ছবি: সংগৃহীত |
করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
সাম্প্রতিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলন চলাকালে ডাটা সেন্টারে আগুন লাগার সাথে মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ইন্টারনেট বন্ধের সাথে ডাটা সেন্টারে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি সম্পৃক্ত করে সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জাতির কাছে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করেছেন। কোনোরকম প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই তাঁর মৌখিক নির্দেশে বন্ধ হয়েছিল ইন্টারনেট।
ইন্টারনেট বন্ধ নিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনে এ সব কথা বলা হয়েছে।
সোমবার (আগস্ট ১২, ২০২৪) দেশব্যাপী মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট শাটডাউনের কারণ এবং সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের নির্দেশে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
আজ মঙ্গলবার (আগস্ট ১৩, ২০২৪) মন্ত্রণালয় একটি তথ্য বিবরণীতে প্রাথমিক প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫–১৬ জুলাই মোবাইল ইন্টারনেট এবং গত ১৮–২৩ জুলাই ও ৫ আগস্ট ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। এ সময় ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের প্রশাসনিক অনুমোদন ছাড়াই ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের মৌখিক নির্দেশক্রমে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদের নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়। অপরদিকে, ১৭–২৮ জুলাই পর্যন্ত এবং ৫ আগস্ট মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ও চালু করার বিষয়টি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) নির্দেশনায় সম্পন্ন করা হয়।
ডাক ও রেলযোগাযোগ বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা শেফায়েত হোসেন জানিয়েছেন, ইন্টারনেট বন্ধের বিষয়ে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর বর্তমানে অধিকতর তদন্ত চলমান।
মন্তব্য করুন: