জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী সোমবার লবনদহ খাল পরিদর্শন করেন। |
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
নদী ও খাল-বিল দখল এবং দূষণকারীদের শুধু আর্থিক জরিমানা নয়, তাদের জেলে ভরে শাস্তি দিতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সংলগ্ন লবনদহ খালে বর্জ্য ফেলার স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, এ লবনদহ এক সময় সাগর ছিল। পরে নদী, এখন তো খালে রূপ নিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে হয়তো ড্রেনে রূপান্তর নেবে। দখল ও দূষণের কারণে এ লবনদহ এখন গাজীপুরের ক্যান্সার। এ থেকে রক্ষা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর ভূমিকা নিতে হবে। এ খাল দখল ও দূষণকারীদের মামলা দিয়ে জেলে পাঠাতে হবে।
শিল্প কারখানাগুলোকেও সতর্ক করে তিনি বলেন, গাজীপুরে শিল্পকারখানার নিদারুণ অবহেলা দূষণ বাড়িয়েছে। এখন স্থানীয় মানুষ এর খেসারত দিলেও একসময় পুরো দেশের মানুষকে ভোগ করতে হবে। তবে এসব কারখানাগুলো দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। তাই আমরা এখন বলবো না শিল্পকারখানা বন্ধ করে দেন, ম্যানেজমেন্ট পরিবর্তন করে দেন। কোনো কারখানার বিরুদ্ধে যদি দূষণের অভিযোগ পাওয়া যায় তাদের ম্যানেজমেন্টকেও জেলে ভরতে হবে। শিল্পকারখানাগুলোকে শুধু আর্থিক জরিমানা করেই ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
শ্রীপুর পৌর কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে মনজুর আহমেদ বলেন, দুই মাস সময় দেওয়া হলো এ সময়ের মধ্যে যদি লবনদহ খালের ওপর ময়লা ফেলা বন্ধ না হয় তাহলে পৌর মেয়রকেও আইনের আওতায় আনা হবে। তাকেও জেলে যেতে হবে।
সম্প্রতি এক মেয়রকে ছয় মাসের জেল দেওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, যত প্রভাবশালীই হোক না কেন কেউ ছাড় পাবে না।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নয়ন ভূঁইয়া, শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভূমি রেহেনা আক্তারসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
মন্তব্য করুন: