করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষে মৃত্যু, গুলিবর্ষণ ও গ্রেপ্তারসহ নির্যাতনের ঘটনার সত্য উদ্ঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্তের জন্য 'জাতীয় গণতদন্ত কমিশন' গঠন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৯ জুলাই, ২০২৪) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে 'আইনজীবী সমাজ'-এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে এই কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। আইনজীবী সমাজের ব্যানারে লেখা ছিল: 'গণহত্যার বিচার চাই, গায়েবি মামলা-গ্রেপ্তার ও নির্যাতন বন্ধ কর'।
পরে এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ কমিশনের যুগ্ম সভাপতি হিসেবে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল দায়িত্ব পালন করবেন। আর সদস্য সচিব হিসেবে যুগ্মভাবে কাজ করবেন অধ্যাপক তানজিমুদ্দিন খান ও গবেষক মাহা মির্জা।
কমিশনের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না, আইনজীবী অনীক আর হক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সাইয়িদ খান, আশরাফ কায়সার, অধ্যাপক গীতিআরা নাসরিন, অধ্যাপক তানজিমুদ্দিন খান।
এছাড়াও এই গণতদন্ত কমিশনে উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন- আইনজীবী তোবারক হোসেন, সারা হোসেন, ড. শাহদীন মালিক, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, রাশনা ইমাম, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ্ খান, শিক্ষক কাজী মাহফুজুল হক সুপন ও সাইমুম রেজা তালুকদার।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ই জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়ে সহিংসতার সুত্রপাত হয়। এ সহিংসতার প্রতিবাদে দেশজুড়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ পথে নেমে এলে রংপুরে আবু সাঈদকে সরাসরি বুকে গুলি করা হয়। কিন্তু পুলিশ যখন মামলা দায়ের করে তখন সাধারণ ছাত্র এবং জনগণকে দায়ী করা হয়। এতে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মনে প্রশ্ন উঠেছে এবং এসব ঘটনায় সত্য উদ্ঘাটনের দাবি উঠেছে। এ ঘটনায় পত্রিকার হিসেবে অন্তত ২০৯ জনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ হলেও সরকারি হিসেবে তা ১৪৭ জন।
আরো বলা হয়, আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, গুলি ও গণগ্রেপ্তারসহ নানা সহিংস উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং তাতে সংবিধান, প্রচলিত আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তাই এসব ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আবশ্যকতা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে, দেশের শিক্ষক, আইনজীবী, সংস্কৃতি কর্মী ও সাধারণ অভিভাবকেদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কয়েকজন প্রথিতযশা ব্যক্তির সমন্বয়ে একটি "জাতীয় গণতদন্ত কমিশন" গঠন করা হয়েছে।
জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের পক্ষ থেকে সকল সচেতন ব্যক্তিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১ জুলাই থেকে সংগঠিত বিভিন্ন সহিংস নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, গুলিবর্ষণ, হুমকি, মামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যাবতীয় তথ্য কমিশনের কাছে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হবে। অডিও, ভিডিও, ফটোগ্রাফ ও লেখাসহ যেকোনো ধরনের তথ্য কমিশনের কাছে পাঠানো যাবে।
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘাত-সংঘর্ষে মৃত্যু, গুলিবর্ষণ ও গ্রেপ্তারসহ নির্যাতনের ঘটনার সত্য উদ্ঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্তের জন্য 'জাতীয় গণতদন্ত কমিশন' গঠন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২৯ জুলাই, ২০২৪) সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে 'আইনজীবী সমাজ'-এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক মানববন্ধন থেকে এই কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। আইনজীবী সমাজের ব্যানারে লেখা ছিল: 'গণহত্যার বিচার চাই, গায়েবি মামলা-গ্রেপ্তার ও নির্যাতন বন্ধ কর'।
পরে এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ কমিশনের যুগ্ম সভাপতি হিসেবে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মো. আব্দুল মতিন ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল দায়িত্ব পালন করবেন। আর সদস্য সচিব হিসেবে যুগ্মভাবে কাজ করবেন অধ্যাপক তানজিমুদ্দিন খান ও গবেষক মাহা মির্জা।
কমিশনের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না, আইনজীবী অনীক আর হক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবু সাইয়িদ খান, আশরাফ কায়সার, অধ্যাপক গীতিআরা নাসরিন, অধ্যাপক তানজিমুদ্দিন খান।
এছাড়াও এই গণতদন্ত কমিশনে উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন- আইনজীবী তোবারক হোসেন, সারা হোসেন, ড. শাহদীন মালিক, জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, রাশনা ইমাম, অধ্যাপক সলিমুল্লাহ্ খান, শিক্ষক কাজী মাহফুজুল হক সুপন ও সাইমুম রেজা তালুকদার।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ই জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পিটিয়ে সহিংসতার সুত্রপাত হয়। এ সহিংসতার প্রতিবাদে দেশজুড়ে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ পথে নেমে এলে রংপুরে আবু সাঈদকে সরাসরি বুকে গুলি করা হয়। কিন্তু পুলিশ যখন মামলা দায়ের করে তখন সাধারণ ছাত্র এবং জনগণকে দায়ী করা হয়। এতে গোটা তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে সাধারণ নাগরিকদের মনে প্রশ্ন উঠেছে এবং এসব ঘটনায় সত্য উদ্ঘাটনের দাবি উঠেছে। এ ঘটনায় পত্রিকার হিসেবে অন্তত ২০৯ জনের মৃত্যুর সংবাদ প্রকাশ হলেও সরকারি হিসেবে তা ১৪৭ জন।
আরো বলা হয়, আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের নির্যাতন, গুলি ও গণগ্রেপ্তারসহ নানা সহিংস উপায়ে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং তাতে সংবিধান, প্রচলিত আইন ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। তাই এসব ঘটনার কারণ উদ্ঘাটন, সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আবশ্যকতা রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে, দেশের শিক্ষক, আইনজীবী, সংস্কৃতি কর্মী ও সাধারণ অভিভাবকেদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের কয়েকজন প্রথিতযশা ব্যক্তির সমন্বয়ে একটি "জাতীয় গণতদন্ত কমিশন" গঠন করা হয়েছে।
জাতীয় গণতদন্ত কমিশনের পক্ষ থেকে সকল সচেতন ব্যক্তিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১ জুলাই থেকে সংগঠিত বিভিন্ন সহিংস নির্যাতন, নিপীড়ন, হত্যা, গুলিবর্ষণ, হুমকি, মামলা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যাবতীয় তথ্য কমিশনের কাছে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হবে। অডিও, ভিডিও, ফটোগ্রাফ ও লেখাসহ যেকোনো ধরনের তথ্য কমিশনের কাছে পাঠানো যাবে।
মন্তব্য করুন: