করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি বা সমর্থকদের জন্য নির্বাচনী আচরণবিধি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রচারের জন্য সময় পাচ্ছেন ১৫ দিন। আগামী ৯ মে থেকে ২৩ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ এপ্রিল, মনোনয়ন বাছাই ৩০ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ২ থেকে ৪ মে, আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ৮ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে। ভোটগ্রহণ ২৫ মে।
আইন অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই প্রার্থীরা প্রচারে নামতে পারেন। আর প্রচার বন্ধ করতে হয় ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে। এই হিসেবে গাজীপুর সিটিতে এবার প্রার্থীরা ৯ মে থেকে ২৩ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারের সময় পাচ্ছেন। তবে গতবারের চেয়ে পাঁচদিন সময় কম পাচ্ছেন প্রার্থীরা।
২০১৮ সালে এই সিটি নির্বাচনের সময় ইসির দেওয়া তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ছিল ১২ এপ্রিল, বাছাই ১৫-১৮ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৩ এপ্রিল। ২৪ এপ্রিল ছিল প্রতীক বরাদ্দ। আর ১৫ মে ভোট। প্রতীক বরাদ্দ থেকে ভোটগ্রহণ শুরুর আগের ৩২ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রচারের সময় ছিল ২০ দিন।
তবে সে বছর আদালতের আদেশে ৬ মে ভোট স্থগিত হয়েছিল। ফলে সে সময় পর্যন্ত ১৩ দিন প্রচারের সুযোগ পেয়েছিলেন প্রার্থীরা।
চারদিন পর ১০ মে, আদালত স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে ২৭ জুনের মধ্যে নির্বাচন করতে বলেন। এরপর ১৩ মে বৈঠক করে ভোটের নতুন তারিখ ২৬ জুন ঘোষণা দেয় ইসি। এক্ষেত্রে প্রচারের সময় দেওয়া হয়ে ১৮ জুন ২৪ জুন পর্যন্ত সাতদিন। ফলে তখনও প্রার্থীরা ওই ২০ দিন সময়ই পান।
নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লাউড স্পিকারে প্রচার চালানোর বিধান আছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি ওয়ার্ডে প্রচার কাজ বা পথসভার জন্য একটি মাইক ব্যবহার করতে পারবেন প্রার্থীরা।
মেয়র পদপ্রার্থী প্রতি থানায় একের অধিক ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন না। কাউন্সিলর প্রার্থীরা ৩০ হাজার ভোটারের জন্য একটি ক্যাম্প, তবে সর্বোচ্চ তিনটি ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ক্যাম্প অফিসে টেলিভিশন, ভিসিআর, ভিসিডি ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন না। ভয়ভীতি প্রদর্শন, ধর্মীয় উপাসনালয়, সার্কিট হাউজ, সরকারি স্থাপনা ব্যবহার করে প্রচার চালানো যাবে না। প্রচারকাজে যান চলাচলে বাধাগ্রস্ত করা কিংবা কারো ব্যক্তিগত সম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকতে হবে।
পোস্টার ঝুলিয়ে প্রচার চালাতে হবে। দেওয়ালে বা কোনো স্থাপনায় সাঁটানো যাবে না। পোস্টারের সাইজ দৈর্ঘ্যে ৬০ সেন্টিমিটার ও প্রস্থে ৪৫ সেন্টিমিটার হতে হবে।
সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমপদমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। তবে এদের কেউ ভোটার হলে ভোট দিতে পারবেন।
কোনো প্রকার বিলবোর্ড বা মিছিল করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে আচরণবিধিতে। বিদ্যুৎ ব্যবহার করে কোনো প্রকার আলোকসজ্জা, সরকারি প্রচারযন্ত্র কিংবা প্রচারে সরকারি কর্মচারীকে ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতীক হিসেবে জীবন্ত কোনো প্রাণী ব্যবহার নিষিদ্ধ।
নির্বাচনী আচরণ অনুযায়ী, প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি পথসভা ও ঘরোয়া সভা ব্যতীত কোনো জনসভা বা শোভাযাত্রা করতে পারবেন না। এজন্য ২৪ ঘণ্টা পূর্বে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। এছাড়া যানবাহন সহকারে মিছিল কিংবা মশাল মিছিল বা কোনো ধরনের শোভাযাত্রা করা যাবে না।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তি হিসেবে অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা ছয়মাসের কারদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। আর দল বা দলের পক্ষে কোনো প্রতিষ্ঠান বিধিমালা লঙ্ঘন করলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড দেওয়ার বিধান আছে।
এছাড়া কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে নির্বাচনের পরেও সেই প্রার্থীর প্রার্থিতাও সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন। আইন অনুযায়ী, এইসব বিধিমালা প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য যে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন। এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এতে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ ভোট হয়েছে ২০১৮ সালের ২৬ জুন। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের ১১ মার্চ। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। কেননা, আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ করতে হবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি বা সমর্থকদের জন্য নির্বাচনী আচরণবিধি প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রচারের জন্য সময় পাচ্ছেন ১৫ দিন। আগামী ৯ মে থেকে ২৩ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ এপ্রিল, মনোনয়ন বাছাই ৩০ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ২ থেকে ৪ মে, আপিল কর্তৃপক্ষ কর্তৃক আপিল নিষ্পত্তি ৫ থেকে ৭ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারে শেষ সময় ৮ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে। ভোটগ্রহণ ২৫ মে।
আইন অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই প্রার্থীরা প্রচারে নামতে পারেন। আর প্রচার বন্ধ করতে হয় ভোটগ্রহণ শুরুর ৩২ ঘণ্টা পূর্বে। এই হিসেবে গাজীপুর সিটিতে এবার প্রার্থীরা ৯ মে থেকে ২৩ মে মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত প্রচারের সময় পাচ্ছেন। তবে গতবারের চেয়ে পাঁচদিন সময় কম পাচ্ছেন প্রার্থীরা।
২০১৮ সালে এই সিটি নির্বাচনের সময় ইসির দেওয়া তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ছিল ১২ এপ্রিল, বাছাই ১৫-১৮ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ২৩ এপ্রিল। ২৪ এপ্রিল ছিল প্রতীক বরাদ্দ। আর ১৫ মে ভোট। প্রতীক বরাদ্দ থেকে ভোটগ্রহণ শুরুর আগের ৩২ ঘণ্টা পর্যন্ত প্রচারের সময় ছিল ২০ দিন।
তবে সে বছর আদালতের আদেশে ৬ মে ভোট স্থগিত হয়েছিল। ফলে সে সময় পর্যন্ত ১৩ দিন প্রচারের সুযোগ পেয়েছিলেন প্রার্থীরা।
চারদিন পর ১০ মে, আদালত স্থগিতাদেশ তুলে নিয়ে ২৭ জুনের মধ্যে নির্বাচন করতে বলেন। এরপর ১৩ মে বৈঠক করে ভোটের নতুন তারিখ ২৬ জুন ঘোষণা দেয় ইসি। এক্ষেত্রে প্রচারের সময় দেওয়া হয়ে ১৮ জুন ২৪ জুন পর্যন্ত সাতদিন। ফলে তখনও প্রার্থীরা ওই ২০ দিন সময়ই পান।
নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী, দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লাউড স্পিকারে প্রচার চালানোর বিধান আছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি ওয়ার্ডে প্রচার কাজ বা পথসভার জন্য একটি মাইক ব্যবহার করতে পারবেন প্রার্থীরা।
মেয়র পদপ্রার্থী প্রতি থানায় একের অধিক ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন না। কাউন্সিলর প্রার্থীরা ৩০ হাজার ভোটারের জন্য একটি ক্যাম্প, তবে সর্বোচ্চ তিনটি ক্যাম্প স্থাপন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে ক্যাম্প অফিসে টেলিভিশন, ভিসিআর, ভিসিডি ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারবেন না। ভয়ভীতি প্রদর্শন, ধর্মীয় উপাসনালয়, সার্কিট হাউজ, সরকারি স্থাপনা ব্যবহার করে প্রচার চালানো যাবে না। প্রচারকাজে যান চলাচলে বাধাগ্রস্ত করা কিংবা কারো ব্যক্তিগত সম্পদের ক্ষতিসাধন থেকে বিরত থাকতে হবে।
পোস্টার ঝুলিয়ে প্রচার চালাতে হবে। দেওয়ালে বা কোনো স্থাপনায় সাঁটানো যাবে না। পোস্টারের সাইজ দৈর্ঘ্যে ৬০ সেন্টিমিটার ও প্রস্থে ৪৫ সেন্টিমিটার হতে হবে।
সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী, সংসদের স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধী দলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমপদমর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। তবে এদের কেউ ভোটার হলে ভোট দিতে পারবেন।
কোনো প্রকার বিলবোর্ড বা মিছিল করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে আচরণবিধিতে। বিদ্যুৎ ব্যবহার করে কোনো প্রকার আলোকসজ্জা, সরকারি প্রচারযন্ত্র কিংবা প্রচারে সরকারি কর্মচারীকে ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতীক হিসেবে জীবন্ত কোনো প্রাণী ব্যবহার নিষিদ্ধ।
নির্বাচনী আচরণ অনুযায়ী, প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি পথসভা ও ঘরোয়া সভা ব্যতীত কোনো জনসভা বা শোভাযাত্রা করতে পারবেন না। এজন্য ২৪ ঘণ্টা পূর্বে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। এছাড়া যানবাহন সহকারে মিছিল কিংবা মশাল মিছিল বা কোনো ধরনের শোভাযাত্রা করা যাবে না।
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের শাস্তি হিসেবে অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা ছয়মাসের কারদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ড দেওয়ার বিধান রয়েছে। আর দল বা দলের পক্ষে কোনো প্রতিষ্ঠান বিধিমালা লঙ্ঘন করলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ড দেওয়ার বিধান আছে।
এছাড়া কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হলে নির্বাচনের পরেও সেই প্রার্থীর প্রার্থিতাও সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে বাতিল করতে পারে নির্বাচন কমিশন। আইন অনুযায়ী, এইসব বিধিমালা প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে অন্য যে কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৬৩ জন। এই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এতে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনে সর্বশেষ ভোট হয়েছে ২০১৮ সালের ২৬ জুন। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের ১১ মার্চ। আর ভোটগ্রহণ করতে হবে আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। কেননা, আইন অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ করতে হবে মেয়াদ শেষ হওয়ার পূর্ববর্তী ১৮০ দিনের মধ্যে।
মন্তব্য করুন: