করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুরে বিউটিশিয়ান রুবিনা খাতুন হত্যায় জড়িত অভিযোগে তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পাবনা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন গাজীপুরের র্যাব-১ এর স্পেশালাইজড কোম্পানি কমান্ডার মেজর এ এস এম মাঈদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মিঠুন চন্দ্র ঘোষ ওরফে মৃদুল হাসান (২৭)। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের খুদেবরমী এলাকার বাসিন্দা।
নিহত রুবিনা মহানগরীর আদাবই এলাকার আব্দুস সালামের মেয়ে। তিনি প্রায় তিন বছর ধরে ‘রাজকন্যা বিউটি পার্লার’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলেন।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে মেজর মাঈদুল ইসলাম জানান, গত ৪ জুন রাতে আদাবই এলাকার রাজকন্যা বিউটি পার্লারের পেছনের রুমে হাত-পা ও মুখ বাঁধা এবং কাঁথা দিয়ে মুখ পেঁচানো ও মেঝেতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় রুবিনার মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকে রুবিনার স্বামী পলাতক ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব সদস্যরা তাকে মঙ্গলবার রাতে পাবনা সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিঠুন চন্দ্র হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে কোম্পানি কমান্ডার বলেন, প্রায় ১ বছর ২ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের মাধ্যমে রুবিনা ও মিঠুনের পরিচয়। পরে তারা বিয়ে করেন। শুরুর দিকে সম্পর্ক ভালো থাকলেও পরবর্তীতে দাম্পত্য কলহ এবং একে অন্যকে পরকীয়ার সন্দেহ করায় সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
“মিঠুন চন্দ্র ঘোষ বিভিন্ন সময় রুবিনা আক্তারকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। এ বিষয়ে ভিকটিম রুবিনা আক্তার থানায় লিখিত অভিযোগ জানালে মিঠুন তাকে ছেড়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন।”
এক পর্যায়ে রুবিনা মিঠুনকে ভরণ-পোষণ ও দেনমোহরের টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মিঠুন বলেছেন, “ভরণ-পোষণ চাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি স্ত্রী রুবিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী গত ৪ জুন বিকালে সুমা রানী ঘোষের (৩২) এর মাধ্যমে রাজকন্যা বিউটি পার্লারে প্রবেশ করেন এবং আরেক সহযোগী রাকিবকে (২৮) পার্লারের বাইরে পাহারায় বসিয়ে রাখেন।”
সেখানে প্রবেশের পর সুমা রানীর সহায়তায় রুবিনাকে হত্যা করে তার ব্যবহৃত স্মার্ট ফোন, স্বর্ণের কানের দুল নিয়ে পালিয়ে যান মিঠুন।
এ ঘটনায় রুবিনার মা আছিয়া বেগম বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় অভিযান চালিয়ে পাবনা সদর থানার দিলালপুর নারিকেল বাগান এলাকার মৃত বাবলুর বাসায় আত্মগোপনে থাকা মিঠুন চন্দ্র ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় র্যাব।
এ সময় রুবিনার দুটি টাচ ফোনও জব্দ করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার গাজীপুর সদর থানা পুলিশ মৃদুলের সহযোগী আদাবই এলাকার রফিকুল ইসলাম এবং সদর উপজেলার খুদে বরমী এলাকার সুমা রানী ঘোষকে গ্রেপ্তার করে। এ দুজনও হত্যায় জড়িত থাকার কথা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি মো. জিয়াউল ইসলাম।
গাজীপুরে বিউটিশিয়ান রুবিনা খাতুন হত্যায় জড়িত অভিযোগে তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পাবনা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন গাজীপুরের র্যাব-১ এর স্পেশালাইজড কোম্পানি কমান্ডার মেজর এ এস এম মাঈদুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মিঠুন চন্দ্র ঘোষ ওরফে মৃদুল হাসান (২৭)। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার বাড়িয়া ইউনিয়নের খুদেবরমী এলাকার বাসিন্দা।
নিহত রুবিনা মহানগরীর আদাবই এলাকার আব্দুস সালামের মেয়ে। তিনি প্রায় তিন বছর ধরে ‘রাজকন্যা বিউটি পার্লার’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছিলেন।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে মেজর মাঈদুল ইসলাম জানান, গত ৪ জুন রাতে আদাবই এলাকার রাজকন্যা বিউটি পার্লারের পেছনের রুমে হাত-পা ও মুখ বাঁধা এবং কাঁথা দিয়ে মুখ পেঁচানো ও মেঝেতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় রুবিনার মরদেহ উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ। ঘটনার পর থেকে রুবিনার স্বামী পলাতক ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব সদস্যরা তাকে মঙ্গলবার রাতে পাবনা সদর থানা থেকে গ্রেপ্তার করে।
র্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মিঠুন চন্দ্র হত্যার কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে কোম্পানি কমান্ডার বলেন, প্রায় ১ বছর ২ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের মাধ্যমে রুবিনা ও মিঠুনের পরিচয়। পরে তারা বিয়ে করেন। শুরুর দিকে সম্পর্ক ভালো থাকলেও পরবর্তীতে দাম্পত্য কলহ এবং একে অন্যকে পরকীয়ার সন্দেহ করায় সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
“মিঠুন চন্দ্র ঘোষ বিভিন্ন সময় রুবিনা আক্তারকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। এ বিষয়ে ভিকটিম রুবিনা আক্তার থানায় লিখিত অভিযোগ জানালে মিঠুন তাকে ছেড়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন।”
এক পর্যায়ে রুবিনা মিঠুনকে ভরণ-পোষণ ও দেনমোহরের টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে মিঠুন বলেছেন, “ভরণ-পোষণ চাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি স্ত্রী রুবিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী গত ৪ জুন বিকালে সুমা রানী ঘোষের (৩২) এর মাধ্যমে রাজকন্যা বিউটি পার্লারে প্রবেশ করেন এবং আরেক সহযোগী রাকিবকে (২৮) পার্লারের বাইরে পাহারায় বসিয়ে রাখেন।”
সেখানে প্রবেশের পর সুমা রানীর সহায়তায় রুবিনাকে হত্যা করে তার ব্যবহৃত স্মার্ট ফোন, স্বর্ণের কানের দুল নিয়ে পালিয়ে যান মিঠুন।
এ ঘটনায় রুবিনার মা আছিয়া বেগম বাদী হয়ে গাজীপুর সদর থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় অভিযান চালিয়ে পাবনা সদর থানার দিলালপুর নারিকেল বাগান এলাকার মৃত বাবলুর বাসায় আত্মগোপনে থাকা মিঠুন চন্দ্র ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় র্যাব।
এ সময় রুবিনার দুটি টাচ ফোনও জব্দ করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার গাজীপুর সদর থানা পুলিশ মৃদুলের সহযোগী আদাবই এলাকার রফিকুল ইসলাম এবং সদর উপজেলার খুদে বরমী এলাকার সুমা রানী ঘোষকে গ্রেপ্তার করে। এ দুজনও হত্যায় জড়িত থাকার কথা আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার ওসি মো. জিয়াউল ইসলাম।
মন্তব্য করুন: