করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্যাতনের শিকার রুনা লায়লাকে মঙ্গলবার বিকালে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাপতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে সোমবার চীফ মেট্রোপলিটন আদালত ঢাকার বিচারক আরফাতুল রাকিব তার জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতের জামিনের কাগজপত্র কাশিমপুর কারাগারে পৌছলে কারা কর্তৃপক্ষ যাচাই করে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তাকে মুক্ত করেন। আজই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় স্বজনরা গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করেন। রুনা লায়লার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনা লায়লা গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার বাসিন্দা। তিনি ঢাকার কোতোয়ালি থানার ৭৩৫ নম্বর মামলার আসামি। ১৬ জুন থেকে তিনি কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।
গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্যাতনের শিকার রুনা লায়লাকে মঙ্গলবার বিকালে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাপতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগে সোমবার চীফ মেট্রোপলিটন আদালত ঢাকার বিচারক আরফাতুল রাকিব তার জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতের জামিনের কাগজপত্র কাশিমপুর কারাগারে পৌছলে কারা কর্তৃপক্ষ যাচাই করে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তাকে মুক্ত করেন। আজই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাকে গুরুতর আহতাবস্থায় স্বজনরা গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি করেন। রুনা লায়লার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে।
নির্যাতনের শিকার শিক্ষানবিশ আইনজীবী রুনা লায়লা গাজীপুরের কাপাসিয়া থানার বাসিন্দা। তিনি ঢাকার কোতোয়ালি থানার ৭৩৫ নম্বর মামলার আসামি। ১৬ জুন থেকে তিনি কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষানবিস আইনজীবী রুনা লায়লা। |
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারী সাংবাদিকদের কাছে নির্যাতনের বর্ণনা দেন। কারাগারে বন্দী অবস্থায় বহিষ্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নুর ওরফে পাপিয়া ও কারাগারের মেট্রন ফাতেমা তাঁকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেন বলে তিনি জানান।
রুনা লায়লা জানান, প্রথম দিন থেকেই তাকে ওই কারাগারের হাজতি বহিস্কৃত ও আলোচিত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ, চীফ কারারক্ষি শামীমা, মেট্রন (সুবেদার) ফাতেমা, মহিলা কারা রক্ষি হাফিজা, সাহিদা, পাপীয়ার সঙ্গী ও জাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী রক্সি, হাজতি আন্দনিকা, অবন্তিকা, সোনালী ও নাজমা কি ঘুসি লাথি চড়-থাপ্পর মারতে থাকেন এবং তার ব্যবহৃত কানের দুল, স্বর্ণের চুড়ি খুলে নেয়। এসময় লায়লা প্রতিবাদ করলে তারা নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয় একপর্যায়ে তারা লায়রাকে উলঙ্গ করে রড দিয়ে পেটায়। ফলে তার রক্ত বমি হয় এবং প্রশ্রাব-পায়খানা করে ফেলেন। লায়লা আরো জানান, তারা তাকে মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলে, জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর তিনি পানি পান করতে চাইলে তারা তাকে মলমুত্রসহ পানি খেতে দেয়। এমনকি পাপিয়া লায়লার যৌনাঙ্গে লাঠিয়ে দিয়ে বারবার আঘাত এবং গুরুতর অবস্থায়ও তাকে কোন প্রকার চিকিৎসা করতে দেওয় নাই।
এদিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে এক হাজতিকে নির্যাতনের অভিযোগে দুই মেট্রন বা হাবিলদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মহিলা কারাগারের মেট্রন বা হাবিলদার ফাতেমা আক্তার ও সাম্মি আক্তার। আজ মঙ্গলবার বিকেলে মহিলা কারাগারের সুপার মো. ওবায়দুর রহমান তাঁদের নোটিশ দেন।
হাজতির ভাই আবদুল করিম গত রোববার গাজীপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর ওরফে পাপিয়ার জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।
লিখিত অভিযোগে আবদুল করিম বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তিনি তাঁর বোনের সঙ্গে কারাগারে দেখা করতে গিয়েছিলেন। নাম-ঠিকানা নেওয়ার তিন ঘণ্টা পর সাক্ষাতের টিকিট কাউন্টার থেকে জানানো হয়, ‘ডিও’ নেই, দেখা করা যাবে না। জামিনে বের হয়ে আসা লোকদের কাছে বোনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তাঁরা জানান, তাঁর বোনকে পিটিয়ে মারাত্মক আহতাবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের (ভারপ্রাপ্ত) জেল সুপার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় ঢাকা থেকে ও তাঁর পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ওই বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
রুনা লায়লা জানান, প্রথম দিন থেকেই তাকে ওই কারাগারের হাজতি বহিস্কৃত ও আলোচিত যুব মহিলা লীগ নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ, চীফ কারারক্ষি শামীমা, মেট্রন (সুবেদার) ফাতেমা, মহিলা কারা রক্ষি হাফিজা, সাহিদা, পাপীয়ার সঙ্গী ও জাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী রক্সি, হাজতি আন্দনিকা, অবন্তিকা, সোনালী ও নাজমা কি ঘুসি লাথি চড়-থাপ্পর মারতে থাকেন এবং তার ব্যবহৃত কানের দুল, স্বর্ণের চুড়ি খুলে নেয়। এসময় লায়লা প্রতিবাদ করলে তারা নির্যাতনের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয় একপর্যায়ে তারা লায়রাকে উলঙ্গ করে রড দিয়ে পেটায়। ফলে তার রক্ত বমি হয় এবং প্রশ্রাব-পায়খানা করে ফেলেন। লায়লা আরো জানান, তারা তাকে মারতে মারতে অজ্ঞান করে ফেলে, জ্ঞান ফিরে পাওয়ার পর তিনি পানি পান করতে চাইলে তারা তাকে মলমুত্রসহ পানি খেতে দেয়। এমনকি পাপিয়া লায়লার যৌনাঙ্গে লাঠিয়ে দিয়ে বারবার আঘাত এবং গুরুতর অবস্থায়ও তাকে কোন প্রকার চিকিৎসা করতে দেওয় নাই।
এদিকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে এক হাজতিকে নির্যাতনের অভিযোগে দুই মেট্রন বা হাবিলদারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন মহিলা কারাগারের মেট্রন বা হাবিলদার ফাতেমা আক্তার ও সাম্মি আক্তার। আজ মঙ্গলবার বিকেলে মহিলা কারাগারের সুপার মো. ওবায়দুর রহমান তাঁদের নোটিশ দেন।
হাজতির ভাই আবদুল করিম গত রোববার গাজীপুরের জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগে যুব মহিলা লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নুর ওরফে পাপিয়ার জড়িত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।
লিখিত অভিযোগে আবদুল করিম বলেন, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় তিনি তাঁর বোনের সঙ্গে কারাগারে দেখা করতে গিয়েছিলেন। নাম-ঠিকানা নেওয়ার তিন ঘণ্টা পর সাক্ষাতের টিকিট কাউন্টার থেকে জানানো হয়, ‘ডিও’ নেই, দেখা করা যাবে না। জামিনে বের হয়ে আসা লোকদের কাছে বোনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তাঁরা জানান, তাঁর বোনকে পিটিয়ে মারাত্মক আহতাবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে।
কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের (ভারপ্রাপ্ত) জেল সুপার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় ঢাকা থেকে ও তাঁর পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এ ছাড়া জামিনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ওই বন্দীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন: