বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফল বিভাগের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২) অমৌসুমী ফলের আধুনিক উৎপাদন কলাকৌশল শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘Development of lean season fruit varieties and management packages- PIU-BARC, NATP-II’ শীর্ষক প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণে গাজীপুর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ৩০ ফলচাষী অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন (ডান থেকে) ফল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবুল চন্দ্র সরকার, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী, ফল বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান। |
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
বারি’র উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. অপূর্ব কান্তি বলেছেন, আমাদের দেশে প্রতিবছর বিভিন্ন ধরনের যে পরিমাণ ফল উৎপাদিত হয় তা দিয়ে মোট চাহিদার শতকরা ৪১ ভাগ মেটানো যায়। একজন সুস্থ ব্যক্তির দৈনিক ফলের চাহিদা প্রায় ২০০ গ্রাম। কিন্তু আমাদের দেশে মোট উৎপাদিত ফল দিয়ে একজন ব্যক্তির মাত্র ৮২ গ্রাম চাহিদা মেটানো যায়।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফল বিভাগের আয়োজনে অমৌসুমী ফলের আধুনিক উৎপাদন কলাকৌশল শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের ফল বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. বাবুল চন্দ্র সরকার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ প্রশিক্ষণে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফল বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. জিল্লুর রহমান।
এছাড়াও কৃষক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বারি’র বিভিন্ন বিভাগ ও কেন্দ্রের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রশিক্ষণে গাজীপুর জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ৩০ ফলচাষী অংশগ্রহণ করেন।
বক্তরা বলেন, প্রতি বছর আমাদের বিপুল পরিমাণ ফল আমদানি করতে হয় এবং এর ফলে বিপুল পরিমাণে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। তাই আমাদের দেশে ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের দেশে মোট ফলের শতকরা ৫৬ ভাগ উৎপাদিত হয় মে-আগস্ট এই চার মাসে। বাকি আট মাসে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর-এপ্রিল সময়ে মাত্র শতকরা ৪৪ভাগ ফল উৎপাদিত হয়। তাই এই সময়ে আমড়া, লটকন, আতা, শরিফা, সফেদা, মাল্টা, কমলা, বাতাবী লেবুর মতো অমৌসুমী ফলের উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে দেশে মোট ফলের উৎপাদন বৃদ্ধি করার মাধমে জনগণের পুষ্টি চাহিদা নিশ্চিত করা সম্ভব।
মন্তব্য করুন: