করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
ঋণের সব টাকা বুঝে পেয়েও ৯৪ বছরের বৃদ্ধ সাইজুদ্দিনকে মামলা দিয়ে ব্যাপক হয়রানি করায় ক্ষতিপূরণ বাবদ মামলার বাদী ব্র্যাক বিপিডি প্রগতি কর্মসূচিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। তিনমাসের মধ্যে বৃদ্ধ সাইজুদ্দিনকে এ টাকা দিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
রায়ের পর আইনজীবী বলেন, চেক ডিজঅনারের এক মামলায় ১০ বছর পর উচ্চ আদালত থেকে খালাস পেয়েছেন ৯৪ বছর বয়সী সাইজুদ্দিন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার বাদীপক্ষকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২১ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ সাইজুদ্দিনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. লুৎফর রহমান।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এ আইনজীবী জানান, গাজীপুর কাপাসিয়ার দেওনা এলাকার বাসিন্দা সাইজুদ্দিন (৯৪) ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি ব্র্যাক বিডিপি প্রগতি কর্মসূচি কাপাসিয়া শাখা থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নেন। সেই ঋণের কিছু কিস্তি বাকি থাকায় তার কাছ থেকে একটা ব্ল্যাঙ্ক (ফাঁকা) চেক রাখেন। পরে সেই চেক ব্যবহার করে এক লাখ ২৬ হাজার ৭১৫ টাকা চেক ডিজঅনার মামলা করা হয়।
তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি সব কিস্তির টাকা পরিশোধ করে দেন সাইজুদ্দিন। সম্পূর্ণ টাকা বুঝে পেয়ে ওই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি বাদীপক্ষ একটি প্রত্যায়নপত্র দেন। কথা ছিল তারা মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন। এরপরও তারা মামলা প্রত্যাহার করেননি। ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল গাজীপুরের যুগ্ম দায়রা জজ আদালত সাইজুদ্দিনকে এক বছর কারাদণ্ড ও চেকের দ্বিগুণ অর্থদণ্ড দেন।
‘এরপরে সাজা পরোয়ানামূলে গ্রেফতার হয়ে গাজীপুর দায়রা জজ আদালত চেকে বর্ণিত টাকার অর্ধেক টাকা জমা দিয়ে আপিল করেন। ওই আপিল বিলম্বের কারণে দায়রা জজ গ্রহণ না করায় আসামি ২০১৫ সালে হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করেন। এরপর হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। পরে শুনানি শেষে আদালত তাকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত। রায়ে বাদীপক্ষকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।’
ঋণের সব টাকা বুঝে পেয়েও ৯৪ বছরের বৃদ্ধ সাইজুদ্দিনকে মামলা দিয়ে ব্যাপক হয়রানি করায় ক্ষতিপূরণ বাবদ মামলার বাদী ব্র্যাক বিপিডি প্রগতি কর্মসূচিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট। তিনমাসের মধ্যে বৃদ্ধ সাইজুদ্দিনকে এ টাকা দিয়ে দিতে বলা হয়েছে।
রায়ের পর আইনজীবী বলেন, চেক ডিজঅনারের এক মামলায় ১০ বছর পর উচ্চ আদালত থেকে খালাস পেয়েছেন ৯৪ বছর বয়সী সাইজুদ্দিন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার বাদীপক্ষকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট।
বুধবার (২১ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আজ সাইজুদ্দিনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. লুৎফর রহমান।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এ আইনজীবী জানান, গাজীপুর কাপাসিয়ার দেওনা এলাকার বাসিন্দা সাইজুদ্দিন (৯৪) ২০১২ সালের ২৪ জানুয়ারি ব্র্যাক বিডিপি প্রগতি কর্মসূচি কাপাসিয়া শাখা থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নেন। সেই ঋণের কিছু কিস্তি বাকি থাকায় তার কাছ থেকে একটা ব্ল্যাঙ্ক (ফাঁকা) চেক রাখেন। পরে সেই চেক ব্যবহার করে এক লাখ ২৬ হাজার ৭১৫ টাকা চেক ডিজঅনার মামলা করা হয়।
তিনি আরও জানান, ২০১৪ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি সব কিস্তির টাকা পরিশোধ করে দেন সাইজুদ্দিন। সম্পূর্ণ টাকা বুঝে পেয়ে ওই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি বাদীপক্ষ একটি প্রত্যায়নপত্র দেন। কথা ছিল তারা মামলা প্রত্যাহার করে নেবেন। এরপরও তারা মামলা প্রত্যাহার করেননি। ২০১৪ সালের ২৩ এপ্রিল গাজীপুরের যুগ্ম দায়রা জজ আদালত সাইজুদ্দিনকে এক বছর কারাদণ্ড ও চেকের দ্বিগুণ অর্থদণ্ড দেন।
‘এরপরে সাজা পরোয়ানামূলে গ্রেফতার হয়ে গাজীপুর দায়রা জজ আদালত চেকে বর্ণিত টাকার অর্ধেক টাকা জমা দিয়ে আপিল করেন। ওই আপিল বিলম্বের কারণে দায়রা জজ গ্রহণ না করায় আসামি ২০১৫ সালে হাইকোর্টে রিভিশন দায়ের করেন। এরপর হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। পরে শুনানি শেষে আদালত তাকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন উচ্চ আদালত। রায়ে বাদীপক্ষকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।’
মন্তব্য করুন: