 |
| ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। ছবি: সংগৃহীত |
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমিত পরিসরে ভিসা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট, ২০২৪) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, ‘আপাতত বাংলাদেশিদের শুধুমাত্র চিকিৎসা এবং জরুরি প্রয়োজনীয় ভিসা দেয়া হচ্ছে। তাদের কার্যক্রম চলছে সীমিত পরিসরে। যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তখন পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু হবে এবং ভিসা প্রদান স্বাভাবিক হবে।’
এদিকে ৫ আগস্ট, ২০২৪ হাসিনা সরকারের পতনের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম স্থগিত করে ভারত।
১৩ আগস্ট, ২০২৪ ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভেক) থেকে জানানো হয়, তারা সীমিত পরিসরে পুনরায় বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করেছে।
এ অবস্থায় গত ২৬ আগস্ট, ২০২৪ ভিসা না পাওয়ায় রাজধানী ঢাকায় ভারতীয় ভিসা সেন্টারে অসংখ্য ভিসাপ্রত্যাশী বিক্ষোভ করেন।
স্লোগানে-স্লোগানে বিক্ষোভকারীরা বলতে থাকেন- ‘এক দফা এক দাবি, ভিসা চাই ভিসা চাই, ভারতের দালালরা হুঁশিয়ার সাবধান, ভিসা দে নইলে টাকা ফেরত দে।’
এছাড়া সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে থাকা এবং বাংলাদেশ সরকারের তাকে ফেরত চাওয়ার ব্যাপারেও কথা বলেছেন রণধীর জসওয়াল। তিনি জানিয়েছেন, হাসিনা খুবই স্বল্প সময়ের নোটিশে ভারতে এসেছিলেন। এর বাইরে এ বিষয়ে তার বলার কিছু নেই।
এসব ছাড়াও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতির জন্য ভারতকে দোষারোপ করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে এটি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদন আমরা দেখেছি। এটি বিভ্রান্তিকর এবং বাস্তবে সত্য নয়। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে বিবৃতি দিয়েছিল সেটির বক্তব্য এই প্রতিবেদনে উপেক্ষা করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘এছাড়া যৌথ পানি ব্যবস্থাপনায় বিদ্যমান যৌথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা যে (বাংলাদেশের সঙ্গে) নিয়মিত এবং সময়মতো তথ্য আদান প্রদান করি সেটিও প্রতিবেদনে বলা হয়নি।’
মন্তব্য করুন: