করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী বেলাই বিলে বালি ভরাট ও নির্মাণ কাজ করার অপরাধে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাফে মোহাম্মদ ছড়া বৃহস্পতিবার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী বেলাই বিলে বালি ভরাট করে প্লট আবাসন প্রকল্প করছে তেপান্তর হাউজিং কোম্পানি লিমিটেড ও নর্থ সাউথ হাউজিং কোম্পানি লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে নর্থ সাউথ হাউজিং কোম্পানি প্লট বিক্রিও শুরু করেছে। যদিও আইনে জলাধার ভরাট করে আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলার কোনো সুযোগ নেই। এ নিয়ে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার আলোকে জেলা প্রশাসন বালি ভরাটসহ সকল কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়। নির্দেশ অমান্য করে বৃহস্পতিবার রাতে বেলাই বিলে বালি ভরাট করার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাফে মোহাম্মদ ছড়া জানান, ইতিপূর্বে সরজেমিনে অভিযান চালিয়ে বালি উত্তোলনের পাইপ খুলে দেয়া হয়েছিল। তারপরেও সরকারি আদেশ অমান্য করে আইন ভেঙ্গে বেলাই বিলে বালি ভরাট ও নির্মাণ কাজ করার সময় হাতেনাতে আটক করে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়।
দণ্ডিতরা হলো,গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল এলাকার আরজু মৃধার ছেলে নবাব মির্ধা, বড় কয়ের এলাকার আওলাদ হোসেনের ছেলে আকবর হোসেন, ছোট কয়ের এলাকার আওলাদ হোসেন মোল্লার ছেলে মো: জুবায়ের হোসেন মোল্লা (৩৪),গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়ীয়া ইউনিয়নের আতুরী এলাকার মো: জালাল উদ্দিনের ছেলে মো: ফাহাদ ভূইয়া (২৫), আমুনা এলাকার মো: মোবারকের ছেলে মো: মিন্টু ও বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার বিহার এলাকার মৃত আবদুল মোতালিবের ছেলে মোহাম্মদ আরিফ।
সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী বেলাই বিলে বালি ভরাট ও নির্মাণ কাজ করার অপরাধে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাফে মোহাম্মদ ছড়া বৃহস্পতিবার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী বেলাই বিলে বালি ভরাট করে প্লট আবাসন প্রকল্প করছে তেপান্তর হাউজিং কোম্পানি লিমিটেড ও নর্থ সাউথ হাউজিং কোম্পানি লিমিটেড নামের দুটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে নর্থ সাউথ হাউজিং কোম্পানি প্লট বিক্রিও শুরু করেছে। যদিও আইনে জলাধার ভরাট করে আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলার কোনো সুযোগ নেই। এ নিয়ে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞার আলোকে জেলা প্রশাসন বালি ভরাটসহ সকল কাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়। নির্দেশ অমান্য করে বৃহস্পতিবার রাতে বেলাই বিলে বালি ভরাট করার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাফে মোহাম্মদ ছড়া জানান, ইতিপূর্বে সরজেমিনে অভিযান চালিয়ে বালি উত্তোলনের পাইপ খুলে দেয়া হয়েছিল। তারপরেও সরকারি আদেশ অমান্য করে আইন ভেঙ্গে বেলাই বিলে বালি ভরাট ও নির্মাণ কাজ করার সময় হাতেনাতে আটক করে ৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়।
দণ্ডিতরা হলো,গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল এলাকার আরজু মৃধার ছেলে নবাব মির্ধা, বড় কয়ের এলাকার আওলাদ হোসেনের ছেলে আকবর হোসেন, ছোট কয়ের এলাকার আওলাদ হোসেন মোল্লার ছেলে মো: জুবায়ের হোসেন মোল্লা (৩৪),গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়ীয়া ইউনিয়নের আতুরী এলাকার মো: জালাল উদ্দিনের ছেলে মো: ফাহাদ ভূইয়া (২৫), আমুনা এলাকার মো: মোবারকের ছেলে মো: মিন্টু ও বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার বিহার এলাকার মৃত আবদুল মোতালিবের ছেলে মোহাম্মদ আরিফ।
এর আগে, গত ১৯ আগস্ট গাজীপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাফে মোহাম্মদ ছড়া এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেন। তাতে বলা হয়েছে,জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে ভূমি ব্যবস্থাপনা ম্যানুয়েল, ১৯৯০ এর ১৬১, ৩২৭ বিধি যথাযথ প্রতিপালনপূর্বক অকৃষি জমি ক্রয়ের ক্ষেত্রে কালেক্টরেটের পূর্বানুমোদন এবং শ্রেণি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইন ১৯৫০ অনুসারে কালেক্টরেটের অনুমতি সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। অধিকন্তু বালু ভরাটের ক্ষেত্রে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন নং-১৩১৪৩/২০১৮ এবং কনটেম্পট পিটিশন নং- ১৯৬/2022 অনুসরণ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো। রিট পিটিশনের নির্দেশনা মোতাবেক বর্ণিত এলাকায় (গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়ীয়া ইউনিয়ন) বালু ভরাট, অবৈধ দখল এবং সাইনবোর্ড টানানো বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, অন্যথায় আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ নির্দেশনার অনুলিপি উল্লিখিত বেলাই বিলের যে সব এলাকায় অবৈধভাবে বালি ভরাট ও নির্মাণ কাজ করা হচ্ছিল সে সব জায়গায় টানিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া এ চিঠির অনুলিপি তেপান্তর হাউজিং লিমিটেড ও সাউথ হাউজিং লিমিটেডের চেয়ারম্যানকে দেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ঢাকার কাছে উর্বর ভূমির যে-সব বিল রয়েছে তন্মধ্যে বেলাই বিল রূপ সৌন্দর্যে অন্যতম। এ বিলের সাথে সংযোগ রয়েছে বালু ও পারুলী নদীরও। আট বর্গমাইলের বেলাই বিল ঘিরে রয়েছে গাজীপুর সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলার শতাধিক গ্রাম। দেশি মাছের অভয়ারণ্য এই বিল। এক সময় ২৫-৩০ প্রজাতির দেশী মাছ পাওয়া যেত। আর শুষ্ক মৌসুমে চাষ হয় বোরো ধান ও রবিশস্য। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত বেলাই বিলে বালু ভরাট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি দূষণে ধ্বংস হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ বিলটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, টঙ্গী ঘোড়াশাল মহাসড়কের পাশে নলছাটা মৌজায় বর্ষার পানিতে বেলাই বিলের চারিদিক টইটুম্বুর। মাঝখানে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে দ্বীপের মতো জেগে উঠেছে। নিজেদের দাবি করে বিভিন্ন রঙের সাইনবোর্ডে টাঙানো রয়েছে। কোম্পানি দুটি এ পর্যন্ত প্রায় ২০ একর জমি ক্রয় করেছে। যার অধিকাংশই বোরো ও আমন শ্রেণীর। কিছু রয়েছে নালা শ্রেণীর। ভরাটকৃত জমির বাহিরেও বিশাল জলরাশি। তারমধ্যেও নানা রঙের সাইনবোর্ড। বালু নদ থেকে টঙ্গী- ঘোড়াশাল মহাসড়কের পাশ দিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরত্বে নলছাটা পর্যন্ত মোটা পাইপ দিয়ে বালি নিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। পাশেই গাজীপুর সদর উপজেলার ভূমি অফিস কর্তৃক নোটিশে লেখা রয়েছে, মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এই এলাকায় বালু ভরাট, অবৈধ দখল এবং সাইনবোর্ড টাঙানো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা জানায়, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বেশি দামে লোভ দেখিয়ে বিলের জমি ক্রয় করার কথা বলে। বিলের অধিকাংশ জমি খ্রিষ্টান ও হিন্দুধর্মের মানুষের থাকায় সহজেই জমিগুলো ক্রয় করতে পারে। তারা জমির দাম মিটিয়ে কিছু টাকা বায়না করে। পরে আর টাকা না দিয়েই শুরু করে ভরাট। জমির মালিকেরা প্রতিবাদ করলেও তারা শোনেন না, টাকাও দেন না। কেউ প্রতিবাদ করলে প্রতিষ্ঠানের দালালি করা স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাকর্মী হুমকি দেয়। এরা প্রায় ২০/৩০ একর জমি এলাকাবাসীর নিকট থেকে নিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বালি ভরাট করছে।
স্থানীয় দড়িপাড়া গ্রামের গার্বিয়েল বলেন, ৪/৫ বছর আগে একটি কোম্পানি আমার ৪ বিঘা জমি ১ কোটি টাকা দাম করে। পরে আমাকে ২২ লাখ টাকা দিয়ে ভরাট করে। এখন পর্যন্ত আমাকে আর টাকা দেয়নি৷
নলছাটা গ্রামের আরেক বাসিন্দা বিপন চন্দ্র সাহা বলেন, এখানকার জমির মালিক বেশিরভাগই খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের। এভাবে জমি নিয়ে ভরাট করলে আমরা হুমকির মধ্যে পড়ে যাব। নলছাটা গ্রামের প্রকাশ চন্দ্র বলেন, আমার ১০/১২ বিঘা জমিন আছে৷ তারা বহুভাবে জমি নিতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি৷ আমাকে হুমকিও দিয়েছে কিন্তু বিক্রি করিনি, এতে ঝামেলায় আছি। কারণ আমার জমি এক ফসলি। কিন্তু বালি দিয়ে ভরাট করায় বর্ষার পানি বিল থেকে নামতে ২ মাস বেশি সময় লাগে। ফলে সময়মতো ফসল ফলাতে পারি না।
বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী ভরা মৌসুমে পানি যতদূর পর্যন্ত যাবে, তার পুরোটাই নদী বা বিলের জমি। পানি শুকিয়ে গেলে ফোরশোর ভূমি হিসেবে পূর্ববর্তী মালিক পুনরায় ওই জমির দখল পাবেন। কিন্তু সেখানে কোনোভাবেই স্থাপনা নির্মাণ বা বালি ভরাট করা যাবে না। সে হিসেবে নর্থ সাউথ হাউজিং ও তেপান্তর হাউজিং লিমিটেড আইন ভঙ্গ করছে। তিনি বলেন, কখনই উন্মুক্ত জলাধারের জমি আবাসন প্রতিষ্ঠানের নামে নামজারি হওয়ার সুযোগ নেই। এটা হয়ে থাকলে তা হবে আইনের লঙ্ঘন। এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
নির্দেশনায় আরো বলা হয়, অন্যথায় আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ নির্দেশনার অনুলিপি উল্লিখিত বেলাই বিলের যে সব এলাকায় অবৈধভাবে বালি ভরাট ও নির্মাণ কাজ করা হচ্ছিল সে সব জায়গায় টানিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া এ চিঠির অনুলিপি তেপান্তর হাউজিং লিমিটেড ও সাউথ হাউজিং লিমিটেডের চেয়ারম্যানকে দেয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ঢাকার কাছে উর্বর ভূমির যে-সব বিল রয়েছে তন্মধ্যে বেলাই বিল রূপ সৌন্দর্যে অন্যতম। এ বিলের সাথে সংযোগ রয়েছে বালু ও পারুলী নদীরও। আট বর্গমাইলের বেলাই বিল ঘিরে রয়েছে গাজীপুর সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলার শতাধিক গ্রাম। দেশি মাছের অভয়ারণ্য এই বিল। এক সময় ২৫-৩০ প্রজাতির দেশী মাছ পাওয়া যেত। আর শুষ্ক মৌসুমে চাষ হয় বোরো ধান ও রবিশস্য। কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত বেলাই বিলে বালু ভরাট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পাশাপাশি দূষণে ধ্বংস হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী এ বিলটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, টঙ্গী ঘোড়াশাল মহাসড়কের পাশে নলছাটা মৌজায় বর্ষার পানিতে বেলাই বিলের চারিদিক টইটুম্বুর। মাঝখানে বিস্তৃত এলাকা জুড়ে দ্বীপের মতো জেগে উঠেছে। নিজেদের দাবি করে বিভিন্ন রঙের সাইনবোর্ডে টাঙানো রয়েছে। কোম্পানি দুটি এ পর্যন্ত প্রায় ২০ একর জমি ক্রয় করেছে। যার অধিকাংশই বোরো ও আমন শ্রেণীর। কিছু রয়েছে নালা শ্রেণীর। ভরাটকৃত জমির বাহিরেও বিশাল জলরাশি। তারমধ্যেও নানা রঙের সাইনবোর্ড। বালু নদ থেকে টঙ্গী- ঘোড়াশাল মহাসড়কের পাশ দিয়ে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরত্বে নলছাটা পর্যন্ত মোটা পাইপ দিয়ে বালি নিয়ে ভরাট করা হচ্ছে। পাশেই গাজীপুর সদর উপজেলার ভূমি অফিস কর্তৃক নোটিশে লেখা রয়েছে, মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী এই এলাকায় বালু ভরাট, অবৈধ দখল এবং সাইনবোর্ড টাঙানো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হলো। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীরা জানায়, কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বেশি দামে লোভ দেখিয়ে বিলের জমি ক্রয় করার কথা বলে। বিলের অধিকাংশ জমি খ্রিষ্টান ও হিন্দুধর্মের মানুষের থাকায় সহজেই জমিগুলো ক্রয় করতে পারে। তারা জমির দাম মিটিয়ে কিছু টাকা বায়না করে। পরে আর টাকা না দিয়েই শুরু করে ভরাট। জমির মালিকেরা প্রতিবাদ করলেও তারা শোনেন না, টাকাও দেন না। কেউ প্রতিবাদ করলে প্রতিষ্ঠানের দালালি করা স্থানীয় প্রভাবশালী নেতাকর্মী হুমকি দেয়। এরা প্রায় ২০/৩০ একর জমি এলাকাবাসীর নিকট থেকে নিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে বালি ভরাট করছে।
স্থানীয় দড়িপাড়া গ্রামের গার্বিয়েল বলেন, ৪/৫ বছর আগে একটি কোম্পানি আমার ৪ বিঘা জমি ১ কোটি টাকা দাম করে। পরে আমাকে ২২ লাখ টাকা দিয়ে ভরাট করে। এখন পর্যন্ত আমাকে আর টাকা দেয়নি৷
নলছাটা গ্রামের আরেক বাসিন্দা বিপন চন্দ্র সাহা বলেন, এখানকার জমির মালিক বেশিরভাগই খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের। এভাবে জমি নিয়ে ভরাট করলে আমরা হুমকির মধ্যে পড়ে যাব। নলছাটা গ্রামের প্রকাশ চন্দ্র বলেন, আমার ১০/১২ বিঘা জমিন আছে৷ তারা বহুভাবে জমি নিতে চেয়েছিল কিন্তু পারেনি৷ আমাকে হুমকিও দিয়েছে কিন্তু বিক্রি করিনি, এতে ঝামেলায় আছি। কারণ আমার জমি এক ফসলি। কিন্তু বালি দিয়ে ভরাট করায় বর্ষার পানি বিল থেকে নামতে ২ মাস বেশি সময় লাগে। ফলে সময়মতো ফসল ফলাতে পারি না।
বাংলাদেশ রিভার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মনির হোসেন বলেন, প্রচলিত আইন অনুযায়ী ভরা মৌসুমে পানি যতদূর পর্যন্ত যাবে, তার পুরোটাই নদী বা বিলের জমি। পানি শুকিয়ে গেলে ফোরশোর ভূমি হিসেবে পূর্ববর্তী মালিক পুনরায় ওই জমির দখল পাবেন। কিন্তু সেখানে কোনোভাবেই স্থাপনা নির্মাণ বা বালি ভরাট করা যাবে না। সে হিসেবে নর্থ সাউথ হাউজিং ও তেপান্তর হাউজিং লিমিটেড আইন ভঙ্গ করছে। তিনি বলেন, কখনই উন্মুক্ত জলাধারের জমি আবাসন প্রতিষ্ঠানের নামে নামজারি হওয়ার সুযোগ নেই। এটা হয়ে থাকলে তা হবে আইনের লঙ্ঘন। এর জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তেপান্তর হাউজিং লিমিটেড ও নর্থ সাউথ হাউজিং বালি ভরাটের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোনো ছাড়পত্র নেয়নি। এ বিষয়ে গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নয়ন মিয়া বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান উন্মুক্ত জলাশয় ভরাট করতে পারে না। আইন ভঙ্গ করে বেলাই বিলে বালি ভরাট করছে বলে আমরাও অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নর্থ সাউথ হাউজিং কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক বদরুদ্দোজা রুশাদ বলেন, বেলাই বিল কোন উন্মুক্ত জলাশয় নয়। এক ফসলি নীচু জমি। এখানে ভরাট করতে কোন আইনি বাধা নেই। আমরা ইতিমধ্যে কিছু প্লট বিক্রি করেছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে এখানে কাজ করছি।
এ বিষয়ে তেপান্তর হাউজিং কোম্পানি লিমিটেড সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক মামুন আহমেদ বলেন, বেলাই বিলে আমরা কোন বালি ভরাটের সাথে যুক্ত নই। আমরা বর্তমানে সেখানে হাউজিংয়ের জন্য কিছু জমি ক্রয় করা হয়েছে। আরো জমি ক্রয় করার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে বেলাই বিলে সব ধরনের বালি ভরাটসহ সকল কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। ইতোমধ্যেই নির্দেশ অমান্য করায় ৬ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমাদের নজরদারি রয়েছে। কেউ আদেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নর্থ সাউথ হাউজিং কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপক বদরুদ্দোজা রুশাদ বলেন, বেলাই বিল কোন উন্মুক্ত জলাশয় নয়। এক ফসলি নীচু জমি। এখানে ভরাট করতে কোন আইনি বাধা নেই। আমরা ইতিমধ্যে কিছু প্লট বিক্রি করেছি। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে এখানে কাজ করছি।
এ বিষয়ে তেপান্তর হাউজিং কোম্পানি লিমিটেড সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক মামুন আহমেদ বলেন, বেলাই বিলে আমরা কোন বালি ভরাটের সাথে যুক্ত নই। আমরা বর্তমানে সেখানে হাউজিংয়ের জন্য কিছু জমি ক্রয় করা হয়েছে। আরো জমি ক্রয় করার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে গাজীপুর জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা হাইকোর্টের নির্দেশনার আলোকে বেলাই বিলে সব ধরনের বালি ভরাটসহ সকল কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। ইতোমধ্যেই নির্দেশ অমান্য করায় ৬ জনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমাদের নজরদারি রয়েছে। কেউ আদেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন: