্যাহারের যে ঘোষণা তাঁরা দিয়েছিলেন, তা স্বেচ্ছায় দেননি।
আজ শুক্রবার (০২ আগস্ট, ২০২৪) রাজধানীর ঢাকার বায়তুল মোকাররম এলাকা থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে শাহবাগ দিয়ে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে গিয়ে ঐ এলাকা অবরোধ করে রাখেন।
ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ কলেজ, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজসহ আশপাশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সেখানে গণমিছিলে যোগ দেন।মিছিলকারীরা সায়েন্স ল্যাব মোড়ে অবস্থান নিয়ে কিছু সময় বিভিন্ন স্লোগান দেন। তাদের একটি সাধারণ স্লোগান ছিল ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।
পরে মাল্টিপ্ল্যান মার্কেটের সামনে এবং সিটি কলেজের সামনে গিয়েও তারা কিছুক্ষণ বিক্ষোভ করেন। পুরো এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ থাকলেও আন্দোলনকারীদের তারা বাধা দেননি।
কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরাও জুমার পর মিছিল বের করে। বায়তুল মোকাররম থেকে শাহবাগ ঘুরে প্রেস ক্লাবের সামনে বামপন্থি সংগঠন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সমাবেশে মিলিত হয় তারা।েএ
সকালে আফতাবনগরে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মিছিল করেছেন। তারা রামপুরা ব্রিজ পার হয়ে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে আবার নিজেদের ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আজ ‘প্রার্থনা ও ছাত্র-জনতার গণমিছিল’ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
সমন্বয়কদের যৌথ বিবৃতি
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ক বলেছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকাকালে গত ২৮ জুলাই রাতে এক ভিডিও বার্তায় আন্দোলন প্রত্যাহারের যে ঘোষণা তাঁরা দিয়েছিলেন, তা স্বেচ্ছায় দেননি।আজ এক যৌথ বিবৃতিতে ছয় সমন্বয়ক এসব কথা বলেছেন। বেলা ১১টা ২২ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আসিফ মাহমুদ, আবু বাকের মজুমদার ও নুসরাত তাবাসসুম গণমাধ্যমে এই বিবৃতি পাঠান।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে ডিবির হেফাজত থেকে ছয় সমন্বয়ককে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরিবারের কাছে ফেরার পর আজ তাঁরা যৌথ বিবৃতি দিলেন। এ সময় তাঁরা বলেন, ছাত্র-নাগরিক হত্যার বিচার ও আটক নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
সারা দেশে গ্রেপ্তার ১১ হাজার
এদিকে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চলমান অভিযানে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) পর্যন্ত সারা দেশে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১১ হাজার। এর মধ্যে বুধবার দুপুর থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেপ্তার হয়েছে ২২২ জন।কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ-সহিংসতার পর এ অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। কোথাও কোথাও ব্লক রেড দিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ।
মন্তব্য করুন: