করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুর বোর্ডবাজার এলাকায় গত শনিবার রাতে অস্ত্রসহ মহড়া দিতে গিয়ে মালিকপক্ষ হামলার শিকার হয়েছেন। উভয় পক্ষের মারামারিতে এ সময় কমপক্ষে চারজন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শ্রম আইন বাস্তবায়ন নিয়ে বোর্ড বাজার এলাকার ন্যাশনাল কেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড এর মালিকপক্ষের সাথে কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের বেশ কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছিল।
এ নিয়ে গত আগস্ট মাসে সরকার, মালিকপক্ষ এবং শ্রমিকপক্ষ এক লিখিত চুক্তিতে আবদ্ধ হয়। কিন্তু মালিকপক্ষ এরপরও চুক্তি মোতাবেক কাজ করছিলেন না। শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে কারখানার মালিক এম. এন. এইচ.বুলুসহ আট-নয় জন কারখানায় অস্ত্রসহ মহড়া দিতে গেলে তারা শ্রমিক গণপিটুনির শিকার হন।
রবিবার (২ অক্টোবর) সরজমিনে গেলে ওই কারখানার শ্রমিকরা জানায়, কারখানার শ্রমিক মনু জানায়, রাত সোয়া আটটার দিকে আমরা কয়েকজন বসে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলাম। হঠাৎ করেই কয়েকটি গাড়ি আমদের গা ঘেঁষে কারখানার ভেতরে ঢুকে যায়। পরে গাড়ির ভিতর থেকে কারখানার মালিক বুলুসহ আরো কয়েকজন (অস্ত্রসহ) বাইরে এসে আমাদেরকে কারখানা থেকে বেরিয়ে যেতে বলে। আমরা কারণ জানতে চাইলে মালিক বুলু আমার শরীরে অস্ত্র তাক করে বলে কথা বললে প্রাণে মেরে ফেলব বলে হুমকি দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে। এতে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পরে। অস্ত্র নিয়ে মালিক পক্ষের মহড়া এবং হুমকীসহ মারধরের সংবাদ বাইরে ছড়িয়ে পড়লে বাইরে থাকা শ্রমিকরা সংগঠিত হয়ে মালিক পক্ষের উপর হামলা করে এবং গণপিটুনি দিলে মালিক পক্ষ পালিয়ে যায়। মারপিটে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৪ জন আহত হয়। পরে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
মনু আরো জানায়, শ্রম আইন বাস্তবায়নে গত আগষ্ট মাসে সরকার, মালিক ও শ্রমিক পক্ষের সাথে ছয়দফা চুক্তি স্বাক্ষর করে। ওই সমঝোতা চুক্তি লংঘন করে গতরাতে শ্রমিকদের অস্ত্র ঠেকিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে কারখানা থেকে বের করে দিয়ে কারখানা বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয়াই ছিল মুলত মালিক পক্ষের উদ্দেশ্য।
এ ব্যাপারে কারখানার শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলী বলেন, সরকার ও কারখানার মালিক পক্ষের সাথে গত আগষ্ট মাসে ছয়দফা দাবীর প্রেক্ষিতে একটি এিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এ ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য গতকাল মালিকপক্ষ কারখানার সকল শ্রমিকদের বিকাল চারটায় থাকতে বলে। কিন্তু মালিকপক্ষ আসে নাই। এরপর কারখানায় কর্মরত ১০জন শ্রমিক রেখে আমরা সকলেই যার যার বাড়িতে চলে আসি। এর পরে রাতে দুটি গাড়িতে করে মালিকসহ কয়েকজন কারখানার ভিতর প্রবেশ করে এবং জেনারটর অপারেটরসহ কারখানায় থাকা শ্রমিকদের মারধর করে বাইরে বের করে দেয়। এতে আমাদের দুইজন শ্রমিক গুরুতর আহত হয়। এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের গাছা থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কারখানা মালিক এম. এন এইচ.বুলু বলেন, আমি আমার অফিসের ম্যানেজার এবং বডিগার্ডসহ আরও কয়েকজন কারখানায় আসি। এরপর পঞ্চাশ জন লোক আমাদের উপর হামলা করে। আমি কোন মত চলে আসতে পারলেও আমার কয়েকজন কমচারী মারাত্মকভাবে আহত হয়, পরবর্তীতে তাদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অস্ত্র প্রদশনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নিজের লাইসেন্স করা অস্ত্র আছে। আমি সেটি সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলাম।
এ ব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের গাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইব্রাহিম হোসেন বলেন, উক্ত ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে, তদন্তের পরে সত্য জানা যাবে।
সর্বাধিক পঠিত$type=one$s=0$rm=0$show=home
সর্বশেষ আপডেট$type=blogging$l=0$c=12$m=0$s=hide$rm=0$va=0$hide=home
- অভিবাসন
- অর্থ ও বাণিজ্য
- আইন ও অপরাধ
- আন্তর্জাতিক
- আবহাওয়া
- ইটালি
- ইতালি
- এভিয়েশন
- কক্সবাজার
- কলকাতা
- কুড়িগ্রাম
- কুমিল্লা
- কুয়েত
- কৃষি
- ক্যালিফোর্নিয়া
- খাগড়াছড়ি
- খাদ্য
- খেলা
- গণমাধ্যম
- গাজীপুর
- গোপালগঞ্জ
- জাতীয়
- জাপান
- জীবনধারা
- ঢাকা
- ঢাবি
- দরকারি তথ্য
- দিনাজপুর
- নরসিংদী
- নিউইয়র্ক
- নিউজিল্যান্ড
- পরিবহণ
- পরিবেশ
- পোশাক শিল্প
- প্রযুক্তি
- ফিনল্যান্ড
- ফেনী
- বাংলাদেশ
- বিচিত্র
- বিজ্ঞান
- বিনোদন
- বিশেষ প্রতিবেদন
- ব্যাংকিং
- ভারত
- ভেনেজুয়েলা
- ভ্রমণ
- মতামত
- মানিকগঞ্জ
- মালয়েশিয়া
- মিয়ানমার
- যুক্তরাজ্য
- যুক্তরাষ্ট্র
- যোগযোগ
- রাজনীতি
- লক্ষ্মীপুর
- লিবিয়া
- শিক্ষা
- শ্রীলঙ্কা
- সংযুক্ত আরব আমিরাত
- সারাদেশ
- সিরাজগঞ্জ
- সৌদি আরব
- স্পেন
- স্বাস্থ্য
মন্তব্য করুন: