বিশেষ প্রতিনিধি
পেঁয়াজ ও আলুর ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে। কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর সরকারের নিত্যপ্রয়োজনীয় এই দুই পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত কতটা প্রভাব ফেলেছে বাজারে? বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আমদানি শুল্ক কমানোর পর আলু ও পেঁয়াজের দাম কতটা হ্রাস পেয়েছে এবং বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিপরীতে দেশের বাজারে এই শুল্ক ছাড় কেমন প্রভাব ফেলেছে—সেই বিশ্লেষণই উঠে আসছে আমাদের আজকের প্রতিবেদনটিতে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর আলু ও পেঁয়াজের দাম কমাতে সরকার আমদানি শুল্ক কমানোর যে উদ্যোগ নেয়, তার প্রভাবে সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম কমেছে ১.৭৯ শতাংশ এবং আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমেছে ১১.৬৩ শতাংশ। দেশি পেঁয়াজের দামও এর প্রভাবে ৬.৫২ শতাংশ কমেছে।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের মান্ডি বাজার ও রেফিনেটিভের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে বিশ্ববাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫.৪০ শতাংশ এবং আলুর দাম বেড়েছে ২০.১৩ শতাংশ। তা সত্ত্বেও দেশের বাজারে দাম কমেছে, যা মূলত শুল্ক কমানোর ফলে সম্ভব হয়েছে।
সরকার পেঁয়াজের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক তুলে নেয় এবং আলুর ক্ষেত্রে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে। এ ছাড়াও আলু আমদানিতে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়। এক মাস আগে আলুর দাম ছিল ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা বর্তমানে ৫৪-৫৬ টাকায় নেমেছে। একইভাবে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও ১১০-১১৫ টাকা থেকে নেমে এসেছে ৯০-১০০ টাকায়।
বিশ্ববাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেলেও, দেশের বাজারে শুল্ক ছাড়ের ফলে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক কমানোয় এই দাম হ্রাসের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি, দেশি পেঁয়াজের বাজারও আমদানি করা পেঁয়াজের দামের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এখানেও কমতি দেখা যাচ্ছে।
বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আলু ও পেঁয়াজের শুল্ক ছাড়ের ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে এবং কিছু পণ্যের দাম কমেছে। কিন্তু ডিম, চাল, চিনি, ফল এবং ভোজ্যতেলের মতো পণ্যগুলোর দাম এখনও অনেক বেশি। তাই এই পণ্যগুলোর আমদানিতেও শুল্ক ছাড় দেওয়া হলে বাজারে আরও ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, "শুল্ক কমালে পণ্যের সরবরাহ বাড়ে এবং মজুদকারীরা পণ্য ছাড়তে বাধ্য হন। ফলে দাম কমে আসে। আলু ও পেঁয়াজের ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটেছে।"
বাংলাদেশ নাগরিক সমাজের কর্মকর্তা মুছা খান রানা বলেন, সরকারের শুল্ক কমানোর উদ্যোগের ফলে আলু ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক। তবে বাজারের সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে আরও শুল্ক ছাড় দেওয়া হলে বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে এবং মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে ভোক্তারা মুক্তি পেতে পারেন।
পেঁয়াজ ও আলুর ক্রমবর্ধমান দাম নিয়ে দেশের সাধারণ মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে। কিন্তু ৫ সেপ্টেম্বর সরকারের নিত্যপ্রয়োজনীয় এই দুই পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত কতটা প্রভাব ফেলেছে বাজারে? বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আমদানি শুল্ক কমানোর পর আলু ও পেঁয়াজের দাম কতটা হ্রাস পেয়েছে এবং বিশ্ববাজারে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির বিপরীতে দেশের বাজারে এই শুল্ক ছাড় কেমন প্রভাব ফেলেছে—সেই বিশ্লেষণই উঠে আসছে আমাদের আজকের প্রতিবেদনটিতে।
গত ৫ সেপ্টেম্বর আলু ও পেঁয়াজের দাম কমাতে সরকার আমদানি শুল্ক কমানোর যে উদ্যোগ নেয়, তার প্রভাবে সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে কিছুটা স্থিতিশীলতা এসেছে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম কমেছে ১.৭৯ শতাংশ এবং আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমেছে ১১.৬৩ শতাংশ। দেশি পেঁয়াজের দামও এর প্রভাবে ৬.৫২ শতাংশ কমেছে।
তবে আন্তর্জাতিক বাজারে আলু ও পেঁয়াজের দাম ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতের মান্ডি বাজার ও রেফিনেটিভের তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে বিশ্ববাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫.৪০ শতাংশ এবং আলুর দাম বেড়েছে ২০.১৩ শতাংশ। তা সত্ত্বেও দেশের বাজারে দাম কমেছে, যা মূলত শুল্ক কমানোর ফলে সম্ভব হয়েছে।
সরকার পেঁয়াজের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক তুলে নেয় এবং আলুর ক্ষেত্রে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে। এ ছাড়াও আলু আমদানিতে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়। এক মাস আগে আলুর দাম ছিল ৫৫-৬০ টাকা কেজি, যা বর্তমানে ৫৪-৫৬ টাকায় নেমেছে। একইভাবে আমদানি করা পেঁয়াজের দামও ১১০-১১৫ টাকা থেকে নেমে এসেছে ৯০-১০০ টাকায়।
বিশ্ববাজারে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেলেও, দেশের বাজারে শুল্ক ছাড়ের ফলে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে শুল্ক কমানোয় এই দাম হ্রাসের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি, দেশি পেঁয়াজের বাজারও আমদানি করা পেঁয়াজের দামের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় এখানেও কমতি দেখা যাচ্ছে।
বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আলু ও পেঁয়াজের শুল্ক ছাড়ের ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে এবং কিছু পণ্যের দাম কমেছে। কিন্তু ডিম, চাল, চিনি, ফল এবং ভোজ্যতেলের মতো পণ্যগুলোর দাম এখনও অনেক বেশি। তাই এই পণ্যগুলোর আমদানিতেও শুল্ক ছাড় দেওয়া হলে বাজারে আরও ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাবে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, "শুল্ক কমালে পণ্যের সরবরাহ বাড়ে এবং মজুদকারীরা পণ্য ছাড়তে বাধ্য হন। ফলে দাম কমে আসে। আলু ও পেঁয়াজের ক্ষেত্রে এমনটাই ঘটেছে।"
বাংলাদেশ নাগরিক সমাজের কর্মকর্তা মুছা খান রানা বলেন, সরকারের শুল্ক কমানোর উদ্যোগের ফলে আলু ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য স্বস্তিদায়ক। তবে বাজারের সামগ্রিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে আরও শুল্ক ছাড় দেওয়া হলে বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে এবং মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে ভোক্তারা মুক্তি পেতে পারেন।
মন্তব্য করুন: