জয়দেবপুর রেল ক্রসিং ফ্লাইওভার নির্মাণ ও সড়ক সংস্কার ও পরিচ্ছন্ন রাখার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠানের একাংশ। |
রাহিম সরকার, গাজীপুর
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনকে দূষণমুক্তকরণ, জয়দেবপুরে লেভেল ক্রসিং-এ দ্রুততম সময়ে ফ্লাইওভারব্রীজ নির্মাণসহ ১২ দফা দাবিতে মানবন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে ’গাজীপুর ঐতিহ্য ও উন্নয়ন’ নামের একটি সংগঠন।
সোমবার (২৮ মার্চ ২০২২) সকালে ভাওয়াল রাজবাড়ির সামনে ঘন্টাব্যাপী ওই কর্মসূচী চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি প্রকৌশলী সামসুল হক। এসময় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সিরাজ উদ্ দৌল্লাহ, গাজীপুর সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোঃ আমিনুল ইসলাম ও কাজী আজিম উদ্দিন কলেজের সহকারি অধ্যাপক মো. আহসান উল্লাহ প্রমুখ।
প্রকৌশলী সামসুল হক বলেন, গাজীপুরে মাত্রারিক্ত বায়ূ দষণ হচ্ছে। এ দূষণ মানবদেহের সহনীয় মাত্রায় আনতে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়া, দ্রুততম সময়ে গাজীপুরের কান্না হিসেবে খ্যাত জয়দেবপুর রেলক্রসিং-এ ফ্লাই ওভার নির্মাণ, ভাওয়াল রাজবাড়ি থেকে জেলা প্রশাসনের কার্যলয় সরিয়ে সেটিকে পর্যটন কেন্দ্র ও যাদুঘরে রূপান্তর করা, মহানগর এর সকল সড়ক সংস্কার ও পরিচছন্ন রাখা, শিশু-কিশোরদের জন্য বিনোদনের জন্য পার্কের ব্যবস্থা করণ, সিএনজি, অটোরিকশা, বাস-ট্রাকের জন্য প্রয়োজনী গ্যারেজ ও টার্মিনালের ব্যবস্থা করণ, সকল খাস পুকুর/দীঘি সংরক্ষণ করে তা ব্যবহার উপযোগী করা, নিয়মিত সময়ে মশক নিধনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান। কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, শিল্পকলা একাডেমি, সাহিত্য কেন্দ্র’র জন্য স্থাপনা নির্মাণসহ সরকারি ভূমি ব্যবহারে মাস্টার প্ল্যান তৈরি করে প্রতিটি ওয়ার্ডে নাগরিকদের হাঁটাচলার জন্য উন্মূক্ত উদ্যান, সুস্থ্য বিনোদন কেন্দ্র স্থাপনেরও দাবি জানিয়েছেন বক্তারা। মানববন্ধন শেষে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারক লিপি প্রদান করেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, বায়ু দূষণ কমাতে ব্যাপক কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ৪৩টি ইটভাটা উচ্ছেদ করা হয়েছে। ভাওয়াল রাজবাড়ি থেকে জেলা প্রশাসন কার্যালয় অন্যত্র সরিয়ে নিতে এবং নতুন ভবণ নির্মানের জন্য আমরা ব্যাপকভাবে চেষ্টা চালাচ্ছি, রেলক্রসিং-এ রেলওভারব্রীজ নির্মাণের বিষয়টি পরিকল্পনা কমিশনে পরীক্ষাধীন আছে, প্রি-একনেকেও এবিষয়টি উঠেছে। আশা করছি দ্রুতই এ ফ্লাইওভার নির্মাণের অনুমোদন পাবে। আমরা অন্যসব দাবি বাস্তবায়নেও কাজ করছি, থেমে নেই। আসলে এতসব কাজতো রাতারাতি করা সম্ভব নয়। এরজন্য সময় প্রয়োজন।
গাজীপুর সিটিকর্পোরেশনের মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ জানান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের কাজ চলমান আছে। ড্যাম্পিংয়ের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের ১০০বিঘা জমি দিয়েছেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বর্জ্য সংরক্ষণ করার জন্য ও জায়াগার অনুমোদন পেয়েছি। এজন্য এসটিএস স্থাপনের কার্যক্রম চলমান আছে। কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জ্য সংরক্ষণ করে সেখানে প্রক্রিয়াজাত করার প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। সিটিতে মশকনিধনসহ উন্নয়ন কর্মকান্ড হচ্ছে আমাদের চলমান প্রক্রিয়া, ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণে জমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম চলছে। আটটি অঞ্চলে আটটি ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণ করা হবে।
ভিডিওঃ
মন্তব্য করুন: