![[feature]](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEi7Jb7i_9TF2uxlYY1_WFD6FezuGJ3A1IjV0NKhzYAu4e0UA5-n3hq-OiNuASYeCFjaJ5qN5t3K72sqHH0vCzVvXi14Axn4VFlLxPJChy4S6Hl5H-AUqL3IwCG0CXmaBD-1WFYRbJGPRA_hdRVnk7hjE1F5cAm-v9xULZ9JXvnZGVcWTGLbX4MnRaD2/s16000-rw/gazipur.webp)
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
তৈলজাতীয় ফসলের চাষ বাড়ানো গেলে মাত্র তিনবছরেই ভোজ্যতেলের আমদানি ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ব্রি) মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) গাজীপুরে ব্রির প্রশিক্ষণ কমপ্লেক্সের সভাকক্ষে আয়োজিত শস্য বিন্যাস উন্নয়ন ও ফসলের জাত নির্বাচন পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
ব্রি মহাপরিচালক বলেন, ধান আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য। তাই ধাননির্ভর খাদ্যনিরাপত্তার কোনো ব্যতয় ঘটানো যাবে না। সেটি নিশ্চিত রেখে অন্যান্য ক্যাশ ফসল উৎপাদন করার জন্য আমরা ব্রি ও বারি যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। আশা করি, এই পদক্ষেপের ফলে উফশী ধানের শস্য বিন্যাসে সরিষা, পেঁয়াজসহ অন্যান্য দামি ফসলের আবাদ অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
বর্তমানে দেশের ৮৮ শতাংশ তেলের চাহিদা আমদানিনির্ভর উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই যৌথ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা গেলে আগামী তিনবছরেই তেলের আমদানি ৪০ শতাংশ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
ব্রির পরিচালক (গবষেণা) ড. মো. খালেকুজ্জামানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবষেণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্রির রাইস ফার্মিং সিস্টেম বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইব্রাহিম এবং সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, বারির মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাজহারুল আনোয়ার।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন শেষে উভয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীদের সমন্বয়ে দেশের ১৪টি অঞ্চলের শস্য বিন্যাসে আরও কী কী ফসল অন্তর্ভুক্ত করা যায় সে বিষয়ে সাতটি দলগত কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়।
কর্মশালায় বারির মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় ও সরকারের নির্দেশনা হচ্ছে- ধান যেহেতু আমাদের প্রধান খাদ্যশস্য সেহেতু ধানের উৎপাদন অক্ষুণ্ণ রেখে অন্যান্য দামি ফসল যেমন- তৈলবীজ, ফলমূল ও শাকসবজি চাষ বাড়াতে হবে যাতে চালের পাশাপাশি অন্য ফসলেও আমরা স্বনির্ভর হতে পারি। কেননা করোনাকালে আমরা দেখেছি অনেক দেশ খাদ্য আমদানিতে হিমশিম খেয়েছে। টাকা থাকা সত্ত্বেও অনেকসময় আমদানি করা যায় না। তাই আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে প্রয়োজনীয় সব ফসলে আমাদের স্বনির্ভর হতে হবে। আমরা সে লক্ষ্যে ব্রি-বারি এই যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।
কর্মশালায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, আঞ্চলিক কার্যালয়ের বিজ্ঞানী এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের সরেজমিন গবেষণা বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা অংশ নেন।
মন্তব্য করুন: