করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের ভুরুলিয়া এলাকায় একটি বিতর্কিত ভবন নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। কারাগারে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের নেতৃত্বে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতার অপব্যবহার, জমি দখল, চাঁদাবাজি—সবকিছু মিলিয়ে স্থানীয়দের জীবন বিষময় হয়ে উঠেছে। অভিযোগ, জেল থেকেই চলছে এই অপকর্মের হুকুম।
চিহ্নিত দখলবাজ ও ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের হোতা হিসেবে পরিচিত গাজীপুরের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন জেলে বসেই তার অপকর্মের সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান তিনি। এরপর দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় কিছুদিন আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সময় সংঘটিত একটি হত্যা মামলার আসামি হিসাবে গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনকে জেলে পাঠানো হয়। তবে জেলে বসেও তার নির্দেশে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট এখনও সক্রিয় রেখেছে।
সম্প্রতি গাজীপুর মহানগরীর পশ্চিম ভুরুলিয়া এলাকায় নির্মাণাধীন স্বপ্ন সারথী নামক একটি ভবন মালিকের কাছে সন্ত্রাসীরা মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেছেন বলে কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহানগরীর পশ্চিম ভুরুলিয়া এলাকায় স্বপ্ন সারথী নামক ওই ভবন নির্মাণের জায়গার মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। জমির মালিকানা নিয়ে এই বিরোধের জের ধরে একটি পক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা কাজি আলিম উদ্দিন বুদ্দিন এর সাথে আঁতাত করে ২০২০ সালে জমিতে জোরপূর্বক ওই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। নালিশি জমিতে জোরপূর্বক ভবন নির্মাণের কাজে নেতৃত্ব দেন গাজীপুরের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা কাজি আলিম উদ্দিন বুদ্দিন। প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা কাজি আলিম উদ্দিন বুদ্দিন জেলার সর্বত্রই তার প্রভাব প্রতিপত্তির জাল বিছিয়ে রেখেছেন। তাঁর কথার বাইরে যাওয়ার সাহস ছিল না তৎকালীন প্রশাসনের। ক্ষমতার দাপটে তিনি গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জয়দেবপুর কিন্ডারগার্টেন স্কুল, ডায়াবেটিকস সেন্টার, রেডক্রিসেন্ট, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ডেভলপার কোম্পানীগুলো নিয়ে গঠিত অ্যাসোসিয়েশন, প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো নিয়ে তৈরি প্রতিষ্ঠানসহ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রোটারি ক্লাব এর নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ কব্জা করে নেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রভাবশালী নেতা কথিত মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের নেতৃত্বে একদল ভূমিদস্যু ও জবরদখলকারীরা নালিশি জমিতে ওই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। তাদের হুমকি-ধামকি ও ক্ষমতার দাপটে তটস্থ জমির রেকর্ডভুক্ত মালিকগণের পক্ষে জবরদখলের প্রতিবাদ করলেও প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে তা কোন কাজে আসে নাই। জমির রেকর্ডভুক্ত মালিকদের অসহায় অবস্থার সুযোগে তাদের চোখের সামনেই গত তিন বছর যাবত কোন রকম জোরালো বাঁধা ছাড়াই বিতর্কিত স্বপ্ন সারথী নামক ১০ তলা বিশিষ্ট ভবনটির নির্মাণ কাজ চলতে থাকে। এভাবে ভবনটির ছয়তলার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ভূমিদস্যু চক্রটির হোতারা গা ঢাকা দেওয়ার কারণে ভবনটির নির্মাণ কাজ থমকে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৪ অক্টোবর ওই ভবনের নির্মাণ কাজ করতে দেখে ওই জমির রেকর্ডভুক্ত মালিকগণ তাতে বাঁধা দেন। এবং নালিশি জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখতে বললে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এর এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এতে করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
গাজীপুরের ভুরুলিয়া এলাকায় একটি বিতর্কিত ভবন নির্মাণ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে। কারাগারে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের নেতৃত্বে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট এখনো সক্রিয় রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ক্ষমতার অপব্যবহার, জমি দখল, চাঁদাবাজি—সবকিছু মিলিয়ে স্থানীয়দের জীবন বিষময় হয়ে উঠেছে। অভিযোগ, জেল থেকেই চলছে এই অপকর্মের হুকুম।
চিহ্নিত দখলবাজ ও ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের হোতা হিসেবে পরিচিত গাজীপুরের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন জেলে বসেই তার অপকর্মের সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যান তিনি। এরপর দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় কিছুদিন আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সময় সংঘটিত একটি হত্যা মামলার আসামি হিসাবে গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনকে জেলে পাঠানো হয়। তবে জেলে বসেও তার নির্দেশে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট এখনও সক্রিয় রেখেছে।
সম্প্রতি গাজীপুর মহানগরীর পশ্চিম ভুরুলিয়া এলাকায় নির্মাণাধীন স্বপ্ন সারথী নামক একটি ভবন মালিকের কাছে সন্ত্রাসীরা মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করেছেন বলে কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মহানগরীর পশ্চিম ভুরুলিয়া এলাকায় স্বপ্ন সারথী নামক ওই ভবন নির্মাণের জায়গার মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। জমির মালিকানা নিয়ে এই বিরোধের জের ধরে একটি পক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা কাজি আলিম উদ্দিন বুদ্দিন এর সাথে আঁতাত করে ২০২০ সালে জমিতে জোরপূর্বক ওই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। নালিশি জমিতে জোরপূর্বক ভবন নির্মাণের কাজে নেতৃত্ব দেন গাজীপুরের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা কাজি আলিম উদ্দিন বুদ্দিন। প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা কাজি আলিম উদ্দিন বুদ্দিন জেলার সর্বত্রই তার প্রভাব প্রতিপত্তির জাল বিছিয়ে রেখেছেন। তাঁর কথার বাইরে যাওয়ার সাহস ছিল না তৎকালীন প্রশাসনের। ক্ষমতার দাপটে তিনি গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জয়দেবপুর কিন্ডারগার্টেন স্কুল, ডায়াবেটিকস সেন্টার, রেডক্রিসেন্ট, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, ডেভলপার কোম্পানীগুলো নিয়ে গঠিত অ্যাসোসিয়েশন, প্রাইভেট ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো নিয়ে তৈরি প্রতিষ্ঠানসহ আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রোটারি ক্লাব এর নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণ কব্জা করে নেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রভাবশালী নেতা কথিত মুক্তিযোদ্ধা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনের নেতৃত্বে একদল ভূমিদস্যু ও জবরদখলকারীরা নালিশি জমিতে ওই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। তাদের হুমকি-ধামকি ও ক্ষমতার দাপটে তটস্থ জমির রেকর্ডভুক্ত মালিকগণের পক্ষে জবরদখলের প্রতিবাদ করলেও প্রশাসনের অসহযোগিতার কারণে তা কোন কাজে আসে নাই। জমির রেকর্ডভুক্ত মালিকদের অসহায় অবস্থার সুযোগে তাদের চোখের সামনেই গত তিন বছর যাবত কোন রকম জোরালো বাঁধা ছাড়াই বিতর্কিত স্বপ্ন সারথী নামক ১০ তলা বিশিষ্ট ভবনটির নির্মাণ কাজ চলতে থাকে। এভাবে ভবনটির ছয়তলার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে ভূমিদস্যু চক্রটির হোতারা গা ঢাকা দেওয়ার কারণে ভবনটির নির্মাণ কাজ থমকে যায়। কিন্তু হঠাৎ করে গত ১৪ অক্টোবর ওই ভবনের নির্মাণ কাজ করতে দেখে ওই জমির রেকর্ডভুক্ত মালিকগণ তাতে বাঁধা দেন। এবং নালিশি জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখতে বললে উভয়পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এর এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। এতে করে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
অবস্থায় ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একটি দৈনিক পত্রিকায় গত ২০ অক্টোবর “গাজীপুরে চাঁদার দাবিতে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিল সন্ত্রাসীরা” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়: ৫০ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে হত্যার হুমকি এবং এক ফ্ল্যাট মালিকের উপর হামলা এবং অফিস ভাংচুরের অভিযোগে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ফ্ল্যাট মালিকানা দাবিদার লুৎফর রহমানের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই সংবাদে আরও বলা হয়েছে, গত ১৪ অক্টোবর নির্মাণাধীন ভবনের ৬ষ্ঠ তলার ছাদের সেন্টারিং কাজ করার সময় স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ভবনে ঢুকে দাবিকৃত ৫০ লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় রাজমিস্ত্রী ও শ্রমিকদের হত্যার হুমকি দিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয় এবং লুৎফর রহমানকে গার্ডরুমে আটকে এলোপাথাড়ি ভাবে কিল-ঘুষি মেরে আহত করে। ওই সংবাদে আরও বলা হয়, সদর থানার ওসি আরিফুর জানান, জানতে পেরেছি এখানে জমি সংক্রান্ত একটা ঝামেলা আছে। বিস্তারিত জেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এদিকে, প্রকাশিত ওই সংবাদে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করা হয়েছে বলে সংবাদটির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন নালিশি জমির প্রকৃত মালিকানা দাবিদার ভুরুলিয়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রাহিম সরকার গং। আব্দুর রাহিম সরকার পক্ষ নালিশি জমির রেকর্ডপত্র ও দলিল দেখিয়ে তাদের মালিকানার পক্ষে তথ্যাদিও হাজির করেন।
ওইসব রেকর্ডপত্র ও দলিলপত্র ঘেঁটে এবং আব্দুর রাহিম সরকার গং এর বক্তব্য থেকে জানা যায়, গাজীপুর জলার ভুরুলিয়া মৌজার সি.এস ৬৯ নং খতিয়ানের সি.এস ২৪৩ নং দাগের ১০ বিঘা জমি সাফকবলা দলিলমূলে ১৯৪৭ সালে মালিক হন স্থানীয় কেয়ামদ্দিন সরকারের তিন ছেলে আবুল হোসেন সরকার, হাসেন উদ্দিন সরকার এবং ওসমান গনি সরকার। পরবর্তীতে তাদের নামে এস.এ ১২৭, আর.এস ৫৭, খতিয়ানের সি.এস ও এস.এ *** ২৪৩, আর.এস ৪৫৮ দাগে মোট ৩৬১ শতাংশ জমির মধ্যে ১৮০ শতাংশ শুদ্ধভাবে রেকর্ড হয়। তাদের প্রত্যেকের নামে সমানহারে ৬০ শতাংশ করে জমি শুদ্ধরূপে আর.এস রেকর্ডভুক্ত হয়। পরবর্তীতে আবুল হোসেন সরকার ৪০ শতাংশ এবং হাসেন উদ্দিন ৪৬ শতাংশ জমি বিক্রয় করে দেন। বিক্রিত জমিসহ উল্লেখিত দাগে অন্যান্য মালিকগণের বেশ কিছু জমি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্বিবিদ্যালয়ের ২য় ক্যাম্পাসের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ওসমান গণি সরকার কোন জমি বিক্রয় বা হস্তান্তর না করায় তাঁর মৃত্যুর পর ৬০ শতাংশ জমি উত্তরাধিকার সূত্রে বন্টননামা দলিল এর ভিত্তিতে মালিক হন তাঁর ৪ ছেলে তথা আব্দুর রাহিম সরকার গং।
এরমধ্যে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন গং এর নামে পাওয়ার দলিল সৃষ্টি করা হয়। এই জাল-জালিয়াত চক্রের সদস্য ফ্ল্যাটের মালিক দাবিদার লুৎফর রহমান পেশায় একজন দলিল লেখক। তারা যোগসাজশ করে দাগ ও খতিয়ান টেম্পারিং এর মাধ্যমে জাল দলিলটি সৃষ্টি করেন। এবং আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন এর সাথে আঁতাত করে ভূমিদস্যু চক্রটি তিন বছর আগে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে।
কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই ভবনের নির্মাণ কাজ ফেলে দখলদাররা পালিয়ে যায়। কয়েকদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তিনি একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে বর্তমানে কারাগারে আটক আছেন। কিন্তু কারাগারে বসেই তিনি এখনও কলকাঠি নাড়ছেন। সেখানে বসেই হুকুম জারি করে তিনি জমি জবরদখলের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় গণমাধ্যমে এ বিষয়টি নিয়ে বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ফরমায়েশি সংবাদ প্রকাশিত হয় বলে অভিযোগে দাবি করেন আব্দুর রাহিম সরকার গং।
গাজীপুরে ভূমিদস্যুতা ও দখলদারিত্বের এমন ভয়াবহ চিত্র দেশের আইনের শাসনের ওপর বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন তৈরি করছে। যদিও কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন বর্তমানে কারাগারে, তবুও তার নেতৃত্বে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের সক্রিয়তা স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। ভবিষ্যতে এমন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নিয়ে জমি দখল ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধ বন্ধ করার দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের নিরপেক্ষ ও কার্যকর ভূমিকা এখানে অত্যন্ত জরুরি।
ওইসব রেকর্ডপত্র ও দলিলপত্র ঘেঁটে এবং আব্দুর রাহিম সরকার গং এর বক্তব্য থেকে জানা যায়, গাজীপুর জলার ভুরুলিয়া মৌজার সি.এস ৬৯ নং খতিয়ানের সি.এস ২৪৩ নং দাগের ১০ বিঘা জমি সাফকবলা দলিলমূলে ১৯৪৭ সালে মালিক হন স্থানীয় কেয়ামদ্দিন সরকারের তিন ছেলে আবুল হোসেন সরকার, হাসেন উদ্দিন সরকার এবং ওসমান গনি সরকার। পরবর্তীতে তাদের নামে এস.এ ১২৭, আর.এস ৫৭, খতিয়ানের সি.এস ও এস.এ *** ২৪৩, আর.এস ৪৫৮ দাগে মোট ৩৬১ শতাংশ জমির মধ্যে ১৮০ শতাংশ শুদ্ধভাবে রেকর্ড হয়। তাদের প্রত্যেকের নামে সমানহারে ৬০ শতাংশ করে জমি শুদ্ধরূপে আর.এস রেকর্ডভুক্ত হয়। পরবর্তীতে আবুল হোসেন সরকার ৪০ শতাংশ এবং হাসেন উদ্দিন ৪৬ শতাংশ জমি বিক্রয় করে দেন। বিক্রিত জমিসহ উল্লেখিত দাগে অন্যান্য মালিকগণের বেশ কিছু জমি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্বিবিদ্যালয়ের ২য় ক্যাম্পাসের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ওসমান গণি সরকার কোন জমি বিক্রয় বা হস্তান্তর না করায় তাঁর মৃত্যুর পর ৬০ শতাংশ জমি উত্তরাধিকার সূত্রে বন্টননামা দলিল এর ভিত্তিতে মালিক হন তাঁর ৪ ছেলে তথা আব্দুর রাহিম সরকার গং।
এরমধ্যে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন গং এর নামে পাওয়ার দলিল সৃষ্টি করা হয়। এই জাল-জালিয়াত চক্রের সদস্য ফ্ল্যাটের মালিক দাবিদার লুৎফর রহমান পেশায় একজন দলিল লেখক। তারা যোগসাজশ করে দাগ ও খতিয়ান টেম্পারিং এর মাধ্যমে জাল দলিলটি সৃষ্টি করেন। এবং আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন এর সাথে আঁতাত করে ভূমিদস্যু চক্রটি তিন বছর আগে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে।
কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই ভবনের নির্মাণ কাজ ফেলে দখলদাররা পালিয়ে যায়। কয়েকদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকার পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইমিগ্রেশন পুলিশ কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। তিনি একটি হত্যা মামলার আসামি হিসেবে বর্তমানে কারাগারে আটক আছেন। কিন্তু কারাগারে বসেই তিনি এখনও কলকাঠি নাড়ছেন। সেখানে বসেই হুকুম জারি করে তিনি জমি জবরদখলের চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় গণমাধ্যমে এ বিষয়টি নিয়ে বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত ফরমায়েশি সংবাদ প্রকাশিত হয় বলে অভিযোগে দাবি করেন আব্দুর রাহিম সরকার গং।
গাজীপুরে ভূমিদস্যুতা ও দখলদারিত্বের এমন ভয়াবহ চিত্র দেশের আইনের শাসনের ওপর বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন তৈরি করছে। যদিও কাজী আলিম উদ্দিন বুদ্দিন বর্তমানে কারাগারে, তবুও তার নেতৃত্বে ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের সক্রিয়তা স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। ভবিষ্যতে এমন অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নিয়ে জমি দখল ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধ বন্ধ করার দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসনের নিরপেক্ষ ও কার্যকর ভূমিকা এখানে অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন: