করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের শ্রীপুরে নবজাতক বিক্রি করে হাসপাতালের বিল নেওয়ার অভিযোগ ওঠে একটি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর। এ ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক এ ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিভিল সার্জন। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত হাসপাতালের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এদিকে ঘটনাটি চারপাশে ছড়িয়ে পড়ার পরপরই ওই হাসপাতালের কর্মকর্তারা গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার ভুক্তভোগী নারী হলেন প্রিয়া আক্তার (২২)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার মালিডাঙ্গা গ্রামের মো. রাসেল মিয়ার স্ত্রী। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার শ্রীপুর গ্রামের কাপাসিয়া সড়কের পাশে বাবুল সরকারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীপুর পৌর এলাকার নিউ এশিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অভিযুক্ত হাসপাতালের মালিকের নাম জাহাঙ্গীর আলম।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আল মামুন বলেন, ‘নবজাতক বিক্রির খবর শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশনায় ওই হাসপাতালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয় এবং তা আদায় করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত হাসপাতালের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নবজাতকের বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, ‘গাজীপুরের সিভিল সার্জন মহোদয়ের নির্দেশে ইতিমধ্যে ক্লিনিকের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আমরা ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। আগামীকাল শনিবার এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে ক্লিনিকের সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পরপরই প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নবজাতককে কোথায় বিক্রি করা হয়েছে, তার সন্ধান দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালের কাগজপত্র ঠিক থাকলেও এই অর্থবছরের নবায়ন করেনি কাগজপত্র। কেন কাগজপত্র নবায়ন হয়নি—এ বিষয়েও আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
গাজীপুর সিভিল সার্জন খায়রুজ্জামান বলেন, ‘গণমাধ্যমে নবজাতক বিক্রির সংবাদটি আমার নজরে আসে। পরে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্লিনিকের কাগজপত্র ঠিক না থাকলে হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশনার দেওয়া হয়েছে।’
স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সিএইচবি ফাউন্ডেশনের সভাপতি পারভেজ প্রধান বলেন, ‘নবজাতক বিক্রির অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় । সংবাদটি আমার নজরে আসলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের বাড়িতে ছুটে যাই। এরপর ভুক্তভোগী নারীর বক্তব্য শুনে তাদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়। আগামীকাল শনিবার এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা বিক্ষোভ করব। উপজেলা প্রশাসনের লোকজনের পরামর্শে ভুক্তভোগী নারী কাজ করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, গত রোববার প্রিয়া আক্তার নামে এক অন্তঃসত্ত্বা প্রসব ব্যথা নিয়ে শ্রীপুর চৌরাস্তার নিউ এশিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। তাঁর স্বামী একজন দিনমজুর। সেখানে জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেন। তিনি জানান, প্রসূতিকে দ্রুত সিজার না করলে মা-সন্তান দুজনেরই সমস্যা হবে। অপারেশন করতে ১৫-১৬ হাজার টাকা লাগবে। হাসপাতালের খরচ দিতে না পারায় গরিব এই দম্পতির কাছ থেকে তাঁদের সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যাশিশুকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির হাতে তুলে দেন। পরে প্রসূতিকে ১৪ হাজার টাকা হাতে দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেন। এরপর ভুক্তভোগী নারী তাঁর নবজাতকের সন্ধান চাইলে, নবজাতকের সন্ধান না দিয়ে হাসপাতাল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
গাজীপুরের শ্রীপুরে নবজাতক বিক্রি করে হাসপাতালের বিল নেওয়ার অভিযোগ ওঠে একটি বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ওপর। এ ঘটনায় গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক এ ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সিভিল সার্জন। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত হাসপাতালের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
এদিকে ঘটনাটি চারপাশে ছড়িয়ে পড়ার পরপরই ওই হাসপাতালের কর্মকর্তারা গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার ভুক্তভোগী নারী হলেন প্রিয়া আক্তার (২২)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার মালিডাঙ্গা গ্রামের মো. রাসেল মিয়ার স্ত্রী। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার শ্রীপুর গ্রামের কাপাসিয়া সড়কের পাশে বাবুল সরকারের বাড়িতে ভাড়া থাকেন।
ঘটনাটি ঘটেছে শ্রীপুর পৌর এলাকার নিউ এশিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। অভিযুক্ত হাসপাতালের মালিকের নাম জাহাঙ্গীর আলম।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আল মামুন বলেন, ‘নবজাতক বিক্রির খবর শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশনায় ওই হাসপাতালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয় এবং তা আদায় করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত হাসপাতালের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নবজাতকের বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।’
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, ‘গাজীপুরের সিভিল সার্জন মহোদয়ের নির্দেশে ইতিমধ্যে ক্লিনিকের বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। আমরা ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। আগামীকাল শনিবার এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে ক্লিনিকের সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পরপরই প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। নবজাতককে কোথায় বিক্রি করা হয়েছে, তার সন্ধান দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ইতিমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতালের কাগজপত্র ঠিক থাকলেও এই অর্থবছরের নবায়ন করেনি কাগজপত্র। কেন কাগজপত্র নবায়ন হয়নি—এ বিষয়েও আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
গাজীপুর সিভিল সার্জন খায়রুজ্জামান বলেন, ‘গণমাধ্যমে নবজাতক বিক্রির সংবাদটি আমার নজরে আসে। পরে তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্লিনিকের কাগজপত্র ঠিক না থাকলে হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশনার দেওয়া হয়েছে।’
স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সিএইচবি ফাউন্ডেশনের সভাপতি পারভেজ প্রধান বলেন, ‘নবজাতক বিক্রির অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় । সংবাদটি আমার নজরে আসলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের বাড়িতে ছুটে যাই। এরপর ভুক্তভোগী নারীর বক্তব্য শুনে তাদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়। আগামীকাল শনিবার এই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা বিক্ষোভ করব। উপজেলা প্রশাসনের লোকজনের পরামর্শে ভুক্তভোগী নারী কাজ করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, গত রোববার প্রিয়া আক্তার নামে এক অন্তঃসত্ত্বা প্রসব ব্যথা নিয়ে শ্রীপুর চৌরাস্তার নিউ এশিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। তাঁর স্বামী একজন দিনমজুর। সেখানে জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দেন। তিনি জানান, প্রসূতিকে দ্রুত সিজার না করলে মা-সন্তান দুজনেরই সমস্যা হবে। অপারেশন করতে ১৫-১৬ হাজার টাকা লাগবে। হাসপাতালের খরচ দিতে না পারায় গরিব এই দম্পতির কাছ থেকে তাঁদের সদ্য ভূমিষ্ঠ কন্যাশিশুকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির হাতে তুলে দেন। পরে প্রসূতিকে ১৪ হাজার টাকা হাতে দিয়ে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেন। এরপর ভুক্তভোগী নারী তাঁর নবজাতকের সন্ধান চাইলে, নবজাতকের সন্ধান না দিয়ে হাসপাতাল থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন: