করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে দলের নিহত, আহত এবং নির্যাতিত নেতাকর্মীর পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করতেও বলা হয়েছে। কারা নির্যাতিতদের আইনি সহায়তা, আহতদের চিকিৎসাসহ নিহতদের পরিবারের প্রকৃত অবস্থার খোঁজখবর নিতে স্থানীয় নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন দলের হাইকমান্ড। একই সঙ্গে কোটা আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে স্থানীয় নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছে বিরোধী দলটি।
বিএনপি নেতারা জানান, সারাদেশে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকায় ‘ম্যান টু ম্যান’ টেলিফোনে যোগাযোগ করে মাঠের চিত্র তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে আহত, নিহত, মামলার সংখ্যা, আসামির সংখ্যা, গ্রেপ্তার, কারাগার, নিখোঁজ নেতাকর্মীর তালিকা করা সম্ভব হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিভিন্নভাবে যেসব তথ্য আসছে, সেগুলো রীতিমতো লোমহর্ষক এবং মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
জানা গেছে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের শুরু থেকেই নৈতিক সমর্থন জানায় বিএনপি। তবে সাংগঠনিকভাবে সরাসরি অংশগ্রহণের বিষয়ে দলের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি ছিল। কেউ পক্ষে থাকলে বিপক্ষেও ছিল। দলের হাইকমান্ডের এমন দোটানার মধ্যেই দলটির তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত হন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন মাঠে। বিশেষত, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মাঠে ছিলেন স্বপ্রণোদিতভাবে। তাদের অনেকেই আন্দোলনে আহত হয়েছেন। নিহতও হয়েছেন। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। কারাগারে গেছেন অসংখ্য নেতাকর্মী। তবে এর কোনো সঠিক তথ্য নেই দলটির কাছে।
বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, সরকার পুরো দেশটাকে অস্থিরতার মধ্যে নিয়ে গেছে। নিজেদের অবৈধ ক্ষমতার মসনদ ঠিক রাখতে গিয়ে সবকিছু এলোমেলো করছে। এ পরিস্থিতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। এমন অবস্থার মধ্যেও দলের নেতাকর্মীর অবস্থা জানানোর জন্য বিশেষ করে মামলার সংখ্যা, আহত, নিহত, গ্রেপ্তার, কারাগার এবং নিখোঁজ নেতাকর্মীর বিষয়ে তালিকা পাঠানোর জন্য সাংগঠনিক ইউনিট কমিটিকে বলা হয়েছে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে অনেক নেতাকর্মীর এখনও কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলেও সন্ধান দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আদালতেও তোলা হচ্ছে না। ফলে এক ধরনের ভীতিকর অবস্থা চলছে পুরো দলের মধ্যে। এর মধ্যে ছাত্রদল নেতা দবিরউদ্দিন তুষার, রিয়াদ ইকবাল, এইচ এম আবু জাফর, তবিবুর রহমান সাগর, আবু হান্নান তালুকদার, ইমাম আল নাসের মিশুক, ফজলুর রহমান বিজয়, ইরফান আহমেদ ফাহিম, ফেরদৌস মাহমুদ রুবেল ও নাজমুর হাসান পাপনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তিন-চার দিন আগে। এখনও তাদের সন্ধান মিলছে না। আদাবর থানা বিএনপি নেতা মনোয়ার হোসেন জীবনকে পাওয়া যাচ্ছে না আজ ৯ দিন। এরকম আরও অনেক নেতাকর্মী নিখোঁজ রয়েছেন।
তারা জানান, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একদিকে পুলিশ, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর হামলায়ও দলের অনেকে আহত হয়েছেন। আহত এসব নেতাকর্মীর চাপেও হিমশিম অবস্থা বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্বশীল নেতাদের। চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের নেতারাও আছেন বেশ চাপে। একজন চিকিৎসক জানান, শুধু ঢাকাতেই কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। একদিকে আর্থিক সংকট, অন্যদিকে আইনি জটিলতায় পড়ছেন তারা। নিরাপদ চিকিৎসার জন্য কোথাও যেতে পারছেন না। হাসপাতালে গেলেই গ্রেপ্তার হতে হচ্ছে তাদের।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে দলের নিহত, আহত এবং নির্যাতিত নেতাকর্মীর পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করতেও বলা হয়েছে। কারা নির্যাতিতদের আইনি সহায়তা, আহতদের চিকিৎসাসহ নিহতদের পরিবারের প্রকৃত অবস্থার খোঁজখবর নিতে স্থানীয় নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছেন দলের হাইকমান্ড। একই সঙ্গে কোটা আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থী, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে স্থানীয় নেতাদের নির্দেশনা দিয়েছে বিরোধী দলটি।
বিএনপি নেতারা জানান, সারাদেশে ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন থাকায় ‘ম্যান টু ম্যান’ টেলিফোনে যোগাযোগ করে মাঠের চিত্র তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে আহত, নিহত, মামলার সংখ্যা, আসামির সংখ্যা, গ্রেপ্তার, কারাগার, নিখোঁজ নেতাকর্মীর তালিকা করা সম্ভব হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিভিন্নভাবে যেসব তথ্য আসছে, সেগুলো রীতিমতো লোমহর্ষক এবং মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
জানা গেছে, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনের শুরু থেকেই নৈতিক সমর্থন জানায় বিএনপি। তবে সাংগঠনিকভাবে সরাসরি অংশগ্রহণের বিষয়ে দলের মধ্যে দ্বিধাবিভক্তি ছিল। কেউ পক্ষে থাকলে বিপক্ষেও ছিল। দলের হাইকমান্ডের এমন দোটানার মধ্যেই দলটির তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী আন্দোলনে সরাসরি সম্পৃক্ত হন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছিলেন মাঠে। বিশেষত, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মাঠে ছিলেন স্বপ্রণোদিতভাবে। তাদের অনেকেই আন্দোলনে আহত হয়েছেন। নিহতও হয়েছেন। আবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাঁড়াশি অভিযানে গ্রেপ্তারও হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। কারাগারে গেছেন অসংখ্য নেতাকর্মী। তবে এর কোনো সঠিক তথ্য নেই দলটির কাছে।
বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু বলেন, সরকার পুরো দেশটাকে অস্থিরতার মধ্যে নিয়ে গেছে। নিজেদের অবৈধ ক্ষমতার মসনদ ঠিক রাখতে গিয়ে সবকিছু এলোমেলো করছে। এ পরিস্থিতিতে যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। এমন অবস্থার মধ্যেও দলের নেতাকর্মীর অবস্থা জানানোর জন্য বিশেষ করে মামলার সংখ্যা, আহত, নিহত, গ্রেপ্তার, কারাগার এবং নিখোঁজ নেতাকর্মীর বিষয়ে তালিকা পাঠানোর জন্য সাংগঠনিক ইউনিট কমিটিকে বলা হয়েছে।
বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে অনেক নেতাকর্মীর এখনও কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাদের সাদা পোশাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হলেও সন্ধান দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আদালতেও তোলা হচ্ছে না। ফলে এক ধরনের ভীতিকর অবস্থা চলছে পুরো দলের মধ্যে। এর মধ্যে ছাত্রদল নেতা দবিরউদ্দিন তুষার, রিয়াদ ইকবাল, এইচ এম আবু জাফর, তবিবুর রহমান সাগর, আবু হান্নান তালুকদার, ইমাম আল নাসের মিশুক, ফজলুর রহমান বিজয়, ইরফান আহমেদ ফাহিম, ফেরদৌস মাহমুদ রুবেল ও নাজমুর হাসান পাপনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তিন-চার দিন আগে। এখনও তাদের সন্ধান মিলছে না। আদাবর থানা বিএনপি নেতা মনোয়ার হোসেন জীবনকে পাওয়া যাচ্ছে না আজ ৯ দিন। এরকম আরও অনেক নেতাকর্মী নিখোঁজ রয়েছেন।
তারা জানান, আন্দোলনকে কেন্দ্র করে একদিকে পুলিশ, অন্যদিকে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর হামলায়ও দলের অনেকে আহত হয়েছেন। আহত এসব নেতাকর্মীর চাপেও হিমশিম অবস্থা বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্বশীল নেতাদের। চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের নেতারাও আছেন বেশ চাপে। একজন চিকিৎসক জানান, শুধু ঢাকাতেই কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। একদিকে আর্থিক সংকট, অন্যদিকে আইনি জটিলতায় পড়ছেন তারা। নিরাপদ চিকিৎসার জন্য কোথাও যেতে পারছেন না। হাসপাতালে গেলেই গ্রেপ্তার হতে হচ্ছে তাদের।
মন্তব্য করুন: