করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নগর মাতৃ সদন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তদন্ত ও পরিদর্শন শেষে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটির ১৩ দফা সুপারিশ সম্বলিত এক তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে অনিয়মের প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে ওই মাতৃ সদন কেন্দ্রে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। এর পরও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সিও এই সমস্ত অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করলেও প্রকৃত অপরাধীরা রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এদিকে প্রভাবশালী প্রকল্প ম্যানেজার পাপিয়া রহমানের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে হাসপাতালের যে সমস্ত কর্মকর্তা কর্মচারী প্রতিবাদ করেছেন তাদেরকে বদলী সহ চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে এবং তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দাক্ষিণ খান এলাকার রাবেয়া আনোয়ার নগর মাতৃ সদন কেন্দ্রের প্রকল্প ম্যানেজারের বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম অভিযোগ। ওই প্রকল্পের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ বা মুখ খুললে তাকেই সাথে সাথে বদলীসহ নানা ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয়। এই মাতৃ সদনে আগত ডেলিভারি রোগীদের নিকট থেকে অনৈতিকভাবে টাকা আদায়, নরমাল ও সিজার ডেলিভারি রোগীর সংখ্যা বেশী দেখানো, রেডকার্ড ও জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি দেখানোসহ আয়-ব্যয় হিসেবে গড়মিলসহ বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগসহ অতিরিক্ত রোগীর সংখ্যা দেখিয়ে লাইগেশনের টাকা আত্মসাৎ, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স রোগীদের কাজে না লাগিয়ে প্রজেক্ট ম্যানেজার পাপিয়া তার ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন। এছাড়াও হাসপাতালের ইন্সট্রুমেন্ট, ফার্নিচার, ক্রয়ে ব্যাপক দুর্নীতিসহ রেড কার্ডের রোগী থেকে জোরপূর্বক চার্জ নেওয়া, অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কর্মী নিয়োগ, ট্রেনিং এ নাম দেওয়া না দেওয়া ও বদলী করা, অনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে হাসপাতালের ভেতরে পারিবারিক অনুষ্ঠান করার অভিযোগ উঠেছে।
প্রজেক্ট ম্যানেজারের এই সমস্ত অপকর্মের এবং অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ইতোমধ্যেই কয়েক জনকে অন্য কেন্দ্র বদলী করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এই পাপিয়া রহমান কম দামে নিম্ন মানের ঔষধ ক্রয় করে রেজিস্ট্রার খাতায় উচ্চ মূল্যে লিখে তা আত্মসাৎ করেন। ২৫ টাকায় নিম্ন মানের গ্লাভস ক্রয় করে ৭০ টাকা আদায় করা হয়ে থাকে। এই সমস্ত কমদামি গ্লাভস ব্যবহারের কারণে বেশির ভাগ সিজার হওয়া রোগী ইনফেকশন হয়ে স্বাস্থ্যসেবা ঝুঁকিতে পরছেন।
প্রতিবেদনের সুপারিশ সমূহ থেকে জানা যায়, FPAB, PA-1,GCC,UPHCSDP-ll এর আগষ্ট ২০১৯ হতে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত মোট আয় ২,৬৬,৬২,৫০৬/- টাকা। FPAB কর্তৃক পিএমইউ’তে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে আয় দেখানো হয়েছে ২,২২,১৬,৩৯৭/- টাকা। এতে ৪৪,৪৬,১০৯/- টাকা কম দেখিয়ে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠায় পার্টনার এনজিও এর সংশ্লিষ্ট ফোকাল পারসনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
তারা প্রদর্শনকালীন সময়ে নথিপত্র যাচাই করে দেখতে পান প্রকল্পের হেড অফিসে ২০১৯-২০, ২০-২১ ২১-২২ অর্থ বছরে মেডিসিন, মেডিকেল সার্টিকেল যন্ত্রপাতি এবং ফার্নিচার ক্রয়ের ক্ষেত্রে পিপিআর ২০০৮ এর নিয়ম অনুসরণ না করাসহ রেডকার্ড রোগীদের সেবা না দেওয়া, রেডকার্ড রেজিস্ট্রার যথাযথভাবে ব্যবহার না করা, ইপিআই রোগীর নিকট থেকে অর্থ নেওয়া, রেডকার্ড রোগীর তথ্যে গরমিল ও তথ্য না রাখা সহ রেডকার্ড রোগীকে সেবা না দিয়ে তথ্য রাখা। এম.আর. রোগীর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়াসহ ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ইউপি এইচসি এসডিপি-২ এবং জিসিসিসহ পরবর্তী অ্যাকশন প্লান চাওয়া সুপারিশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নগর মাতৃ সদন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তদন্ত ও পরিদর্শন শেষে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটির ১৩ দফা সুপারিশ সম্বলিত এক তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হলেও জড়িতদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে অনিয়মের প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে ওই মাতৃ সদন কেন্দ্রে প্রায় অর্ধ কোটি টাকার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। এর পরও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সিও এই সমস্ত অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করলেও প্রকৃত অপরাধীরা রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাইরে।
এদিকে প্রভাবশালী প্রকল্প ম্যানেজার পাপিয়া রহমানের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে হাসপাতালের যে সমস্ত কর্মকর্তা কর্মচারী প্রতিবাদ করেছেন তাদেরকে বদলী সহ চাকরিচ্যুত করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে এবং তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দাক্ষিণ খান এলাকার রাবেয়া আনোয়ার নগর মাতৃ সদন কেন্দ্রের প্রকল্প ম্যানেজারের বিরুদ্ধে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম অভিযোগ। ওই প্রকল্পের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ বা মুখ খুললে তাকেই সাথে সাথে বদলীসহ নানা ধরনের ঝামেলা পোহাতে হয়। এই মাতৃ সদনে আগত ডেলিভারি রোগীদের নিকট থেকে অনৈতিকভাবে টাকা আদায়, নরমাল ও সিজার ডেলিভারি রোগীর সংখ্যা বেশী দেখানো, রেডকার্ড ও জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি দেখানোসহ আয়-ব্যয় হিসেবে গড়মিলসহ বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগসহ অতিরিক্ত রোগীর সংখ্যা দেখিয়ে লাইগেশনের টাকা আত্মসাৎ, হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স রোগীদের কাজে না লাগিয়ে প্রজেক্ট ম্যানেজার পাপিয়া তার ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবহার করেন। এছাড়াও হাসপাতালের ইন্সট্রুমেন্ট, ফার্নিচার, ক্রয়ে ব্যাপক দুর্নীতিসহ রেড কার্ডের রোগী থেকে জোরপূর্বক চার্জ নেওয়া, অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কর্মী নিয়োগ, ট্রেনিং এ নাম দেওয়া না দেওয়া ও বদলী করা, অনৈতিকভাবে লাভবান হয়ে হাসপাতালের ভেতরে পারিবারিক অনুষ্ঠান করার অভিযোগ উঠেছে।
প্রজেক্ট ম্যানেজারের এই সমস্ত অপকর্মের এবং অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ইতোমধ্যেই কয়েক জনকে অন্য কেন্দ্র বদলী করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, এই পাপিয়া রহমান কম দামে নিম্ন মানের ঔষধ ক্রয় করে রেজিস্ট্রার খাতায় উচ্চ মূল্যে লিখে তা আত্মসাৎ করেন। ২৫ টাকায় নিম্ন মানের গ্লাভস ক্রয় করে ৭০ টাকা আদায় করা হয়ে থাকে। এই সমস্ত কমদামি গ্লাভস ব্যবহারের কারণে বেশির ভাগ সিজার হওয়া রোগী ইনফেকশন হয়ে স্বাস্থ্যসেবা ঝুঁকিতে পরছেন।
প্রতিবেদনের সুপারিশ সমূহ থেকে জানা যায়, FPAB, PA-1,GCC,UPHCSDP-ll এর আগষ্ট ২০১৯ হতে ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত মোট আয় ২,৬৬,৬২,৫০৬/- টাকা। FPAB কর্তৃক পিএমইউ’তে দাখিলকৃত প্রতিবেদনে আয় দেখানো হয়েছে ২,২২,১৬,৩৯৭/- টাকা। এতে ৪৪,৪৬,১০৯/- টাকা কম দেখিয়ে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ উঠায় পার্টনার এনজিও এর সংশ্লিষ্ট ফোকাল পারসনের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
তারা প্রদর্শনকালীন সময়ে নথিপত্র যাচাই করে দেখতে পান প্রকল্পের হেড অফিসে ২০১৯-২০, ২০-২১ ২১-২২ অর্থ বছরে মেডিসিন, মেডিকেল সার্টিকেল যন্ত্রপাতি এবং ফার্নিচার ক্রয়ের ক্ষেত্রে পিপিআর ২০০৮ এর নিয়ম অনুসরণ না করাসহ রেডকার্ড রোগীদের সেবা না দেওয়া, রেডকার্ড রেজিস্ট্রার যথাযথভাবে ব্যবহার না করা, ইপিআই রোগীর নিকট থেকে অর্থ নেওয়া, রেডকার্ড রোগীর তথ্যে গরমিল ও তথ্য না রাখা সহ রেডকার্ড রোগীকে সেবা না দিয়ে তথ্য রাখা। এম.আর. রোগীর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়াসহ ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ইউপি এইচসি এসডিপি-২ এবং জিসিসিসহ পরবর্তী অ্যাকশন প্লান চাওয়া সুপারিশ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন: