করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
রাজধানীর উত্তরা এলাকার হিজড়া দলের প্রধান আলেয়া হিজড়া বঙ্গবাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য দুই লাখ টাকা অনুদান হিসেবে দিয়েছেন। হজের জন্য তিনি টাকা জমালেও বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দুর্দশা দেখে এবার হজ না করেই সেই ২ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে ব্যবসায়ীদের দিয়েছেন।
তিনি বলেন, "বঙ্গবাজারের দোকানগুলোকে পুড়তে দেখে আমি প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছি। এমন অনেক সময় গিয়েছে, যখন আমরা এই বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে ১০-২০ টাকা করে অর্থসাহায্য নিতাম। কিন্তু এখন তারা সবকিছু হারিয়েছে। আর তাই আমি আমার ব্যক্তিগত জমানো টাকা দিয়ে তাদের প্রতি এই ছোট সাহায্য করতে চাই।" এ সময় তিনি সবাইকে, বিশেষ করে ধনীদেরকে বঙ্গবাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান করেন।
এদিকে এর আগে বাংলাদেশ হিজড়া উন্নয়ন সংস্থা বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাহায্যের জন্য ২০ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেয়। সংস্থাটির সভাপতি কাশ্মির দিপালী হিজড়া সাংবাদিকদের বলেন, "গত ৩০ থেকে ৪০ বছর ধরে আমরা তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলেছি। আজকে তাদের এই বিপদের সময় আমরা আমাদের এবারের ঈদের যেসব কেনাকাটা রয়েছে সে কেনাকাটা না করে, আমাদের এই ব্যবসায়ী ভাইদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। সারাদেশ থেকে ২০ লাখ টাকা আমরা তুলেছি। সেই টাকা আজ তাদের কাছে দিতে এসেছি। তারা বেঁচে থাকলে আমরাও বেঁচে থাকবো।"
তাদের গুরুমা রাখি শেখ বলেন, "আমরা মানুষের কাছ থেকে এক-দুই টাকা করে উঠিয়ে উঠিয়ে এই টাকা জমিয়েছি। এখন আমরা সেটা মানবতার কল্যাণে দিয়ে দিবো। এই টাকা কোন ব্যবসায়ীর হাতে হাতে দেওয়া হবে না, পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তা তহবিলে জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের হাতে হাতে এই টাকা পৌঁছানো হবে।"
এই অনুদান হস্তান্তরকালে প্রায় শতাধিক হিজড়া উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, "আজ হাতে পাওয়া টাকার মধ্যে সবচেয়ে আনন্দদায়ক হলো তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা ২২ লাখ টাকা দিয়েছে। এটা আমাদের কাছে মনে হয়েছে মানবতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। এ কারণে আমরা ব্যবসায়ী ভাইদের অনুরোধ করবো তাদের যেন কখনো অবহেলার চোখে না দেখে।"
রাজধানীর উত্তরা এলাকার হিজড়া দলের প্রধান আলেয়া হিজড়া বঙ্গবাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য দুই লাখ টাকা অনুদান হিসেবে দিয়েছেন। হজের জন্য তিনি টাকা জমালেও বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দুর্দশা দেখে এবার হজ না করেই সেই ২ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে ব্যবসায়ীদের দিয়েছেন।
তিনি বলেন, "বঙ্গবাজারের দোকানগুলোকে পুড়তে দেখে আমি প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছি। এমন অনেক সময় গিয়েছে, যখন আমরা এই বাজারের প্রতিটি দোকান থেকে ১০-২০ টাকা করে অর্থসাহায্য নিতাম। কিন্তু এখন তারা সবকিছু হারিয়েছে। আর তাই আমি আমার ব্যক্তিগত জমানো টাকা দিয়ে তাদের প্রতি এই ছোট সাহায্য করতে চাই।" এ সময় তিনি সবাইকে, বিশেষ করে ধনীদেরকে বঙ্গবাজারের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান করেন।
এদিকে এর আগে বাংলাদেশ হিজড়া উন্নয়ন সংস্থা বঙ্গবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাহায্যের জন্য ২০ লাখ টাকা অনুদানের ঘোষণা দেয়। সংস্থাটির সভাপতি কাশ্মির দিপালী হিজড়া সাংবাদিকদের বলেন, "গত ৩০ থেকে ৪০ বছর ধরে আমরা তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চলেছি। আজকে তাদের এই বিপদের সময় আমরা আমাদের এবারের ঈদের যেসব কেনাকাটা রয়েছে সে কেনাকাটা না করে, আমাদের এই ব্যবসায়ী ভাইদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। সারাদেশ থেকে ২০ লাখ টাকা আমরা তুলেছি। সেই টাকা আজ তাদের কাছে দিতে এসেছি। তারা বেঁচে থাকলে আমরাও বেঁচে থাকবো।"
তাদের গুরুমা রাখি শেখ বলেন, "আমরা মানুষের কাছ থেকে এক-দুই টাকা করে উঠিয়ে উঠিয়ে এই টাকা জমিয়েছি। এখন আমরা সেটা মানবতার কল্যাণে দিয়ে দিবো। এই টাকা কোন ব্যবসায়ীর হাতে হাতে দেওয়া হবে না, পুরোটাই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তা তহবিলে জমা দেওয়া হবে। সেখান থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের হাতে হাতে এই টাকা পৌঁছানো হবে।"
এই অনুদান হস্তান্তরকালে প্রায় শতাধিক হিজড়া উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, "আজ হাতে পাওয়া টাকার মধ্যে সবচেয়ে আনন্দদায়ক হলো তৃতীয় লিঙ্গের মানুষেরা ২২ লাখ টাকা দিয়েছে। এটা আমাদের কাছে মনে হয়েছে মানবতার শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। এ কারণে আমরা ব্যবসায়ী ভাইদের অনুরোধ করবো তাদের যেন কখনো অবহেলার চোখে না দেখে।"
মন্তব্য করুন: