‘পরিপূর্ণ টয়লেট তবেই পরিপূর্ণ বাড়ি’ শীর্ষক প্রচারাভিযান মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুর বঙ্গতাজ মিলনায়তনে উদ্বোধন করা হয়। |
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকার ৪০ শতাংশ টয়লেটে সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল নেই। প্রায় ৫০ শতাংশ টয়লেটে সেপটিক ট্যাংক থাকলেও সোকওয়েল নেই। এসব অপরিপূর্ণ বা আংশিক পরিপূর্ণ টয়লেট থেকে মল এবং বর্জ্য পানি সরাসরি ড্রেনে বা খোলা জায়গায় যাচ্ছে। এতে করে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুর বঙ্গতাজ মিলনায়তনে ‘পরিপূর্ণ টয়লেট তবেই পরিপূর্ণ বাড়ি’ শীর্ষক প্রচারাভিযান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানান গাজীপুর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে টঙ্গী উন্মুক্ত থিয়েটারে মাধ্যমে একটি সচেতনতা মূলত নাটক ও তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা নগরবাসীকে নিরাপদ স্যানিটেশনের প্রয়োজনীয়তা ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর আচরণগুলো পরিবর্তন করে সুস্থ আচরণে অভ্যস্থ ও সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল স্থাপনে উদ্যোগী হওয়ার কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরন বলেন, ‘বাসা বাড়িতে নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে আমাদের প্রয়োজন নাগরিকদের সহযোগিতা। বাড়িতে যদি টয়লেটের সঙ্গে সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল না থাকে তবে সরকার গৃহীত পদক্ষেপগুলো সফল হবে না। আমরা নগরব্যাপী পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট নিশ্চিতে এই ক্যাম্পেইন শুরু করেছি। আমরা নিশ্চিত করতে চাই গাজীপুর নগরের প্রতিটি বাড়ির টয়লেটের সঙ্গে সেপটিক ট্যাংক ও সোকওয়েল থাকবে।’
সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, নাগরিকদের সুস্থতা ও নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত করতে পয়ঃবর্জ্য শোধনাগার স্থাপন, টঙ্গীতে সুয়ারেজ শোধনাগার নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এছাড়া যান্ত্রিক পদ্ধতিতে সেপটিক ট্যাংক থেকে মল অপসারণ এবং পরিবেশের ক্ষতি না করে বিশেষভাবে তৈরি গাড়ির মাধ্যমে নিরাপদে পরিবহন করে শোধনাগারে নিয়ে পরিশোধনের ব্যবস্থা করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ( যুগ্ম সচিব ) এ এস এম সফিউল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ( যুগ্ম সচিব ) মো. মোতাহার হোসেনসহ কাউন্সিলর ও সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।
মন্তব্য করুন: