করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শাল গজারির বনে গত কয়েকদিন ধরে অচেনা প্রজাতির হাজার হাজার রঙিন শুঁয়াপোকার উপদ্রব দেখা দিয়েছে। ছোট আকারের এসব শুঁয়াপোকা শাল গজারি গাছের কচি পাতা খেয়ে ফেলছে। একই সঙ্গে ঢুকে যাচ্ছে বনের আশাপাশের বসতবাড়িতে; যা নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলার রাখালিয়াচালা, রতনপুর আমতলা, মৌচাক উত্তর, ভান্নারা, মির্জাপুর উপজেলার আজগানা এলাকায় এ পোকার প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে।
এরই মধ্যে কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ রকম কয়েকটি বন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, শুঁয়াপোকার এই প্রজাতিটির নাম তাঁদের জানা নেই। দু-এক দিনের মধ্যেই পোকার নমুনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে পাঠানো হবে।
উপজেলার রাখালিয়াচালা গ্রামের বনে গিয়ে দেখা গেছে, সফিপুর-ভান্নারা সড়কের দু’পাশে থাকা বড় বড় শাল গজারি গাছ ছেয়ে গেছে হলুদ, সোনালিসহ নানা বর্ণের রঙিন শুঁয়াপোকায়, যা এক সময় মাটিতে নেমে ঢুকে যাচ্ছে মানুষের ঘরবাড়িতে। অনেকেই বাড়ি থেকে ঝাড়ু দিয়ে এসব পোকা এক স্থানে জড়ো করে পুড়িয়ে মারছেন। আবার কেউ গাছে ও ঘরের দেয়ালে কীটনাশক ছিটিয়ে পোকার হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন। এলাকাবাসীর দাবি, গত ১০০ বছরের মধ্যে এত বিপুল পরিমাণ পোকা তাঁরা দেখেননি। সাম্প্রতিক প্রচণ্ড খরতাপের কারণে এসব পোকার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে কিনা তা নিয়ে জল্পনা চলছে তাঁদের মধ্যে। এসব পোকা গাছের কচি পাতা খাওয়া শেষে দ্রুত মাটির দিকে নেমে আসে।
রাখালিয়াচালা পাকার মাথার দোকানদার হযরত আলী জানান, গত পাঁচ দিন ধরে পোকা ছড়িয়ে পড়ায় তাঁর বাড়িতে রান্নাঘরে কাজ বন্ধ রয়েছে। দূরের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রান্না করে এনে খাচ্ছেন। এসব পোকা গায়ে লাগলেই সেই স্থান জ্বলতে থাকে, লাল হয়ে ফুলে যায় এবং চুলকায়। প্রতিদিন ঘর ঝাড়ু দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পোকা বের করেন তাঁরা।
রতনপুর রেলওয়ে এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহাব মিয়া জানান, মৌচাক ইউনিয়নের পুরো এলাকায় শাল গজারি গাছ ভরে গেছে শুঁয়াপোকায়। পোকা এখন গাছ থেকে নেমে মানুষের বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছে। ফলে অনেক বাড়ির বাসিন্দারা পোকার যন্ত্রণায় ঘর তালা মেরে অন্যত্র বসবাস করছেন।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, অতি গরমের কারণে পোকার সমাগম হতে পারে বলে ধারণা করছি। গত বৃহস্পতিবার কয়েকজন সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা দেখে এসে বলেছেন, এই পোকা নতুন ধরনের। পোকার নমুনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে পাঠানো হবে। আমরা বন বিভাগ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি কীটনাশক ছিটানোর জন্য।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার শাল গজারির বনে গত কয়েকদিন ধরে অচেনা প্রজাতির হাজার হাজার রঙিন শুঁয়াপোকার উপদ্রব দেখা দিয়েছে। ছোট আকারের এসব শুঁয়াপোকা শাল গজারি গাছের কচি পাতা খেয়ে ফেলছে। একই সঙ্গে ঢুকে যাচ্ছে বনের আশাপাশের বসতবাড়িতে; যা নিয়ে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলার রাখালিয়াচালা, রতনপুর আমতলা, মৌচাক উত্তর, ভান্নারা, মির্জাপুর উপজেলার আজগানা এলাকায় এ পোকার প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাচ্ছে।
এরই মধ্যে কৃষি অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ রকম কয়েকটি বন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, শুঁয়াপোকার এই প্রজাতিটির নাম তাঁদের জানা নেই। দু-এক দিনের মধ্যেই পোকার নমুনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে পাঠানো হবে।
উপজেলার রাখালিয়াচালা গ্রামের বনে গিয়ে দেখা গেছে, সফিপুর-ভান্নারা সড়কের দু’পাশে থাকা বড় বড় শাল গজারি গাছ ছেয়ে গেছে হলুদ, সোনালিসহ নানা বর্ণের রঙিন শুঁয়াপোকায়, যা এক সময় মাটিতে নেমে ঢুকে যাচ্ছে মানুষের ঘরবাড়িতে। অনেকেই বাড়ি থেকে ঝাড়ু দিয়ে এসব পোকা এক স্থানে জড়ো করে পুড়িয়ে মারছেন। আবার কেউ গাছে ও ঘরের দেয়ালে কীটনাশক ছিটিয়ে পোকার হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছেন। এলাকাবাসীর দাবি, গত ১০০ বছরের মধ্যে এত বিপুল পরিমাণ পোকা তাঁরা দেখেননি। সাম্প্রতিক প্রচণ্ড খরতাপের কারণে এসব পোকার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে কিনা তা নিয়ে জল্পনা চলছে তাঁদের মধ্যে। এসব পোকা গাছের কচি পাতা খাওয়া শেষে দ্রুত মাটির দিকে নেমে আসে।
রাখালিয়াচালা পাকার মাথার দোকানদার হযরত আলী জানান, গত পাঁচ দিন ধরে পোকা ছড়িয়ে পড়ায় তাঁর বাড়িতে রান্নাঘরে কাজ বন্ধ রয়েছে। দূরের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে রান্না করে এনে খাচ্ছেন। এসব পোকা গায়ে লাগলেই সেই স্থান জ্বলতে থাকে, লাল হয়ে ফুলে যায় এবং চুলকায়। প্রতিদিন ঘর ঝাড়ু দিয়ে প্রচুর পরিমাণে পোকা বের করেন তাঁরা।
রতনপুর রেলওয়ে এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ওয়াহাব মিয়া জানান, মৌচাক ইউনিয়নের পুরো এলাকায় শাল গজারি গাছ ভরে গেছে শুঁয়াপোকায়। পোকা এখন গাছ থেকে নেমে মানুষের বাড়িতে ঢুকে যাচ্ছে। ফলে অনেক বাড়ির বাসিন্দারা পোকার যন্ত্রণায় ঘর তালা মেরে অন্যত্র বসবাস করছেন।
এ বিষয়ে কালিয়াকৈর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, অতি গরমের কারণে পোকার সমাগম হতে পারে বলে ধারণা করছি। গত বৃহস্পতিবার কয়েকজন সহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল। তাঁরা দেখে এসে বলেছেন, এই পোকা নতুন ধরনের। পোকার নমুনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে পাঠানো হবে। আমরা বন বিভাগ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি কীটনাশক ছিটানোর জন্য।
মন্তব্য করুন: