গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে আজ রোববার কেক কেটে হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন উদ্যাপন করেন পরিবারের সদস্য ও পাঠকেরা। |
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে নানা আয়োজনে পালিত হয়েছে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৪ তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে রাতে মোমবাতি প্রজ্বলন,সকালে কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে লেখককে স্মরণ করল তাঁর পরিবার, স্বজন, নুহাপল্লীর স্টাফ ও ভক্ত পাঠকরা। হুমায়ূন আহমেদের দর্শনে উদ্ধুদ্ধ হয়ে সর্বস্তরে শুদ্ধতম বাংলাভাষার চর্চা হোক এমনটা প্রত্যাশা লেখকের পরিবারের।
জন্মদনি পালন উপলক্ষে প্রথমে রাত ১২টা ১ মিনিটে পুরো নুহাশ পল্লীতে রাতে লেখকের সমাধিতে ১০৭৪টি মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। রোববার (১৩ নভেম্বর) সকালে লেখকের পরিবার, নুহাশপল্লীর স্টাফ, ভক্ত পাঠক ও শুভানুধ্যায়ীদের উপস্থিতিতে সমাধিতে পুষ্পস্তক অর্পণ করা হয়। এসময় সকালে কবর জেয়ারত করেন স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন, হুমায়ুনের দুই সন্তান নিনিদ ও নিষাদ, বিপুল সংখ্যক হুমায়ুন ভক্তসহ। পরে তাঁর আত্মার মাগফরিাত কামনা করে দোয়া করা হয়। পরে দুপুর ১২ টায় লেককের প্রিয় নন্দনকানন নুহাশপল্লীতে লেখকের পরে লেখকের ম্যুরালের সামনে কেক কাটা হয়।
জন্মদিন উপলক্ষে নুহাশ পল্লীতে সকলের প্রবেশ উম্মুক্ত ছিল। ভক্তরা দিনভর তাদের প্রিয় লেখকের হাতে গড়া নুহাশপল্লী ঘুরে ঘুরে দেখেন। হুমায়ুন ভক্ত পাঠকরা ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় আজীবন লেখককে স্মরণ করে যাবেন বলে জানান।
লেখকের প্রিয় চরিত্র হিমু সেজে এসেছেন সাজ্জাত হোসেন। তিনি জানালেন, হুমায়ুনের লেখা তাকে চুম্বকের মতো টানে। যিতদিন বাংলা ভাষা থাকবে, বাংলা সাহিত্য থাকবে তদিন হুমায়ুন বেঁচে থাকবেন লক্ষ লক্ষ পাঠকের হৃদয়ে।
হুমায়ুনের আরেক ভক্ত রিতা আক্তার জানালেন, হুমায়ুন স্যার কখনো হারিয়ে যাবেন না। তিনি তারঁ সৃষ্টির প্রতিটি চরিত্রের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন। আমাদের পথ দেখাবেন।
মেহের আফরোজ শাওন বলেন, বর্তমানে শুদ্ধ সাহিত্য চর্চার আগে প্রয়োজন বাংলা ভাষার শুদ্ধ চর্চা। হুমায়ূন আহমেদের দর্শনে উদ্ধুদ্ধ হয়ে সর্বস্তরে শুদ্ধতম বাংলা ভাষার চর্চাটা যেন অব্যাহত থাকে এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।
বরেণ্য কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় থানার কুতুবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ছিল কাজল। বাবার রাখা তার প্রথম নাম শামসুর রহমান। পরে তিনিই ছেলের নাম বদলে রাখেন হুমায়ুন আহমেদ। দূরারোগ্য ক্যান্সারে ভুগে ২০১২ সালরে ১৯ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর গাজীপুরের নুহাশ পল্লীতে তাকে সমাহিত করা হয়।
মন্তব্য করুন: