ছবি: সংগৃহীত |
করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট, ২০২৪ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সারাদেশে বিভিন্ন থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালানো হয়। এরই মধ্যে থানাগুলোতে হামলার পর অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা।
পুলিশ সদর দপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন ও পরদিন (৫ ও ৬ আগস্ট) দেশের বিভিন্ন থানা থেকে ১১ ধরনের মোট ৫ হাজার ৮২৯টি অস্ত্র লুট হয়। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬৩টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ২৫ আগস্ট, ২০২৪ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বেসামরিক জনগণকে দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময় পর্যন্ত যাঁদের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, তাঁদের ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ এর মধ্যে গোলাবারুদসহ আগ্নেয়াস্ত্র–সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে বলা হয়। এর দুদিন পর ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্র ও গোলাবারুদও ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় পুলিশ সদর দপ্তর।
লুটকৃত অস্ত্র-গোলাবারুদ ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গত ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দেশব্যাপী সশস্ত্র বাহিনী (সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী), পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আনসারের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান শুরু করা হয়।
এখন পর্যন্ত এ অভিযানে বিভিন্ন প্রকারের ৫৩টি অস্ত্র উদ্ধারসহ ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ২টি রিভলভার, ১৮টি পিস্তল, ২টি রাইফেল, ১১টি শটগান, ১টি পাইপগান, ৬টি শুটার গান, ৩টি এলজি, ৩টি বন্দুক, ১টি একে ৪৭, ১টি গ্যাসগান, ১টি চাইনিজ রাইফেল, ১টি এয়ারগান ও ৩টি এসবিবিএল।
মন্তব্য করুন: