কাসান্দ্রা জোন্স |
ডেইলি নিউজ ডেস্ক
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৯ সালের মে মাসে জনস্বাস্থ্যের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন কাসান্দ্রা জোন্স। এরপর ৫ মাসের মধ্যেও তিনি চাকরি জোটাতে পারেননি। কিন্তু পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য নেওয়া ঋণের বিশাল বোঝা চেপেছিল তার ঘাড়ে। পাশাপাশি বাসা ভাড়া ও খাবার কেনার মতো পর্যাপ্ত অর্থও ছিল না হাতে। তাই বাধ্য হয়েই ডিম্বানু বিক্রি করতে বাধ্য হন কাসান্দ্রা।
ডিম্বানু বিক্রির সেই সেটিই প্রথম ঘটনা নয়। এর আগেও তিনি বাধ্য হয়ে ডিম্বানু বিক্রি করেছিলেন। ২০১৭ সালে তিনি ডিম্বানু বিক্রি করা শুরু করেন। যাতে নিউ ইয়র্ক শহরে থাকার মতো অর্থ জোগাড় করতে পারেন।
কাসান্দ্রা বার্ষিক স্কলারশিপ হিসেবে সাড়ে ১২ হাজার ডলার পেতেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে ঋণ পেয়েছেন ১ লাখ ৩১ হাজার ডলার। কিন্তু তা যথেষ্ট ছিল না। নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয় ক্লিনিকে ৫ বার ডিম্বানু বিক্রি করেছেন, আয় করেছেন ৫০ হাজার ডলার।
বর্তমানে ২৮ বছরের কাসান্দ্রা জনস্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচিতে ফ্রিল্যান্স ভিত্তিতে কাজ করছেন। মাসে আয় দেড় হাজার ডলার। কিন্তু এ দিয়ে তার জীবনযাপনের ব্যয় মেটানো কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে নতুন চাকরির চেষ্টা করছেন কাসান্দ্রা। মাঝে মাঝেই তার মনে হয়, ‘তিনি ফাঁদে পড়ে গেছেন।’
তবে কাসান্দ্রাই শেষ নন, নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গিয়ে অনেকেই ঋণের ফাঁদে পড়ছেন। কিন্তু এমন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি নিয়েও তারা মানসম্পন্ন চাকরি জোটাতে পারছেন না। কিন্তু শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারকে পড়তে হচ্ছে হতাশায়।
সূত্র : ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল
মন্তব্য করুন: