রাহিম সরকার, গাজীপুর
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মতে মানবদেহে মাদক সনাক্তের ডোপটেষ্ট পরীক্ষা চালু করেছে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। বুধবার ওই পরীক্ষায় এক চালকের দেহে মাদক সেবনের আলামত ধরা পড়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক তপন কুমার সরকার জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে এ হাসপাতালের চতুর্থ তলায় ডায়াগনস্টিক ল্যাবে ডোপ টেস্ট কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। শুরুর পর থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত ৫১জনের মধ্যে ডোপ টেস্ট করা হয়েছে। এরা সকলেরই গাড়ির চালক। বুধবার এ টেস্টে এক গাড়ি চালকের দেহে মাদকের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
সাধারণত কোন প্রতিষ্ঠান থেকে এ পরীক্ষার জন্য হাসপাতালের পরিচালক বরাবর আবেদন করা হয়। পরে এ পরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি হাসপাতালে হাজির হয়ে নমুনা দিতে হয়। এ টেস্টের জন্য প্রতিজনকে ১০টাকার রশিদ ক্রয় করা ছাড়া আরও ৬০০টাকা করে কাউন্টারে জমা দিতে হয়। বাইরে এ পরীক্ষার জন্য দ্বিগুন/তিনগুন করে টাকা নেয়ার তথ্যও পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছর থেকে এ টেস্ট শুরুর নির্দেশনা দিলেও প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও বরাদ্দ না থাকায় তা শুরু করা সম্ভব হয়নি। প্রায় মাসখানেক আগে নমুনা নিয়ে ঢাকার ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেল্থ-এ পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে টেস্টের বিভিন্ন তথ্য ও অভিজ্ঞতার আলোকে এ বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ডোপ টেস্ট শুরু করা হয়েছে। ডোপটেস্টের জন্য চার ধরণের কিট প্রয়োজন হয়। গত বাজেটে হাসপাতালের মালামাল ক্রয়ের তালিকায় এ পরীক্ষার জন্য কিটসহ প্রয়োজনীয় সামগ্রীর বরাদ্দ না থাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে কিট কেনা হয়নি। তবে এবার নিজস্ব ক্রয় ক্ষমতায় সীমিত পরিসরে ১০০টি পরীক্ষার জন্য কিট কেনা হয়েছে। এ যাবৎ ডোপ টেস্টের জন্য যতগুলো আবেদন এসেছে তার সবগুলোই বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের মাধমে গাড়ি চালকের জন্য। ডোপ টেস্টের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আবেদন, প্রত্যয়নপত্র এবং সংশ্লিস্ট ব্যক্তির জাতীয় পরিচয়পত্র ও প্রস্রাব নেওয়া হয়। এ হাসপাতালে জুনিয়র ল্যাব কনসাল্টেন্ট মোসা. শামসুন্নাহার এবং ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট এ কার্যক্রম তত্ত্বাবধান করছেন।
গাজীপুর বিআরটিএ সহকারী পরিচালক আবু নাঈম জানান, মাদকাসক্ত হলে পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবেন না। এজন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহণ ও নবায়নে ডোপ টেস্ট সনদ বাধ্যতামূলক করেছেন সরকার। ওই সনদ ছাড়া চালকরা নতুন লাইসেন্স গ্রহণ ও পুরোনো লাইসেন্স নবায়ন করতে পারবেন না। এ টেস্টের মাধ্যমে যারা মাদকাসক্ত নন কেবল তারাই পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।
ওই নির্দেশনার পর গাজীপুরে গত ৩০ জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়মের পেশাদার চালকদের লাইসেন্স দেওয়া শুরু হয়েছে । কিন্তু পরীক্ষা করাতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন লাইসেন্স প্রত্যাশীরা। নমুনা পরীক্ষার জন্য হাসপাতাল নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে মাত্র ছয়টি। তাতেও নেওয়া হচ্ছে চাহিদার তুলনায় খুব কম নমুনা।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সপ্তাহের পাঁচদিন ৫ জন করে নমুনা নেয়া হচ্ছে। এর বিপরীতে লাইসেন্স ও নবায়নের আবেদন করছে প্রতি মাসে ২৪০ থেকে ২৫০ জন।
সর্বাধিক পঠিত$type=one$s=0$rm=0$show=home
সর্বশেষ আপডেট$type=blogging$l=0$c=12$m=0$s=hide$rm=0$va=0$hide=home
- অভিবাসন
- অর্থ ও বাণিজ্য
- আইন ও অপরাধ
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- ইটালি
- ইতালি
- এভিয়েশন
- কক্সবাজার
- কলকাতা
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুয়েত
- কৃষি
- ক্যালিফোর্নিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খাদ্য
- খেলা
- গণমাধ্যম
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- জাতীয়
- জাপান
- জীবনধারা
- ঢাকা
- ঢাবি
- দরকারি তথ্য
- দিনাজপুর
- নরসিংদী
- নিউইয়র্ক
- নিউজিল্যান্ড
- পরিবহণ
- পরিবেশ
- পোশাক শিল্প
- প্রযুক্তি
- ফিনল্যান্ড
- ফেনী
- বাংলাদেশ
- বিচিত্র
- বিজ্ঞান
- বিনোদন
- বিশেষ প্রতিবেদন
- ব্যাংকিং
- ভারত
- ভেনেজুয়েলা
- ভ্রমণ
- মতামত
- মানিকগঞ্জ
- মালয়েশিয়া
- মিয়ানমার
- যুক্তরাজ্য
- যুক্তরাষ্ট্র
- যোগযোগ
- রাজনীতি
- লক্ষ্মীপুর
- লিবিয়া
- শিক্ষা
- শ্রীলঙ্কা
- সংযুক্ত আরব আমিরাত
- সারাদেশ
- সিরাজগঞ্জ
- সৌদি আরব
- স্পেন
- স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন: