স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলোর হুমকি এবং তাদের প্রভাব বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বিশেষ করে জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই সংশোধন কমিটি বাতিলের সিদ্ধান্তকে টিআইবি 'বিপজ্জনক এবং আপসকামী' হিসেবে অভিহিত করেছে। এই পদক্ষেপকে তারা 'নতুন বাংলাদেশ' গড়ার অসাম্প্রদায়িক চেতনার জন্য বিপর্যয় হিসেবে দেখছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর হুমকির মুখে জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই সংশোধন কমিটি বাতিল করা দেশের অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে আঘাত করেছে। আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) টিআইবি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছে, এই সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আপস করার একটি দৃষ্টান্ত, যা গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন 'নতুন বাংলাদেশ' গড়ার আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, "জাতির অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন আজ মৌলবাদী শক্তির চাপে হুমকির মুখে। অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি তাদের আদর্শ সমাজে বলপূর্বক চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আর এরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটি বাতিলের সিদ্ধান্তে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক যে, সরকার মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হুমকির সামনে নতি স্বীকার করছে।"
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, "বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মূল চেতনা, যা সমঅধিকার, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ এবং অসাম্প্রদায়িক নীতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, সেটিই অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতার ভিত্তি হওয়া উচিত। আমরা আশা করি, সরকার এই নীতির প্রতি অটল থেকে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো আপস না করে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাবে।"
সিটিজেন সোসাইটির সভাপতি জুলীয়াস চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী শক্তির প্রভাব মোকাবিলায় রাষ্ট্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার মতো মৌলিক বিষয়ে আপস করা দীর্ঘমেয়াদে অসাম্প্রদায়িক চেতনার ক্ষতি করতে পারে। টিআইবি যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তা শুধু বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে নয়, বরং এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য সরকারের উচিত মৌলবাদী চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক এবং বৈষম্যহীন 'নতুন বাংলাদেশ' গঠনের লক্ষ্যে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া।
বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীগুলোর হুমকি এবং তাদের প্রভাব বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপগুলো নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বিশেষ করে জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই সংশোধন কমিটি বাতিলের সিদ্ধান্তকে টিআইবি 'বিপজ্জনক এবং আপসকামী' হিসেবে অভিহিত করেছে। এই পদক্ষেপকে তারা 'নতুন বাংলাদেশ' গড়ার অসাম্প্রদায়িক চেতনার জন্য বিপর্যয় হিসেবে দেখছে।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর হুমকির মুখে জাতীয় শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই সংশোধন কমিটি বাতিল করা দেশের অসাম্প্রদায়িক ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে আঘাত করেছে। আজ সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) টিআইবি গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেছে, এই সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে আপস করার একটি দৃষ্টান্ত, যা গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যহীন 'নতুন বাংলাদেশ' গড়ার আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, "জাতির অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের স্বপ্ন আজ মৌলবাদী শক্তির চাপে হুমকির মুখে। অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি তাদের আদর্শ সমাজে বলপূর্বক চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আর এরই প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে পাঠ্যপুস্তক সংশোধন কমিটি বাতিলের সিদ্ধান্তে। এটা অত্যন্ত উদ্বেগজনক যে, সরকার মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর হুমকির সামনে নতি স্বীকার করছে।"
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, "বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মূল চেতনা, যা সমঅধিকার, অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ এবং অসাম্প্রদায়িক নীতির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে, সেটিই অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতার ভিত্তি হওয়া উচিত। আমরা আশা করি, সরকার এই নীতির প্রতি অটল থেকে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো আপস না করে রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে কাজ চালিয়ে যাবে।"
সিটিজেন সোসাইটির সভাপতি জুলীয়াস চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী শক্তির প্রভাব মোকাবিলায় রাষ্ট্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার মতো মৌলিক বিষয়ে আপস করা দীর্ঘমেয়াদে অসাম্প্রদায়িক চেতনার ক্ষতি করতে পারে। টিআইবি যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, তা শুধু বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে নয়, বরং এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যও একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এজন্য সরকারের উচিত মৌলবাদী চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক এবং বৈষম্যহীন 'নতুন বাংলাদেশ' গঠনের লক্ষ্যে দৃঢ় অবস্থান নেওয়া।
মন্তব্য করুন: