 |
| ছবি: সংগৃহীত |
অনলাইন ডেস্ক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে ভারতের কাছে ফেরত চাওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। শনিবার (৩১ আগস্ট, ২০২৪) বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার ভারতে থাকাসহ একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে অনেক মামলাও হয়েছে। এ নিয়ে উত্তর দেওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তি আমি নই। যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয় থেকে হাসিনাকে ফেরত চাইতে অনুরোধ আসে, তাহলে আমাদের ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইলে ভারত বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়বে। এটি তারাও জানে। ফলে সেভাবেই তাদের কাজ করতে হবে। আমি মনে করি ভারত সরকার এ সম্পর্কে জানে এবং আমি নিশ্চিত এ বিষয়টি তারা বিবেচনায় রাখবে।’
এছাড়া নিজ স্বার্থ বজায় রেখে বাংলাদেশ পৃথিবীর সব দেশের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়তে চায় বলে জানিয়েছেন তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের নীতি হলো জাতীয় স্বার্থ সুরক্ষিত রেখে সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা। কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়, আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই। লক্ষ্য হলো, একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়া। আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো জাতীয় স্বার্থ রক্ষার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও পররাষ্ট্রনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। ওইদিনই ভারতের দিল্লিতে আশ্রয় নেন হাসিনা। এরপর থেকে মানবতাবিরোধী অপরাধসহ বিভিন্ন জায়গায় একাধিক হত্যা মামলা হয়েছে তার নামে।
মন্তব্য করুন: