করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী, কোনাবাড়ি বিসিক ও কালিয়াকৈর এলাকার কয়েকটি শিল্প-কারখানায় বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় প্রায় অর্ধশত কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) বেশ কিছু দাবি নিয়ে একদল শ্রমিক ও বিভিন্ন সময়ে চাকরিচ্যুত শ্রমিকেরা আন্দোলন করেন। এ সময় ভাঙচুর চালানো হয় কয়েকটি কারখানায়।
পুলিশ, শ্রমিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চাকরিচ্যুত কয়েকশ শ্রমিক কয়েক ধাপে ১১টি পোশাক কারখানার ফটকে অবস্থান নেন। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিতে আহ্বান জানান তারা।
এ সময় কর্মরত শ্রমিকেরা তাদের ডাকে সাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানালে চাকরিচ্যুত শ্রমিকেরা ওই ১১টি কারখানায় ভাঙচুর চালান। কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
পরে ভাঙচুর এড়াতে ওই কারখানাগুলোতে ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এ সময় আন্দোলনকারী অন্তত দুজন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া গাজীপুর–চন্দনা চৌরাস্তা ও ভোগরা বাইপাস এলাকার পুরুষ পোশাক শ্রমিকেরা তাদের দাবি জানিয়ে ঢাকা–টাঙ্গাইল এবং ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
ছুটি ঘোষণা করা কারখানাগুলো হচ্ছে টঙ্গীর বিসিক এলাকার টসি নিট ফ্যাব্রিক্স লিমিটেড, ন্যাশনাল কম্পোজিট লিমিটেড, প্যাট্রিয়ট ইকো অ্যাপারেল লিমিটেড, বেলিসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড, জিন্স অ্যান্ড পোলো লিমিটেড, টেঙ্গন গার্মেন্টস লিমিটেড, রেডিসন গার্মেন্টস লিমিটেড, সুমি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আরবিএস গার্মেন্টস লিমিটেড, গার্ডেন টেক্সটাইল লিমিটেড ও তাজকিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেড।
চাকরিচ্যুত শ্রমিক মো. রমজান হোসেন বলেন, কারখানাগুলোতে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। বিভিন্ন কারখানার চাকরিতে থাকা শ্রমিকদের আমাদের আন্দোলনের যোগ দেওয়ার আহবান জানালেও আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়নি। আমরা সড়কে বসে অবস্থান করছি।'
'দাবি না মেনে নিলে কোনো গার্মেন্টসে শ্রমিকদের ঢুকতে দেওয়া হবে না,' হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন তিনি।
তাজকিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (মানবসম্পদ) হেমায়েত উদ্দিন বলেন, সকালে বহিরাগতরা কারখানার সামনে জড়ো হয়ে কারখানার প্রধান ফটকে ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর ও ক্ষতি এড়াতে কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছি।'
অন্যদিকে কোনাবাড়ির বিসিক শিল্প এলাকায় নিটিং ফ্যাক্টরির শ্রমিকেরা বেশ কিছু দাবি নিয়ে বিসিক চার রাস্তার মোড়ে কাজে যোগ না দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৪০০–৫০০ জন শ্রমিক বিসিকের ভেতরে রাস্তায় মাইক নিয়ে মিছিল করে। পরে ১৫টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়।
ছুটি হওয়া কারখানাগুলো হলো ফ্যাশন সমিট, রেজাউল অ্যাপারেলস, আই আর, কাদের স্পিনিং, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, ওয়াই কে নিটওয়্যার, লাইফটেক্স, বে রাবার, কানিজ ফ্যাশন, সোয়ান সোয়েটার, ডাইসিন কেমিক্যালস, ভাজন অ্যাপারেলস, পিবিএল নিট কম্পোজিট, বনিকা ফ্যাশন, আর আর সোয়েটার ইত্যাদি।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ জানান, বেশকিছু দাবি নিয়ে শ্রমিকেরা আন্দোলন করেছেন। 'অনেক দাবি অযৌক্তিক। বেশ কিছু কারখানায় ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। পরে কিছু কারখানায় ছুটি দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।'
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ও দর্জি ফেডারেশনের গাজীপুর জোলার সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, কোনাবাড়ি বিসিকের সব কারখানা আজ ছুটি দেওয়া হয়েছে।
'গার্মেন্ট কর্মীদের সঙ্গে তৃতীয় কোনো পক্ষ জড়িয়ে গেছে। গতকাল তাদের ১৩ দাবি ছিল, সবার সামনে মালিকপক্ষ ১০টি দাবি মেনে নিয়েছিল। শ্রমিকেরাও সন্তুষ্ট ছিলেন। তাহলে আজ কাদের ইন্ধনে এ আন্দোলন?' বলেন তিনি।
গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী, কোনাবাড়ি বিসিক ও কালিয়াকৈর এলাকার কয়েকটি শিল্প-কারখানায় বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ ও ভাঙচুরের ঘটনায় প্রায় অর্ধশত কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) বেশ কিছু দাবি নিয়ে একদল শ্রমিক ও বিভিন্ন সময়ে চাকরিচ্যুত শ্রমিকেরা আন্দোলন করেন। এ সময় ভাঙচুর চালানো হয় কয়েকটি কারখানায়।
পুলিশ, শ্রমিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চাকরিচ্যুত কয়েকশ শ্রমিক কয়েক ধাপে ১১টি পোশাক কারখানার ফটকে অবস্থান নেন। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিতে আহ্বান জানান তারা।
এ সময় কর্মরত শ্রমিকেরা তাদের ডাকে সাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানালে চাকরিচ্যুত শ্রমিকেরা ওই ১১টি কারখানায় ভাঙচুর চালান। কয়েকটি কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে।
পরে ভাঙচুর এড়াতে ওই কারখানাগুলোতে ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এ সময় আন্দোলনকারী অন্তত দুজন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
এছাড়া গাজীপুর–চন্দনা চৌরাস্তা ও ভোগরা বাইপাস এলাকার পুরুষ পোশাক শ্রমিকেরা তাদের দাবি জানিয়ে ঢাকা–টাঙ্গাইল এবং ঢাকা–ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
ছুটি ঘোষণা করা কারখানাগুলো হচ্ছে টঙ্গীর বিসিক এলাকার টসি নিট ফ্যাব্রিক্স লিমিটেড, ন্যাশনাল কম্পোজিট লিমিটেড, প্যাট্রিয়ট ইকো অ্যাপারেল লিমিটেড, বেলিসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড, জিন্স অ্যান্ড পোলো লিমিটেড, টেঙ্গন গার্মেন্টস লিমিটেড, রেডিসন গার্মেন্টস লিমিটেড, সুমি অ্যাপারেলস লিমিটেড, আরবিএস গার্মেন্টস লিমিটেড, গার্ডেন টেক্সটাইল লিমিটেড ও তাজকিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেড।
চাকরিচ্যুত শ্রমিক মো. রমজান হোসেন বলেন, কারখানাগুলোতে চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। বিভিন্ন কারখানার চাকরিতে থাকা শ্রমিকদের আমাদের আন্দোলনের যোগ দেওয়ার আহবান জানালেও আমাদের সঙ্গে যোগ দেয়নি। আমরা সড়কে বসে অবস্থান করছি।'
'দাবি না মেনে নিলে কোনো গার্মেন্টসে শ্রমিকদের ঢুকতে দেওয়া হবে না,' হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন তিনি।
তাজকিয়া অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (মানবসম্পদ) হেমায়েত উদ্দিন বলেন, সকালে বহিরাগতরা কারখানার সামনে জড়ো হয়ে কারখানার প্রধান ফটকে ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর ও ক্ষতি এড়াতে কারখানা ছুটি ঘোষণা করেছি।'
অন্যদিকে কোনাবাড়ির বিসিক শিল্প এলাকায় নিটিং ফ্যাক্টরির শ্রমিকেরা বেশ কিছু দাবি নিয়ে বিসিক চার রাস্তার মোড়ে কাজে যোগ না দিয়ে আন্দোলন শুরু করেন। এ সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ৪০০–৫০০ জন শ্রমিক বিসিকের ভেতরে রাস্তায় মাইক নিয়ে মিছিল করে। পরে ১৫টি কারখানা ছুটি ঘোষণা করা হয়।
ছুটি হওয়া কারখানাগুলো হলো ফ্যাশন সমিট, রেজাউল অ্যাপারেলস, আই আর, কাদের স্পিনিং, তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল, ওয়াই কে নিটওয়্যার, লাইফটেক্স, বে রাবার, কানিজ ফ্যাশন, সোয়ান সোয়েটার, ডাইসিন কেমিক্যালস, ভাজন অ্যাপারেলস, পিবিএল নিট কম্পোজিট, বনিকা ফ্যাশন, আর আর সোয়েটার ইত্যাদি।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান আহম্মেদ জানান, বেশকিছু দাবি নিয়ে শ্রমিকেরা আন্দোলন করেছেন। 'অনেক দাবি অযৌক্তিক। বেশ কিছু কারখানায় ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। পরে কিছু কারখানায় ছুটি দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ।'
বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ও দর্জি ফেডারেশনের গাজীপুর জোলার সভাপতি মোশারফ হোসেন বলেন, কোনাবাড়ি বিসিকের সব কারখানা আজ ছুটি দেওয়া হয়েছে।
'গার্মেন্ট কর্মীদের সঙ্গে তৃতীয় কোনো পক্ষ জড়িয়ে গেছে। গতকাল তাদের ১৩ দাবি ছিল, সবার সামনে মালিকপক্ষ ১০টি দাবি মেনে নিয়েছিল। শ্রমিকেরাও সন্তুষ্ট ছিলেন। তাহলে আজ কাদের ইন্ধনে এ আন্দোলন?' বলেন তিনি।
মন্তব্য করুন: