স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে নতুন করে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার ত্রুটিগুলোর সমাধানে এই সংস্কার কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন। বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটি নানা প্রস্তাব নিয়ে কাজ শুরু করেছে, যার প্রভাব আগামী নির্বাচনগুলোতে স্পষ্ট হতে পারে।
কমিটি চূড়ান্ত হওয়ার আগেই বদিউল আলম মজুমদার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা শুরু করেছেন। অক্টোবরের প্রথম দিকেই আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে কমিশন, আর ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের প্রথম প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পুনর্বিবেচনা ও আরপিও আইন সংস্কার করা জরুরি। এছাড়াও, নির্বাচনের পরের বিরোধগুলো দ্রুত সমাধানের বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশ্লেষক ড. আব্দুল আলীমের মতে, পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সংস্কার না আনলে ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা কঠিন।
ভোটিং পদ্ধতি আধুনিকীকরণ, বিশেষ করে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এর কিছু সাফল্য রয়েছে। তবে জাতীয় নির্বাচনে এর ব্যবহার নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
প্রথমবার সার্চ কমিটি করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলেও এটি কতটা কার্যকর হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। তাই নতুন কমিশন গঠনের সময় এই পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে চলমান আলোচনা ও সংস্কার প্রচেষ্টা দেশে ভবিষ্যতের নির্বাচনগুলোতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কমিটির সুপারিশগুলো সময়মতো বাস্তবায়ন করতে পারলে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়বে। তবে এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সময়মতো ফলাফল আসবে কিনা, তা এখনো একটি প্রশ্ন হিসেবে রয়ে গেছে।
দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে নতুন করে আলাপ-আলোচনা শুরু হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্যোগে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার ত্রুটিগুলোর সমাধানে এই সংস্কার কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন। বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটি নানা প্রস্তাব নিয়ে কাজ শুরু করেছে, যার প্রভাব আগামী নির্বাচনগুলোতে স্পষ্ট হতে পারে।
যেভাবে কাজ শুরু করবে কমিশন
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ১১ই সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণে ছয়টি সংস্কার কমিশন ঘোষণা করেন, যার মধ্যে নির্বাচন কমিশন সংস্কার অন্যতম। সুজনের সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারকে এই কমিটির প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সদস্য সংখ্যা চূড়ান্ত না হলেও অনুমান করা হচ্ছে আট থেকে দশজনের একটি কমিটি হবে।কমিটি চূড়ান্ত হওয়ার আগেই বদিউল আলম মজুমদার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা শুরু করেছেন। অক্টোবরের প্রথম দিকেই আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে কমিশন, আর ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের প্রথম প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
নির্বাচন ব্যবস্থায় কী কী সংস্কার?
বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষত ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের পর নির্বাচনগুলোতে অনিয়মের অভিযোগ বাড়তে থাকে। নির্বাচনী আইন, আসন সীমানা পুনর্নির্ধারণ এবং নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিয়েও বিস্তর আলোচনা হচ্ছে।বিশ্লেষকরা মনে করেন, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পুনর্বিবেচনা ও আরপিও আইন সংস্কার করা জরুরি। এছাড়াও, নির্বাচনের পরের বিরোধগুলো দ্রুত সমাধানের বিষয়টিও গুরুত্ব পাচ্ছে। বিশ্লেষক ড. আব্দুল আলীমের মতে, পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সংস্কার না আনলে ভোটের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করা কঠিন।
‘না’ ভোট ও ভোটিং পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন
‘না’ ভোটের বিলুপ্তি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে ‘না’ ভোট ছিল, যা পরে বাতিল করা হয়। এই পদ্ধতি পুনর্বিবেচনা করে ভোটারের মতামত প্রকাশের সুযোগ দেয়া যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।ভোটিং পদ্ধতি আধুনিকীকরণ, বিশেষ করে ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক থাকলেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে এর কিছু সাফল্য রয়েছে। তবে জাতীয় নির্বাচনে এর ব্যবহার নিয়ে সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন গঠন হবে কীভাবে?
দেশের নির্বাচন কমিশন গঠনের পদ্ধতি নিয়ে সমালোচনা দীর্ঘদিনের। বিশেষত সরকারি আমলা, বিচারক বা সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়োগকে বিতর্কিত হিসেবে দেখছেন অনেকেই।প্রথমবার সার্চ কমিটি করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলেও এটি কতটা কার্যকর হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। তাই নতুন কমিশন গঠনের সময় এই পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে চলমান আলোচনা ও সংস্কার প্রচেষ্টা দেশে ভবিষ্যতের নির্বাচনগুলোতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কমিটির সুপারিশগুলো সময়মতো বাস্তবায়ন করতে পারলে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের সম্ভাবনা অনেকটাই বাড়বে। তবে এই বিশাল কর্মযজ্ঞে সময়মতো ফলাফল আসবে কিনা, তা এখনো একটি প্রশ্ন হিসেবে রয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন: