যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল |
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, বায়োগ্যাস প্লান্টের সহেযাগীতায় একটি খামার হলে সেখানে যুবদের কর্মসংস্থান হবে। অক্সিজেনকে আমরা নষ্ট করছি, কার্বনডাই অক্সাইডকে নিঃস্মরণ করছি। সারা বিশ্বময় জলবায়ুর যে বিরূপ অবস্থান সে পরিস্থিতি থেকে দেশকে মুক্ত করা এবং এ ধরনের প্লান্ট স্থাপন করা আমাদের দেশে বড় ধরনের প্রভাব রাখবে।
সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২ টায় শহরের আহসান উল্লাহ যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে প্রকল্পের উপকার প্রত্যাশী যুবদের সমন্বিত খামার স্থাপন, সম্প্রসারণ এবং বায়োগ্যাস প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষন কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রথম পর্যায়ে সাড়ে ৪ হাজার ব্যাক্তিকে বায়োগ্যাস স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩১ হাজার টিম ৬২টি উপজেলায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনে কাজ করেছে। এবার ৪৯২টি উপজেলায় একযোগে কাজ করছে যেখানে ৩২ হাজার বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে পারব। যারা খামার স্থাপন করবে তাদের সাথে অমরা সহযোগী হিসেবে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ব্যবস্থা করব। যারা বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করবে তাদের প্রত্যেককে আমরা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ সহযোগীতা দিব।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, ১২২ কোটি টাকার প্রজেক্ট নিয়ে প্রকল্পটি যখন একনেকে উঠে সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী পাশ সেই প্রকল্প করেছেন। বিশ্বে গ্যাসের যে ক্রাইসিস এ ধরনের প্রকল্প আরো বেশি বেশি হওয়া উচিত। এ প্রকল্প যেন বাস্তবায়ন হয় সেজন্য তাগাদা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম পর্যায়ে সফলতা আসছে বলেই আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের এ প্রেজেক্ট হাতে নিতে পেরেছি এবং করতে যাচ্ছি। অনুষ্ঠানে একজন খামারি বলছিলেন তিনি নিজের চাহিদা মিটিয়েও পাশের বাড়িতে বিক্রি করতে পারছেন। আমাদের পরিবার কাঠের উপর নির্ভরশীল। তারা গাছ কেটে চুলা জ্বালিয়ে রান্না করছে।
এত সহজ বায়োগ্যাসের মাধ্যমে নিজের অনেক খরচ কমিয়ে আনা যায়। একটা খামার তৈরি করতে হলে অনেক ধরনের লাইট, ফ্যান ও রান্না করার প্রয়োজন হয়। সেগুলো বায়োগ্যাসের মাধ্যমে করা সম্ভব। শুধু বায়োগ্যাস তৈরি করছি তা নয়। এর মাধ্যমে অনেক ভালো সারও তৈরি করতে পারছি এবং সেই সার আমাদের গাছ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় দেড় লাখ যুবক ও যুব নারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। যাতে করে আমাদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ হয়। সবাইকে আমারা এ ধরনের সুযোগ দিতে পারব না। শুধু যাদের প্রয়োজন তাদেরকে সহযোগীতা করতে পারব। অনেকেই আছেন ইতোমধ্যে খামার স্থাপন করে ফেলেছেন। তাদের হয়তো ঋণের প্রয়োজন হবে না। প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেন আমরা কেন চাকরির পেছনে ঘুরি। যে কাজটি করলে আমরা অন্যদেরকে চাকরি দিতে পারব আমরা সে কাজটি করব। তিনি সবসময় যুব ভাই বোনদেরকে এ কথাটি বলে থাকেন। বর্তমান সময়ে চাকরির বাজার ছোট হয়ে আসলেও কর্মসংস্থানের বাজার বাড়ছে।
সামনে আমাদের কোরবানি ঈদ আসছে। এক সময় বাংলাদেশকে বাইরের গরুর জন্য অপেক্ষায় থাকতে হতো। আমার নিজেদের মাংস নিজেরা উৎপাদিত করছি। এখন আর মাংসের জন্য বাইরের দেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় না। যারা উদ্যোক্তা তারা অত্মকর্মসংস্থানে উদ্যোগী হয়েছে বলেই এটি সম্ভব হয়েছে। প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে কোর্সগুলো করানো হয় তার বেশিরভাগ কোর্সগুলো আমাদের যুব উন্নয় অধিদপ্তরের অধীনে করানো হয়। খামারী সৃষ্টিতে তারা ভূমিকা রাখছে। যারা এ ধরনের কাজ করতে চায় না তাদের জন্য আউট সোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুবিধা রয়েছে। যেমন ধরেন বিউটি পার্লার। এক সময় বউ সাজানোর জন্য আমাদের উত্তরা, ধানমন্ডি, বনানী, গুলশান এলাকায় গিয়ে বউ সাজিয়ে আনতে হতো। এখন এমন কোনো ইউনিয়ন বা গ্রাম নেই যেখানে বিউটি পার্লার নেই। আজকে নিজেই ঘরে বসে বা এলাকাতেই এ ধরেনের সুবিধা পাচ্ছেন। এ ধরনের প্রশিক্ষনের কারনেই আত্মকর্মসংস্থান তৈরি এবং সম্ভব হয়েছে। এ কাজের মাধ্যমে ঘরে ঘরে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। সেখানে অন্যদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হচ্ছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) আজহারুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনিসুর রহমান, পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী শফিকুল আলম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু তোরাব মো: শামসুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের যুবক ও যুব নারী প্রশিক্ষনার্থীবৃন্দ।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, বায়োগ্যাস প্লান্টের সহেযাগীতায় একটি খামার হলে সেখানে যুবদের কর্মসংস্থান হবে। অক্সিজেনকে আমরা নষ্ট করছি, কার্বনডাই অক্সাইডকে নিঃস্মরণ করছি। সারা বিশ্বময় জলবায়ুর যে বিরূপ অবস্থান সে পরিস্থিতি থেকে দেশকে মুক্ত করা এবং এ ধরনের প্লান্ট স্থাপন করা আমাদের দেশে বড় ধরনের প্রভাব রাখবে।
সোমবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২ টায় শহরের আহসান উল্লাহ যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে প্রকল্পের উপকার প্রত্যাশী যুবদের সমন্বিত খামার স্থাপন, সম্প্রসারণ এবং বায়োগ্যাস প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষন কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রথম পর্যায়ে সাড়ে ৪ হাজার ব্যাক্তিকে বায়োগ্যাস স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছি। দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩১ হাজার টিম ৬২টি উপজেলায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনে কাজ করেছে। এবার ৪৯২টি উপজেলায় একযোগে কাজ করছে যেখানে ৩২ হাজার বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে পারব। যারা খামার স্থাপন করবে তাদের সাথে অমরা সহযোগী হিসেবে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের ব্যবস্থা করব। যারা বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করবে তাদের প্রত্যেককে আমরা ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ সহযোগীতা দিব।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্য বলেন, ১২২ কোটি টাকার প্রজেক্ট নিয়ে প্রকল্পটি যখন একনেকে উঠে সাথে সাথে প্রধানমন্ত্রী পাশ সেই প্রকল্প করেছেন। বিশ্বে গ্যাসের যে ক্রাইসিস এ ধরনের প্রকল্প আরো বেশি বেশি হওয়া উচিত। এ প্রকল্প যেন বাস্তবায়ন হয় সেজন্য তাগাদা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম পর্যায়ে সফলতা আসছে বলেই আমরা দ্বিতীয় পর্যায়ের এ প্রেজেক্ট হাতে নিতে পেরেছি এবং করতে যাচ্ছি। অনুষ্ঠানে একজন খামারি বলছিলেন তিনি নিজের চাহিদা মিটিয়েও পাশের বাড়িতে বিক্রি করতে পারছেন। আমাদের পরিবার কাঠের উপর নির্ভরশীল। তারা গাছ কেটে চুলা জ্বালিয়ে রান্না করছে।
এত সহজ বায়োগ্যাসের মাধ্যমে নিজের অনেক খরচ কমিয়ে আনা যায়। একটা খামার তৈরি করতে হলে অনেক ধরনের লাইট, ফ্যান ও রান্না করার প্রয়োজন হয়। সেগুলো বায়োগ্যাসের মাধ্যমে করা সম্ভব। শুধু বায়োগ্যাস তৈরি করছি তা নয়। এর মাধ্যমে অনেক ভালো সারও তৈরি করতে পারছি এবং সেই সার আমাদের গাছ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, এ প্রকল্পের আওতায় দেড় লাখ যুবক ও যুব নারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। যাতে করে আমাদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ হয়। সবাইকে আমারা এ ধরনের সুযোগ দিতে পারব না। শুধু যাদের প্রয়োজন তাদেরকে সহযোগীতা করতে পারব। অনেকেই আছেন ইতোমধ্যে খামার স্থাপন করে ফেলেছেন। তাদের হয়তো ঋণের প্রয়োজন হবে না। প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেন আমরা কেন চাকরির পেছনে ঘুরি। যে কাজটি করলে আমরা অন্যদেরকে চাকরি দিতে পারব আমরা সে কাজটি করব। তিনি সবসময় যুব ভাই বোনদেরকে এ কথাটি বলে থাকেন। বর্তমান সময়ে চাকরির বাজার ছোট হয়ে আসলেও কর্মসংস্থানের বাজার বাড়ছে।
সামনে আমাদের কোরবানি ঈদ আসছে। এক সময় বাংলাদেশকে বাইরের গরুর জন্য অপেক্ষায় থাকতে হতো। আমার নিজেদের মাংস নিজেরা উৎপাদিত করছি। এখন আর মাংসের জন্য বাইরের দেশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় না। যারা উদ্যোক্তা তারা অত্মকর্মসংস্থানে উদ্যোগী হয়েছে বলেই এটি সম্ভব হয়েছে। প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে কোর্সগুলো করানো হয় তার বেশিরভাগ কোর্সগুলো আমাদের যুব উন্নয় অধিদপ্তরের অধীনে করানো হয়। খামারী সৃষ্টিতে তারা ভূমিকা রাখছে। যারা এ ধরনের কাজ করতে চায় না তাদের জন্য আউট সোর্সিং ও ফ্রিল্যান্সিংয়ের সুবিধা রয়েছে। যেমন ধরেন বিউটি পার্লার। এক সময় বউ সাজানোর জন্য আমাদের উত্তরা, ধানমন্ডি, বনানী, গুলশান এলাকায় গিয়ে বউ সাজিয়ে আনতে হতো। এখন এমন কোনো ইউনিয়ন বা গ্রাম নেই যেখানে বিউটি পার্লার নেই। আজকে নিজেই ঘরে বসে বা এলাকাতেই এ ধরেনের সুবিধা পাচ্ছেন। এ ধরনের প্রশিক্ষনের কারনেই আত্মকর্মসংস্থান তৈরি এবং সম্ভব হয়েছে। এ কাজের মাধ্যমে ঘরে ঘরে কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। সেখানে অন্যদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ হচ্ছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (গ্রেড-১) আজহারুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনিসুর রহমান, পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী শফিকুল আলম, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপি’র) উপ-কমিশনার (অপরাধ) আবু তোরাব মো: শামসুর রহমানসহ বিভিন্ন পর্যায়ের যুবক ও যুব নারী প্রশিক্ষনার্থীবৃন্দ।
মন্তব্য করুন: