করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ১৯ মামলার আসামী কালা শাহীনসহ ৯জনকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানা পুলিশ। এসময় একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও এক রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, গাজীপুর মহানগর ও সদর থানার কাজী বাড়ি এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে রাকিবুল ইসলাম শাহিন ওরফে ব্ল্যাক শাহিন (৩৪), গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সদর মেট্রো থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: ওয়াজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে মো: মহিউদ্দিন বিপ্লব (২৬), তড়ৎপাড়া এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে মো: রাকিবুল হাসান (২২), ছোট দেওড়া এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে মো. রাকিব উদ্দিন (১৮), একই এলাকার আজিজুল হকের ছেলে মো. শাহজাহান (২৭), রহিমের ছেলে রায়হান মাহমুদ (২৭), ওলিউল্লাহর ছেলে মনির হোসেন (২৮), দক্ষিণ ছায়াবিথি এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে খাইরুল ইসলাম (২৭) এবং পূবাইল থানার তেলীনগর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে হৃদয় হোসেন (১৮)।
গাজীপুর মহানগরীর আদাবৈ এলাকায় তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসার দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হওয়ার পর শনিবার রাতে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-গুলিসহ তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রোববার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব মো. শামসুর রহমান।
এসময় সহকারী পুলিশ কমিশনার (সদর জোন) ফাহিম আসজাদ, সহকারি পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা, উত্তর) মো. আসাদুজ্জামান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার আবু তোরাব জানান, গাজীপুর মহানগরীর আদাবৈ এলাকায় শুক্রবার দুপুরে নেক্সট এক্সপোর্ট জোন লিমিটেড নামের তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা নিয়ে কারখানার সামনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াকালে অস্ত্রধারীদের গুলিতে জনৈক আতিকুর রহমানের কোমরে ও শাহাদত হোসেনের পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারা হাসপাতালে আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আহত শাহাদত হোসেনের মা করিমা বেগম বাদি হয়ে শনিবার রাতে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ছোট দেওড়া এলাকা থেকে ১৯ মামলার আসামি ব্ল্যাক শাহিনসহ ৯জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে ব্ল্যাক শাহীনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ছোট দেওড়া এলাকায় তার ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসার অফিস কক্ষের সোফার নীচ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও এক রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদি হয়ে সদর থানায় অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করেছে।
গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম জানান, গত শনিবার থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনকে আসামী করে মামরা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের রোববার আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত শাহিনের বিরুদ্ধে গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, মাদক, ধর্ষণ, খুন, ও অস্ত্রমামলাসহ ১৯টি মামলা রয়েছে।
মামলার বাদী শাহদতের মা জানান, শুক্রবার বেলা পৌণে ১২টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর আদাবৈ পেয়ারাবাগান এলাকায় হামলা ও গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আদাবৈ এলাকার বাসিন্দা ঝুট ব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৬০), আতিকুর রহমান ও ইজ্জত আলীর ছেলে শাহাদত হোসেন (৩৫) আহত হন।
এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক হাতে চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল, দেশীয় অস্ত্রসহ দৌড়ে ঝুট ব্যবসায়ী মোস্তফার বাড়িতে ইটপাটকেল ছুড়ে মারছিলেন। এ সময় হামলাকারীরা বলছিলো, তোদেরকে মেরে ফেলব। পরে বাড়ির ফটকের সামনে মোস্তফার স্ত্রী ফাতেমা ও শাহাদতকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাড়ির সামনে গুলির একটি খোসাও পড়ে থাকতে দেখা যায় ভিডিওতে।
গাজীপুরে শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ১৯ মামলার আসামী কালা শাহীনসহ ৯জনকে গ্রেফতার করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর থানা পুলিশ। এসময় একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও এক রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, গাজীপুর মহানগর ও সদর থানার কাজী বাড়ি এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে রাকিবুল ইসলাম শাহিন ওরফে ব্ল্যাক শাহিন (৩৪), গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সদর মেট্রো থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: ওয়াজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে মো: মহিউদ্দিন বিপ্লব (২৬), তড়ৎপাড়া এলাকার আক্তার হোসেনের ছেলে মো: রাকিবুল হাসান (২২), ছোট দেওড়া এলাকার হেলাল উদ্দিনের ছেলে মো. রাকিব উদ্দিন (১৮), একই এলাকার আজিজুল হকের ছেলে মো. শাহজাহান (২৭), রহিমের ছেলে রায়হান মাহমুদ (২৭), ওলিউল্লাহর ছেলে মনির হোসেন (২৮), দক্ষিণ ছায়াবিথি এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে খাইরুল ইসলাম (২৭) এবং পূবাইল থানার তেলীনগর এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে হৃদয় হোসেন (১৮)।
গাজীপুর মহানগরীর আদাবৈ এলাকায় তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসার দখল নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের হওয়ার পর শনিবার রাতে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র-গুলিসহ তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রোববার দুপুরে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সদর দপ্তরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) আবু তোরাব মো. শামসুর রহমান।
এসময় সহকারী পুলিশ কমিশনার (সদর জোন) ফাহিম আসজাদ, সহকারি পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা, উত্তর) মো. আসাদুজ্জামান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
উপ-পুলিশ কমিশনার আবু তোরাব জানান, গাজীপুর মহানগরীর আদাবৈ এলাকায় শুক্রবার দুপুরে নেক্সট এক্সপোর্ট জোন লিমিটেড নামের তৈরি পোশাক কারখানার ঝুট ব্যবসা নিয়ে কারখানার সামনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াকালে অস্ত্রধারীদের গুলিতে জনৈক আতিকুর রহমানের কোমরে ও শাহাদত হোসেনের পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। তারা হাসপাতালে আশঙ্কামুক্ত রয়েছেন। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আহত শাহাদত হোসেনের মা করিমা বেগম বাদি হয়ে শনিবার রাতে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর সদর থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ছোট দেওড়া এলাকা থেকে ১৯ মামলার আসামি ব্ল্যাক শাহিনসহ ৯জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে ব্ল্যাক শাহীনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ছোট দেওড়া এলাকায় তার ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসার অফিস কক্ষের সোফার নীচ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও এক রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি জব্দ করা হয়। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদি হয়ে সদর থানায় অস্ত্র আইনে আরো একটি মামলা দায়ের করেছে।
গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম জানান, গত শনিবার থানায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনকে আসামী করে মামরা হয়। পরে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের রোববার আদালতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত শাহিনের বিরুদ্ধে গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় ছিনতাই, মাদক, ধর্ষণ, খুন, ও অস্ত্রমামলাসহ ১৯টি মামলা রয়েছে।
মামলার বাদী শাহদতের মা জানান, শুক্রবার বেলা পৌণে ১২টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর আদাবৈ পেয়ারাবাগান এলাকায় হামলা ও গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় আদাবৈ এলাকার বাসিন্দা ঝুট ব্যবসায়ী মোস্তফা কামালের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৬০), আতিকুর রহমান ও ইজ্জত আলীর ছেলে শাহাদত হোসেন (৩৫) আহত হন।
এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক হাতে চাপাতি, চায়নিজ কুড়াল, দেশীয় অস্ত্রসহ দৌড়ে ঝুট ব্যবসায়ী মোস্তফার বাড়িতে ইটপাটকেল ছুড়ে মারছিলেন। এ সময় হামলাকারীরা বলছিলো, তোদেরকে মেরে ফেলব। পরে বাড়ির ফটকের সামনে মোস্তফার স্ত্রী ফাতেমা ও শাহাদতকে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। বাড়ির সামনে গুলির একটি খোসাও পড়ে থাকতে দেখা যায় ভিডিওতে।
মন্তব্য করুন: