আফগানিস্তানের কাবুলে নারীদের পোশাক বিক্রির দোকানে একটি ম্যানিকিনকে বিয়ের পোশাকে সাজানো হচ্ছে। ফাইল ছবি |
ডেইলি নিউজ ডেস্ক
আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলে দোকানে পোশাক প্রদর্শনের জন্য রাখা পুতুলগুলোর (ম্যানিকিন) মাথা কেটে ফেলতে দোকানমালিকদের নির্দেশ দিয়েছে তালেবান। তাদের দাবি, মানুষের মতো তৈরি এসব পুতুল ইসলামি আইনের পরিপন্থী।
মাথাবিহীন প্লাস্টিকের নারী ম্যানিকিনের গলা কাটা হচ্ছে এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।
গত আগস্টে ক্ষমতা দখলের পর থেকে তালেবান ইসলামি আইনের দোহাই দিয়ে একের পর এক কট্টর পন্থা আরোপ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের সব অধিকার হরণ করে একপ্রকারের বন্দী করা হয়েছে তাদের।
গত সপ্তাহে দূরের পথে নারীদের একা ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। মদ বিক্রেতা ও মাদকাসক্তদের বিরুদ্ধে অভিযান বাড়ছে। নিষিদ্ধ করা হয়েছে সংগীতও।
This is Herat where the Taliban authorities have asked clothing shops to behead all “female mannequins” calling them “un-Islamic”. Herat was called “the pearl of Khurasan” by Rumi and has been considered the cultural capital of #Afghanistan. pic.twitter.com/CUBA6fSE74
— Zia Shahreyar l ضیا شهریار (@ziashahreyar) January 3, 2022
হেরাত শহরে মিনিস্ট্রি ফর দ্য প্রমোশন অব ভারচু অ্যান্ড প্রিভেনশন অব ভাইসের প্রধান আজিজ রহমান এএফপিকে বলেন, ম্যানিকিনের মাথা কেটে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, এটি শরিয়া আইনের পরিপন্থী।
এই নির্দেশের পর কয়েকজন পোশাক ব্যবসায়ী প্রাথমিকভাবে ম্যানিকিনের মাথা ও মুখ প্লাস্টিকের ব্যাগ ও স্কার্ফ দিয়ে ঢেকে রেখেছেন। তবে এখন পর্যন্ত তালেবান এ নিয়ে সরকারি কোনো আইন জারি করেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি বলেন, দোকানিরা যদি ম্যানিকিনের মাথা বা পুরো ম্যানিকিনকে ঢেকে রাখেন, তাহলে আল্লার ফেরেশতা তাঁর দোকানে বা বাড়িতে আসবেন এবং তাঁদের জন্য দোয়া করবেন।
এই তালেবান বাহিনী ১৯৯০–এর দশকে তাদের প্রথম শাসনামলে দুটি প্রাচীন বুদ্ধমূর্তি ধ্বংস করলে বিশ্বব্যাপী ক্ষোভ তৈরি হয়।
মন্তব্য করুন: