
করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন বলেছেন, চীনে নতুন করে করোনার যে ঢেউ শুরু হয়েছে, এর পেছনে ওমিক্রনেরই একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট দায়ী। আগে ছিল বিএ.১ ভ্যারিয়েন্ট। এখন সেই জায়গাটা দখল করে নিচ্ছে বিএ.২ ভ্যারিয়েন্ট। পূর্ব এশিয়াতে এগুলো আস্তে আস্তে বাড়ছে। যারা টিকা নেয়নি তারা বিপদে পড়ছে। যেমন হংকংয়ে অনেকেই টিকা নেয়নি, এজন্য মৃত্যুর সংখ্যাটা সেখানে বেশি। অন্যত্র সংক্রমণ বাড়লেও মৃত্যু কম। তিনি বলেন, আমাদের দেশেও বিএ.২ পাওয়া গেছে। বিএ.১ এর চেয়ে বিএ.২ আরও দ্রুত ছড়ায়। তাই এই ভ্যারিয়েন্টটি দ্রুত সংক্রমণ হার বাড়াবে। নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্টের জন্ম না হলেও তিন মাস পর করোনার আরেকটি ঢেউ আসতে পারে। কারণ সংক্রমণের ফলে তৈরি হওয়া অ্যান্টিবডি ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ফলে একবার সংক্রমিত হলেও পরে আবার সংক্রমিত হতে পারে। আর নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হলে যে কোনো সময় ঢেউ শুরু হতে পারে। সেটা এক মাসের মধ্যেও হতে পারে।
এই মুহূর্তে বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ হার সর্বনিম্ন পর্যায়ে আছে। তবে যে কোনো সময় এটা বেড়ে যেতে পারে। চতুর্থ ঢেউ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি চালিয়ে যেতে হবে। অবশ্যই টিকা নিতে হবে সবাইকে। দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, হংকং ছাড়া ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। যুদ্ধের কারণেও সংক্রমণ বাড়ছে। টিকা সবাইকে নিতে হবে। তাহলে সংক্রমণ হলেও গুরুত্বর অসুস্থতা বা মৃত্যুঝুঁকি কমবে। বর্তমানে করোনার সব ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর একটি টিকা আবিষ্কারের বিষয়ে গবেষণা ও আলোচনা হচ্ছে। সংক্রমণ ঠেকাতে সক্ষম এমন ভ্যাকসিন না আসা পর্যন্ত করোনার ঢেউ একটির পর আরেকটি আসতে থাকবে। নতুন ভ্যারিয়েন্ট হলে দ্রুত আসবে, না হলে তিন মাস পর আসবে।
মন্তব্য করুন: