বিশেষ প্রতিনিধি
বাংলাদেশে সড়ক উন্নয়ন যেন দুর্নীতির এক নতুন নাম হয়ে উঠেছে। বিশাল অঙ্কের টাকার বরাদ্দ হলেও সঠিক সময়ে কাজ শেষ হয় না, এবং কাজের মানও প্রশ্নবিদ্ধ। এমনকি ২০১৯-২০ অর্থবছরে অডিট রিপোর্টে উঠে আসা তথ্যগুলো চমকে দেয়। অথচ আমরা সড়ক উন্নয়নে প্রশংসা শুনে এসেছি দীর্ঘদিন। এবার টিআইবি’র গবেষণায় বেরিয়ে এলো রীতিমত ৫০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! এটা শুধু টাকার অপচয় নয়, দেশের সার্বিক উন্নয়নের পথে এক বড় বাধা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগী শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে ব্যাপক সড়ক উন্নয়নের দাবি থাকলেও, টিআইবির গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সড়ক খাতে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে। গবেষণা অনুসারে, ২৯ হাজার ২৩০ থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা পর্যন্ত দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে।
১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের ১২ বছর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন ওবায়দুল কাদের। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর কড়া ভাষণ থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোতে ঠিকাদারি পেতে ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য চলেছে। একাধিক নেতা, ঠিকাদার এবং কর্মকর্তাদের যৌথ আঁতাতে প্রকল্প ব্যয়ের ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত দুর্নীতির মাধ্যমে চলে গেছে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন তৈরি করেছেন সংস্থার রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মোস্তফা কামাল ও সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মো. জুলকারনাইন। টিআইবির ওই গবেষণায় দেখা যায়, সরকারি প্রকল্পে ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে অপচয় হয়।
২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মধ্যে সওজের ২৫টি প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে ৭২ শতাংশ কাজই ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সড়ক খাতে দুর্নীতি এতটাই গভীরে গেঁথে গেছে যে, ই-জিপি দরপত্র প্রক্রিয়ায়ও ম্যাট্রিক্স পদ্ধতির কারণে নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানই কার্যাদেশ পাচ্ছে। এতে করে দরপত্রগুলোর দাম অতিরিক্তভাবে বেড়ে যায়, আর কাজের মান কমে।
গবেষণায় বিশ্বব্যাংকের তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশে চার লেনের সড়ক নির্মাণ খরচ প্রতিবেশী ভারতের তুলনায় ৯ গুণ বেশি এবং ইউরোপের দ্বিগুণ। ব্যয় প্রাক্কলনে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়তি ধরা হয়।
গবেষণায় আরও বলা হয়, ঠিকাদাররা সওজের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে কাজ না করেও পার পেয়ে যান। এক কর্মকর্তা যখন ঠিকাদারের ভুল ধরতে যান, তখন তাঁকে মাঠ পর্যায় থেকে অফিস পর্যায়ে বদলি করা হয়।
ওবায়দুল কাদের ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদারি কার্যাদেশ পাওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
বাংলাদেশে সড়ক উন্নয়ন যেন দুর্নীতির এক নতুন নাম হয়ে উঠেছে। বিশাল অঙ্কের টাকার বরাদ্দ হলেও সঠিক সময়ে কাজ শেষ হয় না, এবং কাজের মানও প্রশ্নবিদ্ধ। এমনকি ২০১৯-২০ অর্থবছরে অডিট রিপোর্টে উঠে আসা তথ্যগুলো চমকে দেয়। অথচ আমরা সড়ক উন্নয়নে প্রশংসা শুনে এসেছি দীর্ঘদিন। এবার টিআইবি’র গবেষণায় বেরিয়ে এলো রীতিমত ৫০ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! এটা শুধু টাকার অপচয় নয়, দেশের সার্বিক উন্নয়নের পথে এক বড় বাধা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগী শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে ব্যাপক সড়ক উন্নয়নের দাবি থাকলেও, টিআইবির গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সড়ক খাতে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে। গবেষণা অনুসারে, ২৯ হাজার ২৩০ থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা পর্যন্ত দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে।
১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের ১২ বছর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন ওবায়দুল কাদের। দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর কড়া ভাষণ থাকা সত্ত্বেও মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলোতে ঠিকাদারি পেতে ঘুষ, কমিশন বাণিজ্য চলেছে। একাধিক নেতা, ঠিকাদার এবং কর্মকর্তাদের যৌথ আঁতাতে প্রকল্প ব্যয়ের ১০ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত দুর্নীতির মাধ্যমে চলে গেছে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এ গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন তৈরি করেছেন সংস্থার রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট মোস্তফা কামাল ও সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মো. জুলকারনাইন। টিআইবির ওই গবেষণায় দেখা যায়, সরকারি প্রকল্পে ২৩ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে অপচয় হয়।
২০০৯-১০ অর্থবছর থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের মধ্যে সওজের ২৫টি প্রকল্প পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৯ কোটি টাকা বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে ৭২ শতাংশ কাজই ১৫টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সড়ক খাতে দুর্নীতি এতটাই গভীরে গেঁথে গেছে যে, ই-জিপি দরপত্র প্রক্রিয়ায়ও ম্যাট্রিক্স পদ্ধতির কারণে নির্দিষ্ট কিছু প্রতিষ্ঠানই কার্যাদেশ পাচ্ছে। এতে করে দরপত্রগুলোর দাম অতিরিক্তভাবে বেড়ে যায়, আর কাজের মান কমে।
গবেষণায় বিশ্বব্যাংকের তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়, বাংলাদেশে চার লেনের সড়ক নির্মাণ খরচ প্রতিবেশী ভারতের তুলনায় ৯ গুণ বেশি এবং ইউরোপের দ্বিগুণ। ব্যয় প্রাক্কলনে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়তি ধরা হয়।
গবেষণায় আরও বলা হয়, ঠিকাদাররা সওজের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশে কাজ না করেও পার পেয়ে যান। এক কর্মকর্তা যখন ঠিকাদারের ভুল ধরতে যান, তখন তাঁকে মাঠ পর্যায় থেকে অফিস পর্যায়ে বদলি করা হয়।
ওবায়দুল কাদের ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ঠিকাদারি কার্যাদেশ পাওয়ার অভিযোগও উঠেছে।
মন্তব্য করুন: