নাহিদ ইসলাম। ফাইল ছবি |
করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও উন্নয়ন নিয়ে চলমান বিতর্কের প্রেক্ষাপটে, অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠনের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেছেন। গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক আইনগুলোর সমস্যাগুলো সমাধানে এই কমিশনের প্রয়োজনীয়তা এবং এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এ নিয়ে নানা পক্ষ থেকে ভিন্ন ভিন্ন মত উঠে আসছে।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (রবিবার) রাত ১০টায় 'দ্য বাংলাদেশি কমিউনিকেশন স্কলারস ইন নর্থ আমেরিকা' আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যম নীতি সংস্কার নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য বিদ্যমান নিয়ন্ত্রণমূলক আইনগুলোর সমন্বিত সমাধান করতে সরকার একটি গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি করতে সরকার এই কমিশনকে নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে নয়, বরং একটি গাইডলাইন আকারে দেখতে চায়। কমিশন নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের মাঝে মতানৈক্য থাকলেও, গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে সরকার সব পক্ষকে নিয়ে সমাধানের পথ খুঁজছে।
সেমিনারে নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবির তার বক্তব্যে বলেন, নতুন বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। তিনি দাবি করেন, গণতান্ত্রিক সাংবাদিকতাকে নিয়ন্ত্রণে সরকারি বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হয়, যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ব্যাহত করছে। তিনি গণমাধ্যমের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ফাহমিদুল হক তার বক্তব্যে বিদ্যমান নীতি ও আইনের বেশ কিছু নিয়ন্ত্রণমূলক ধারা পরিবর্তন করার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম নীতি এমন হতে হবে, যাতে মিডিয়া খাতকে সহায়তা করা যায় এবং তা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
ড. আনিস রহমান ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মালিকানা সংকট, অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও মানসম্পন্ন সাংবাদিকতার জন্য তিনটি বড় চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন। তিনি সুপারিশ করেন যে, নতুন কমিশন যেন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় এবং গণমাধ্যমের সকল স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।
সেমিনারে যমুনা টিভির সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, উন্নত দেশগুলোতে গণমাধ্যম কমিশন আছে এবং বাংলাদেশেও এমন একটি শক্তিশালী কমিশন গঠনের সময় এসেছে। তিনি উল্লেখ করেন, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণের ভীতি সরিয়ে নিতে শক্তিশালী নীতিমালা প্রয়োজন।
ড. মোহাম্মদ আলা-উদ্দিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপালের উদাহরণ দিয়ে বলেন, সেখানে স্কুল পর্যায় থেকেই সাংবাদিকতা সম্পর্কে শিক্ষাদান করা হয় এবং গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়। তিনি বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য নীতিমালায় দিকনির্দেশনার প্রস্তাব দেন।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক কর্নেল ইউনিভার্সিটির ড. জামাল উদ্দিন জানান, গণমাধ্যম সংস্কার প্রক্রিয়ায় 'বাংলাদেশি কমিউনিকেশন স্কলারস ইন নর্থ আমেরিকা' (বিসিএসএনএ) যে কোন ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠনের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের গণমাধ্যম খাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে নানা মহলে মতানৈক্য থাকলেও, সরকারের পক্ষ থেকে গণতান্ত্রিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বাধীন নীতিমালা প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি আশা জাগাচ্ছে।
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও উন্নয়ন নিয়ে চলমান বিতর্কের প্রেক্ষাপটে, অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠনের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেছেন। গণমাধ্যমের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক আইনগুলোর সমস্যাগুলো সমাধানে এই কমিশনের প্রয়োজনীয়তা এবং এর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে এ নিয়ে নানা পক্ষ থেকে ভিন্ন ভিন্ন মত উঠে আসছে।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ (রবিবার) রাত ১০টায় 'দ্য বাংলাদেশি কমিউনিকেশন স্কলারস ইন নর্থ আমেরিকা' আয়োজিত ভার্চুয়াল সেমিনারে অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যম নীতি সংস্কার নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, পত্রিকা, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের জন্য বিদ্যমান নিয়ন্ত্রণমূলক আইনগুলোর সমন্বিত সমাধান করতে সরকার একটি গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি করতে সরকার এই কমিশনকে নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে নয়, বরং একটি গাইডলাইন আকারে দেখতে চায়। কমিশন নিয়ে বিভিন্ন পক্ষের মাঝে মতানৈক্য থাকলেও, গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে সরকার সব পক্ষকে নিয়ে সমাধানের পথ খুঁজছে।
সেমিনারে নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবির তার বক্তব্যে বলেন, নতুন বাংলাদেশের একটি সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে। তিনি দাবি করেন, গণতান্ত্রিক সাংবাদিকতাকে নিয়ন্ত্রণে সরকারি বিজ্ঞাপন ব্যবহার করা হয়, যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ব্যাহত করছে। তিনি গণমাধ্যমের জন্য একটি অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ফাহমিদুল হক তার বক্তব্যে বিদ্যমান নীতি ও আইনের বেশ কিছু নিয়ন্ত্রণমূলক ধারা পরিবর্তন করার প্রস্তাব দেন। তিনি বলেন, গণমাধ্যম নীতি এমন হতে হবে, যাতে মিডিয়া খাতকে সহায়তা করা যায় এবং তা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
ড. আনিস রহমান ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মালিকানা সংকট, অর্থনৈতিক সক্ষমতা ও মানসম্পন্ন সাংবাদিকতার জন্য তিনটি বড় চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন। তিনি সুপারিশ করেন যে, নতুন কমিশন যেন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় এবং গণমাধ্যমের সকল স্টেকহোল্ডারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে।
সেমিনারে যমুনা টিভির সিইও ফাহিম আহমেদ বলেন, উন্নত দেশগুলোতে গণমাধ্যম কমিশন আছে এবং বাংলাদেশেও এমন একটি শক্তিশালী কমিশন গঠনের সময় এসেছে। তিনি উল্লেখ করেন, গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সরকারি নিয়ন্ত্রণের ভীতি সরিয়ে নিতে শক্তিশালী নীতিমালা প্রয়োজন।
ড. মোহাম্মদ আলা-উদ্দিন দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপালের উদাহরণ দিয়ে বলেন, সেখানে স্কুল পর্যায় থেকেই সাংবাদিকতা সম্পর্কে শিক্ষাদান করা হয় এবং গণমাধ্যমের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হয়। তিনি বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য নীতিমালায় দিকনির্দেশনার প্রস্তাব দেন।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালক কর্নেল ইউনিভার্সিটির ড. জামাল উদ্দিন জানান, গণমাধ্যম সংস্কার প্রক্রিয়ায় 'বাংলাদেশি কমিউনিকেশন স্কলারস ইন নর্থ আমেরিকা' (বিসিএসএনএ) যে কোন ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন গঠনের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের গণমাধ্যম খাতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। তবে কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে নানা মহলে মতানৈক্য থাকলেও, সরকারের পক্ষ থেকে গণতান্ত্রিক মানদণ্ডের ভিত্তিতে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও স্বাধীন নীতিমালা প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি আশা জাগাচ্ছে।
মন্তব্য করুন: