ডিম খেতে পছন্দ করেন না এমন লোক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে কোলেস্টেরলের ভয়ে অনেকেই বাদ দেন ডিমের কুসুম। পুষ্টিবিদদের মতে, এক সময় কোলেস্টেরলের ভয়ে ডিমের কুসুম রাখা হতো না রোগীর খাবারে। কিন্তু আধুনিক বেশ কিছু গবেষণা, বিশেষ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নানা রিপোর্ট ও ‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর গবেষণা কিন্তু অন্য কথা বলছে।
ডিমের মোট দুটি অংশ। সাদা অংশে থাকে প্রোটিন আর কুসুমে থাকে কোলেস্টেরল, ভিটামিন বি এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এ সব উপাদান মানব দেহের নানা জৈবিক কাজে ব্যবহৃত হয়। কোলেস্টেরলেরও কিছু প্রয়োজনীয় কাজ থাকে। যেমন, পিত্তে উপস্থিত অ্যাসিড তৈরিতে একটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে এটি। এ ছাড়া ভিটামিন ডি-এর জোগান দিতে, হৃদরোগ ঝুঁকি কমাতেও কাজে আসে কোলেস্টেরল। শরীরে নানা যৌন হরমোন ক্ষরণেও কোলেস্টেরল সাহায্য করে। কোলেস্টেরল মানেই শরীরের পক্ষে খারাপ, এ ধারণা বদলাতে হবে। শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে হলে ডায়েটে একটি ডিম রাখতেই হবে।
দিনে কয়টা ডিম খাওয়া নিরাপদ
দিনে দুটি কুসুমসহ ডিম খাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সংখ্যাটা তার বেশি হলে খাবেন সাদা অংশই। কারণ কোলেস্টেরলের আধিক্যও শরীরের জন্য ভালো নয়। তাই বলে আবার তেলে ভেজে বা মাখনে বেক করে ডিম খাবেন না। চেষ্টা করুন সেদ্ধ ডিমই খেতে। তেল-মসলা থেকে বরং দূরে থাকুন। বাদ দিন তেলে ভাজা খাবার, ফাস্ট ফুড। এতেই কমবে কোলেস্টেরলের ভয়। তবে কোলেস্টেরলের মাত্রা যদি খুব বেশি হয়, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়াই উত্তম।
ডিমের কুসুমের পুষ্টিগুণ
ডিমের কুসুম প্রথম শ্রেণির প্রোটিন। যদি কুসুম ছাড়া শুধু ডিমের সাদা অংশ খান, তাহলে বিভিন্ন প্রকার অ্যামাইনো অ্যাসিড থেকে বঞ্চিত হবেন। একটি ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে। ডিমের কুসুম বাদ দিলে প্রোটিনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ গ্রাম। প্রোটিন ছাড়াও কোলিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন এ, বি, ই, ডি ও কে থাকায় ডিমের পুষ্টিগুণের প্রায় পুরোটাই থাকে কুসুমে। ডায়েটারি কোলিন ও ভিটামিন ডি- এর সবচেয়ে উৎকৃষ্ট উৎস ডিমের কুসুম।
মন্তব্য করুন: