![]() |
সাব রেজিস্ট্রার জাহিদুর রহমানের উপস্থিতিতে এজলাসের সামনে সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সমমর্যাদার টেবিলে বসে অফিস করছেন নকল নবিশ আল আমীন খান (মাঝে)। ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট |
গাজীপুর প্রতিনিধি
একসময় ছিলেন বিনা বেতনের কর্মচারী, পরিচিত ছিলেন শুধু ‘ওমেদার’ হিসেবে। অথচ আজ তিনি কালিগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অঘোষিত মালিক! সরকারি নিয়োগপ্রাপ্তদের উপরে বসে যিনি চালান পুরো অফিস, আর পকেটে পুরে নেন কোটি কোটি টাকা। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নথিপত্রভিত্তিক ভয়াবহ সব অভিযোগ—দলিল রেজিস্ট্রি থেকে ঘুষের নামে আদায়, ভূয়া কাগজে কাজ চালিয়ে দেওয়া, আর এই দুর্নীতির টাকায় গড়ে তুলেছেন সোনার অলংকার, দামি গাড়ি, বিলাসবহুল বাড়ি, মার্কেট, জমি—সবই নামে-বেনামে! পাঠক, চোখ কপালে তুলে দেওয়া সেই ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরছে আমাদের আজকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।
গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি যেন রীতিমতো নিয়মে পরিণত হয়েছে। এই দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন অফিসেরই নকল নবিশ মো. আল আমিন খান। এক সময়ের বিনা বেতনের ওমেদার আল আমিন এখন শতকোটি টাকার মালিক। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, তিনি প্রতিদিন অফিসে সেবা নিতে আসা দলিল দাতা, গ্রহীতা ও দলিল লেখকদের জিম্মি করে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে আদায় করছেন।
দলিল রেজিস্ট্রির সময় সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের অর্থ। জমির শ্রেণি পরিবর্তন, নামজারি জমাভাগের রসিদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা আয়কর সনদ না থাকলেও—তার জন্য যেন কোনো সমস্যা নেই। মোটা অংকের টাকা দিলেই কাজ হয়ে যায়। সরকার নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি থেকে শুরু করে নকল দলিল প্রস্তুতের নামে যে টাকা আদায় করা হয়, তার বেশিরভাগই সরকারি কোষাগারে না জমা দিয়ে আত্মসাৎ করছেন তিনি।
এই অর্থে আল আমিন গড়েছেন বিশাল সম্পদের সাম্রাজ্য। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তার নামে ও বেনামে রয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনা, দামী ব্র্যান্ডের গাড়ি, ডুপ্লেক্স বাড়ি, মার্কেট এবং বিভিন্ন এলাকায় কেনা হয়েছে বহু জমি। এসবের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ-দলিলও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
সরেজমিনে কালিগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, আল আমিন খান নিয়মিত বসেন সাব-রেজিস্ট্রারের এজলাসের সামনে, সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত টেবিলে। অথচ তার জন্য নির্ধারিত নকল নবিশের ঘরে তার দেখা মেলে না। সেখানে বসে তিনি দিব্যি চালাচ্ছেন পুরো অফিস, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি দলিল লেখকদেরও দিচ্ছেন নির্দেশনা।
এই দুর্নীতির সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য আল আমিন খানের আপন বোন রায়হানা বেগম রত্না। তাকে কিছুদিন আগে টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বদলি করা হলেও ফের কালিগঞ্জে আনার পাঁয়তারা চলছে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে চাপা গুঞ্জন চলছে।
গাজীপুর নাগরিক কমিটির সভাপতি জুলীয়াস চৌধুরী বলেন, কালিগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চলমান দুর্নীতির এই চিত্র শুধুই ভয়াবহ নয়, বরং রাষ্ট্রীয় সেবাখাতে অনাচারের একটি প্রতিচ্ছবি। একজন নকল নবিশের এমন ক্ষমতা ও সম্পদ অর্জন প্রমাণ করে, কতটা গভীরে প্রোথিত দুর্নীতির শিকড়। এই চক্র ভেঙে না দিলে সাধারণ জনগণ সেবা তো দূরের কথা, প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, কালিগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অবিলম্বে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের মাধ্যমে এই দুর্নীতির রাঘববোয়ালদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব দুর্নীতিবাজকে অপসারণ করে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকে একটি সুশাসনমূলক জনসেবার কেন্দ্রে রূপান্তর করা হোক—এটাই জনতার দাবি।
একসময় ছিলেন বিনা বেতনের কর্মচারী, পরিচিত ছিলেন শুধু ‘ওমেদার’ হিসেবে। অথচ আজ তিনি কালিগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের অঘোষিত মালিক! সরকারি নিয়োগপ্রাপ্তদের উপরে বসে যিনি চালান পুরো অফিস, আর পকেটে পুরে নেন কোটি কোটি টাকা। তার বিরুদ্ধে রয়েছে নথিপত্রভিত্তিক ভয়াবহ সব অভিযোগ—দলিল রেজিস্ট্রি থেকে ঘুষের নামে আদায়, ভূয়া কাগজে কাজ চালিয়ে দেওয়া, আর এই দুর্নীতির টাকায় গড়ে তুলেছেন সোনার অলংকার, দামি গাড়ি, বিলাসবহুল বাড়ি, মার্কেট, জমি—সবই নামে-বেনামে! পাঠক, চোখ কপালে তুলে দেওয়া সেই ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরছে আমাদের আজকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন।
গাজীপুর জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি যেন রীতিমতো নিয়মে পরিণত হয়েছে। এই দুর্নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন অফিসেরই নকল নবিশ মো. আল আমিন খান। এক সময়ের বিনা বেতনের ওমেদার আল আমিন এখন শতকোটি টাকার মালিক। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, তিনি প্রতিদিন অফিসে সেবা নিতে আসা দলিল দাতা, গ্রহীতা ও দলিল লেখকদের জিম্মি করে লক্ষ লক্ষ টাকা অবৈধভাবে আদায় করছেন।
দলিল রেজিস্ট্রির সময় সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অঙ্কের অর্থ। জমির শ্রেণি পরিবর্তন, নামজারি জমাভাগের রসিদ, জাতীয় পরিচয়পত্র বা আয়কর সনদ না থাকলেও—তার জন্য যেন কোনো সমস্যা নেই। মোটা অংকের টাকা দিলেই কাজ হয়ে যায়। সরকার নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফি থেকে শুরু করে নকল দলিল প্রস্তুতের নামে যে টাকা আদায় করা হয়, তার বেশিরভাগই সরকারি কোষাগারে না জমা দিয়ে আত্মসাৎ করছেন তিনি।
এই অর্থে আল আমিন গড়েছেন বিশাল সম্পদের সাম্রাজ্য। অনুসন্ধানে জানা গেছে, তার নামে ও বেনামে রয়েছে বিপুল পরিমাণ সোনা, দামী ব্র্যান্ডের গাড়ি, ডুপ্লেক্স বাড়ি, মার্কেট এবং বিভিন্ন এলাকায় কেনা হয়েছে বহু জমি। এসবের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ-দলিলও প্রতিবেদকের হাতে এসেছে।
সরেজমিনে কালিগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, আল আমিন খান নিয়মিত বসেন সাব-রেজিস্ট্রারের এজলাসের সামনে, সরকারি নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত টেবিলে। অথচ তার জন্য নির্ধারিত নকল নবিশের ঘরে তার দেখা মেলে না। সেখানে বসে তিনি দিব্যি চালাচ্ছেন পুরো অফিস, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী এমনকি দলিল লেখকদেরও দিচ্ছেন নির্দেশনা।
এই দুর্নীতির সিন্ডিকেটের আরেক সদস্য আল আমিন খানের আপন বোন রায়হানা বেগম রত্না। তাকে কিছুদিন আগে টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে বদলি করা হলেও ফের কালিগঞ্জে আনার পাঁয়তারা চলছে। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে চাপা গুঞ্জন চলছে।
গাজীপুর নাগরিক কমিটির সভাপতি জুলীয়াস চৌধুরী বলেন, কালিগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে চলমান দুর্নীতির এই চিত্র শুধুই ভয়াবহ নয়, বরং রাষ্ট্রীয় সেবাখাতে অনাচারের একটি প্রতিচ্ছবি। একজন নকল নবিশের এমন ক্ষমতা ও সম্পদ অর্জন প্রমাণ করে, কতটা গভীরে প্রোথিত দুর্নীতির শিকড়। এই চক্র ভেঙে না দিলে সাধারণ জনগণ সেবা তো দূরের কথা, প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হবে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, কালিগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে অবিলম্বে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের মাধ্যমে এই দুর্নীতির রাঘববোয়ালদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব দুর্নীতিবাজকে অপসারণ করে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসকে একটি সুশাসনমূলক জনসেবার কেন্দ্রে রূপান্তর করা হোক—এটাই জনতার দাবি।
মন্তব্য করুন: