জুলীয়াস চৌধুরী
বাংলাদেশের সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি সোনা নিয়ে চলমান আলোচনা সামাজিক ও গণমাধ্যমে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এলজিআরডি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মন্তব্যের পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। তবে ব্যাংকটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনা তিন বছর আগের এবং বিষয়টি ইতোমধ্যেই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তের আওতায় এসেছে। এই প্রতিবেদনটিতে সেই সোনার গায়েবের ঘটনা ও এর পেছনের কারণগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
উপদেষ্টার বক্তব্য
কুমিল্লার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনে এলজিআরডি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, সমবায় ব্যাংকের বেশ কিছু সম্পত্তি ও সম্পদ বেদখল হয়ে গেছে। তার মতে, সমবায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বশীলদের অনেকেই জড়িত ছিলেন এই অনিয়মে। সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি হলো ১২ হাজার ভরি সোনার গায়েব হওয়া। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সোনা গায়েবের ঘটনা
এই কেলেঙ্কারির শুরু ২০২০ সালে, যখন নারায়ণগঞ্জ কোঅপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি নামে একটি সমবায় সমিতির সদস্যরা ব্যাংকে মোট ১২ হাজার ভরি সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছিল। পরবর্তীতে, কোভিড-১৯ মহামারির সময় ওই সমিতি দেউলিয়া হয়ে যায় এবং ব্যাংক সোনা নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তা ভুয়া সদস্যদের মাধ্যমে সোনা তুলে নেয়। ভুয়া গ্রাহকদের মাধ্যমে প্রায় ৮ হাজার ভরি সোনা আত্মসাতের ঘটনা ঘটানো হয়, যা পরবর্তীতে প্রকাশ পায়।
তদন্ত ও মামলার অগ্রগতি
ঘটনার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দুদককে অবহিত করে এবং দুদক এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। ২০২১ সালে এই মামলায় ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, যার মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মামলার চার্জশিটে সাবেক চেয়ারম্যানসহ অন্য অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করা হয়। দুদকের মামলাটি এখনও বিচারাধীন এবং অভিযুক্তরা বর্তমানে জামিনে আছেন।
সমবায় ব্যাংকের সোনা আত্মসাতের এই ঘটনা দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় একটি গুরুতর উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্নীতির এমন ঘটনায় অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। দুদকের তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করা জরুরি। এছাড়া ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রোধে সমবায় ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে নজরদারি এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন রয়েছে।
বাংলাদেশের সমবায় ব্যাংকের ১২ হাজার ভরি সোনা নিয়ে চলমান আলোচনা সামাজিক ও গণমাধ্যমে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এলজিআরডি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মন্তব্যের পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। তবে ব্যাংকটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঘটনা তিন বছর আগের এবং বিষয়টি ইতোমধ্যেই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্তের আওতায় এসেছে। এই প্রতিবেদনটিতে সেই সোনার গায়েবের ঘটনা ও এর পেছনের কারণগুলো বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো।
উপদেষ্টার বক্তব্য
কুমিল্লার বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) বার্ষিক পরিকল্পনা সম্মেলনে এলজিআরডি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেন, সমবায় ব্যাংকের বেশ কিছু সম্পত্তি ও সম্পদ বেদখল হয়ে গেছে। তার মতে, সমবায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় দায়িত্বশীলদের অনেকেই জড়িত ছিলেন এই অনিয়মে। সবচেয়ে আলোচিত ঘটনাটি হলো ১২ হাজার ভরি সোনার গায়েব হওয়া। এ বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে এবং দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
সোনা গায়েবের ঘটনা
এই কেলেঙ্কারির শুরু ২০২০ সালে, যখন নারায়ণগঞ্জ কোঅপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি নামে একটি সমবায় সমিতির সদস্যরা ব্যাংকে মোট ১২ হাজার ভরি সোনা বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছিল। পরবর্তীতে, কোভিড-১৯ মহামারির সময় ওই সমিতি দেউলিয়া হয়ে যায় এবং ব্যাংক সোনা নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তা ভুয়া সদস্যদের মাধ্যমে সোনা তুলে নেয়। ভুয়া গ্রাহকদের মাধ্যমে প্রায় ৮ হাজার ভরি সোনা আত্মসাতের ঘটনা ঘটানো হয়, যা পরবর্তীতে প্রকাশ পায়।
তদন্ত ও মামলার অগ্রগতি
ঘটনার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দুদককে অবহিত করে এবং দুদক এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। ২০২১ সালে এই মামলায় ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়, যার মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মামলার চার্জশিটে সাবেক চেয়ারম্যানসহ অন্য অভিযুক্তদের নাম উল্লেখ করা হয়। দুদকের মামলাটি এখনও বিচারাধীন এবং অভিযুক্তরা বর্তমানে জামিনে আছেন।
সমবায় ব্যাংকের সোনা আত্মসাতের এই ঘটনা দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থায় একটি গুরুতর উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দুর্নীতির এমন ঘটনায় অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের আস্থা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। দুদকের তদন্ত এবং বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করা জরুরি। এছাড়া ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা রোধে সমবায় ব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোতে নজরদারি এবং কার্যকর ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন রয়েছে।
মন্তব্য করুন: