
গাজীপুর প্রতিনিধি
থানা মানে যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন হবে, সেখানেই যদি দুর্নীতি ও অন্যায় হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের ন্যায়ের আশ্রয় কোথায়? গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কাশিমপুর থানা থেকে এমনই এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে। ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী শাহ আলমকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, পরিবারকে অর্থের জন্য চাপ দেওয়া এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো গুরুতর অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী রোজিনা বেগম। আজ গাজীপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিমপুর থানার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নির্যাতন এবং অর্থ আদায়ের অভিযোগ তুলে এক ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সংবাদমাধ্যমে এই অভিযোগ জানিয়েছেন। আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুরে গাজীপুর মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শাহ আলমের স্ত্রী রোজিনা বেগম এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
রোজিনা জানান, গত ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, পারিবারিক একটি ঝগড়াকে কেন্দ্র করে কাশিমপুর থানা থেকে পুলিশ তার স্বামীকে আটক করে। তার দাবি, পারিবারিক সমস্যা সমাধানে সাহায্য চাওয়ার উদ্দেশ্যে থানায় ফোন করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বিকেলেই পুলিশ এসে তার স্বামীকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের দুঃস্বপ্নের শুরু।
রোজিনা আরও জানান, তার স্বামীকে মুক্ত করতে গেলে কনস্টেবল শফিক ২ লাখ টাকা দাবি করেন। একাধিকবার আবেদন ও সমঝোতার চেষ্টায় পরিবারের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হলেও শাহ আলমকে ছাড়েনি পুলিশ। বরং পুলিশ মিথ্যা মামলায় তাকে জড়িয়ে ফাঁসানোর হুমকি দিতে থাকে।
এরপর ৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে, এক অজ্ঞাত ডাকাতি মামলায় শাহ আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, ওই ডাকাতি মামলার সময় অর্থাৎ ৩১ আগস্ট ২০২৪-এ শাহ আলম কাশিমপুর কারাগারে অন্য মামলায় আটক ছিলেন। অর্থাৎ মামলাটি পুরোপুরি বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যমূলক।
শাহ আলমের স্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে তার স্বামীর মুক্তি, মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার, সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের শাস্তি এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। পাশাপাশি, গণমাধ্যম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং দেশের মানুষের সাহায্যের আবেদন করেছেন।
কাশিমপুর থানার এই ঘটনা শুধু একজন শাহ আলমের গল্প নয়, বরং এটি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি গভীর সমস্যার ইঙ্গিত বহন করে। বিচার ব্যবস্থার ন্যায্যতা রক্ষা করতে এবং জনগণের বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এ ধরনের দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কঠোর শাস্তি প্রয়োজন। এ ঘটনা যদি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, তবে এর সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া শুধু একজন নির্যাতিত পরিবারের জন্যই নয়, বরং সমাজে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য একান্ত জরুরি।
থানা মানে যেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পালন হবে, সেখানেই যদি দুর্নীতি ও অন্যায় হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের ন্যায়ের আশ্রয় কোথায়? গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কাশিমপুর থানা থেকে এমনই এক ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে। ভাঙ্গারি ব্যবসায়ী শাহ আলমকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো, পরিবারকে অর্থের জন্য চাপ দেওয়া এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো গুরুতর অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী রোজিনা বেগম। আজ গাজীপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কাশিমপুর থানার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, নির্যাতন এবং অর্থ আদায়ের অভিযোগ তুলে এক ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য সংবাদমাধ্যমে এই অভিযোগ জানিয়েছেন। আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি ২০২৫) দুপুরে গাজীপুর মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শাহ আলমের স্ত্রী রোজিনা বেগম এ বিষয়ে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
রোজিনা জানান, গত ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, পারিবারিক একটি ঝগড়াকে কেন্দ্র করে কাশিমপুর থানা থেকে পুলিশ তার স্বামীকে আটক করে। তার দাবি, পারিবারিক সমস্যা সমাধানে সাহায্য চাওয়ার উদ্দেশ্যে থানায় ফোন করেছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু বিকেলেই পুলিশ এসে তার স্বামীকে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের দুঃস্বপ্নের শুরু।
রোজিনা আরও জানান, তার স্বামীকে মুক্ত করতে গেলে কনস্টেবল শফিক ২ লাখ টাকা দাবি করেন। একাধিকবার আবেদন ও সমঝোতার চেষ্টায় পরিবারের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করা হলেও শাহ আলমকে ছাড়েনি পুলিশ। বরং পুলিশ মিথ্যা মামলায় তাকে জড়িয়ে ফাঁসানোর হুমকি দিতে থাকে।
এরপর ৫ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে, এক অজ্ঞাত ডাকাতি মামলায় শাহ আলমকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে থানার উপপরিদর্শক মিজানুর রহমান। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, ওই ডাকাতি মামলার সময় অর্থাৎ ৩১ আগস্ট ২০২৪-এ শাহ আলম কাশিমপুর কারাগারে অন্য মামলায় আটক ছিলেন। অর্থাৎ মামলাটি পুরোপুরি বানোয়াট এবং উদ্দেশ্যমূলক।
শাহ আলমের স্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে তার স্বামীর মুক্তি, মিথ্যা মামলার প্রত্যাহার, সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের শাস্তি এবং ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। পাশাপাশি, গণমাধ্যম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং দেশের মানুষের সাহায্যের আবেদন করেছেন।
কাশিমপুর থানার এই ঘটনা শুধু একজন শাহ আলমের গল্প নয়, বরং এটি দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি গভীর সমস্যার ইঙ্গিত বহন করে। বিচার ব্যবস্থার ন্যায্যতা রক্ষা করতে এবং জনগণের বিশ্বাস পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এ ধরনের দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কঠোর শাস্তি প্রয়োজন। এ ঘটনা যদি নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, তবে এর সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক ব্যক্তির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া শুধু একজন নির্যাতিত পরিবারের জন্যই নয়, বরং সমাজে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য একান্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন: