করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন সারদাগঞ্জ এলাকায় মাদকাসক্ত দুই ছেলের পিটুনিতে মারা গেছেন বাবা মো. ওসমান গনি। সোমবার (১৯ জুন) রাতে মারা যান তিনি। পরে মঙ্গলবার (২০ জুন) সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এদিন বিকেলে অভিযুক্ত দুই ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. ওসমান গনি (৭০) গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানাধীন সারদাগঞ্জ হাবিব মার্কেট এলাকার বাসিন্দা। লাঠির আঘাতে তিনি শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তার চোখে রক্ত জমাট বেধেছিল এবং চোখের পাশের হাড় ভেঙে গিয়েছিল বলে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানায় পুলিশ।
এলাকাবাসী, নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, মো. ওসমান গনির ছোট ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩০) বেশ কিছুদিন ধরে মাদক সেবন করছেন। মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে বিভিন্ন সময় তার বড় ভাই শফিকুল ও বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ করতেন। এমনকি টাকা না পেয়ে তিনি ঘরের ফ্রিজ, আইপিএস, টিভিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বিক্রি করে দেন।
রোববার (১৮ জুন) আবারো তার বাবার কাছে কিছু টাকা দাবি করেন তিনি। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান ওসমান গনি। পরে ওইদিন রাত পৌনে ১১টার দিকে সারদাগঞ্জ রাইসমিলের পাশে হাবিব মার্কেটের সামনে বসে শরিফুল ইসলাম বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ওসমান গনি তার কাছে জানতে চান ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেন তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। এনিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এ সময় মাদকাসক্ত ছেলে শরিফুল ও অপর ছেলে মাহবুব আলম লাঠি নিয়ে বাবাকে এলোপাথাড়ি পিটায়।
এ সময় আশপাশের লোকজনের তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সোমবার রাতে বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা। বাড়িতে আনার পর রাত দুইটার দিকে তার মৃত্যু হয়। সকালে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, নিহতের আরেক ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তার অপর দুই ভাইকে আসামি করে কাশিমপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত দুই ছেলেকে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানাধীন সারদাগঞ্জ এলাকায় মাদকাসক্ত দুই ছেলের পিটুনিতে মারা গেছেন বাবা মো. ওসমান গনি। সোমবার (১৯ জুন) রাতে মারা যান তিনি। পরে মঙ্গলবার (২০ জুন) সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এদিন বিকেলে অভিযুক্ত দুই ছেলেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহত মো. ওসমান গনি (৭০) গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানাধীন সারদাগঞ্জ হাবিব মার্কেট এলাকার বাসিন্দা। লাঠির আঘাতে তিনি শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন। তার চোখে রক্ত জমাট বেধেছিল এবং চোখের পাশের হাড় ভেঙে গিয়েছিল বলে চিকিৎসকের বরাত দিয়ে জানায় পুলিশ।
এলাকাবাসী, নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, মো. ওসমান গনির ছোট ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩০) বেশ কিছুদিন ধরে মাদক সেবন করছেন। মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে বিভিন্ন সময় তার বড় ভাই শফিকুল ও বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ করতেন। এমনকি টাকা না পেয়ে তিনি ঘরের ফ্রিজ, আইপিএস, টিভিসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বিক্রি করে দেন।
রোববার (১৮ জুন) আবারো তার বাবার কাছে কিছু টাকা দাবি করেন তিনি। কিন্তু টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান ওসমান গনি। পরে ওইদিন রাত পৌনে ১১টার দিকে সারদাগঞ্জ রাইসমিলের পাশে হাবিব মার্কেটের সামনে বসে শরিফুল ইসলাম বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ওসমান গনি তার কাছে জানতে চান ঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেন তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন। এনিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এ সময় মাদকাসক্ত ছেলে শরিফুল ও অপর ছেলে মাহবুব আলম লাঠি নিয়ে বাবাকে এলোপাথাড়ি পিটায়।
এ সময় আশপাশের লোকজনের তাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সোমবার রাতে বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা। বাড়িতে আনার পর রাত দুইটার দিকে তার মৃত্যু হয়। সকালে তার মৃত্যুর খবর পেয়ে কাশিমপুর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
কাশিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ রাফিউল করিম বলেন, নিহতের আরেক ছেলে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে তার অপর দুই ভাইকে আসামি করে কাশিমপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত দুই ছেলেকে মঙ্গলবার বিকেলে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন: