
করেসপন্ডেন্ট, গাজীপুর
দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে এক মাস সময় চেয়েছেন গাজীপুর সিটির সাময়িক বরখাস্ত ও পরে পদত্যাগ করা মেয়র ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কমিশনের উপপরিচালক মো. আলী আকবর (অনুসন্ধান ও তদন্ত) বরাবর পাঠানো চিঠিতে তিনি এ সময় আবেদন করেন।
চিঠিতে জাহাঙ্গীর আলম উল্লেখ করেন, ‘গত ১৬ মে আপনার (মো. আলী আকবর, উপপরিচালক, দুদক) সই করা দুটি নোটিশ গ্রহণ করি। নোটিশে আমাকে আগামী ২১ মে সকাল ১০টায় সংশ্লিষ্ট অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হতে অনুরোধ করা হয়। এত সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে আনীত অভিযোগের ব্যাপারে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দাখিল বা বক্তব্য দেওয়া আমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব। যথাযথ দফাওয়ারি জবাব দাখিল বা বক্তব্য দেওয়ার জন্য আমার এক মাস সময় প্রয়োজন।’
সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ ও সংশ্লিষ্ট অভিযোগের ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আমাকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হতে এক মাস সময় বাড়িয়ে শুনানির জন্য পুনরায় তারিখ নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন বলে আশা করছি।’
এর আগে গত মঙ্গলবার দুটি আলাদা নোটিস পাঠিয়ে ২১ ও ২২ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে দুদক প্রধান কার্যালয়ে তলব করে কমিশনের দুটি অনুসন্ধান টিম। দুই টিমের অপর দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান ও মো. আলিয়াজ হোসেন।
দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে এক মাস সময় চেয়েছেন গাজীপুর সিটির সাময়িক বরখাস্ত ও পরে পদত্যাগ করা মেয়র ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে কমিশনের উপপরিচালক মো. আলী আকবর (অনুসন্ধান ও তদন্ত) বরাবর পাঠানো চিঠিতে তিনি এ সময় আবেদন করেন।
চিঠিতে জাহাঙ্গীর আলম উল্লেখ করেন, ‘গত ১৬ মে আপনার (মো. আলী আকবর, উপপরিচালক, দুদক) সই করা দুটি নোটিশ গ্রহণ করি। নোটিশে আমাকে আগামী ২১ মে সকাল ১০টায় সংশ্লিষ্ট অভিযোগের ব্যাপারে বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হতে অনুরোধ করা হয়। এত সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে আনীত অভিযোগের ব্যাপারে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জবাব দাখিল বা বক্তব্য দেওয়া আমার পক্ষে প্রায় অসম্ভব। যথাযথ দফাওয়ারি জবাব দাখিল বা বক্তব্য দেওয়ার জন্য আমার এক মাস সময় প্রয়োজন।’
সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে চিঠিতে আরও বলা হয়, ‘অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ ও সংশ্লিষ্ট অভিযোগের ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আমাকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হতে এক মাস সময় বাড়িয়ে শুনানির জন্য পুনরায় তারিখ নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন বলে আশা করছি।’
এর আগে গত মঙ্গলবার দুটি আলাদা নোটিস পাঠিয়ে ২১ ও ২২ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে দুদক প্রধান কার্যালয়ে তলব করে কমিশনের দুটি অনুসন্ধান টিম। দুই টিমের অপর দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান ও মো. আলিয়াজ হোসেন।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নে গতকাল বুধবার দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘অভিযোগ সংশ্লিষ্ট জড়িতসহ অন্যান্যদের বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন শেষ সময়ে তার (জাহাঙ্গীর) বক্তব্যে দেওয়ার সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন, এজন্য তাকে ডাকা হয়েছে। এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। নির্বাচনের সঙ্গে দুদকের কার্যক্রমের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
আলী আকবর ও আশিকুর রহমানের সমন্বয়ে অনুসন্ধান টিম যে অনুসন্ধান করছে এতে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হতে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে, আলী আকবরের নেতৃত্বে আলিয়াজ হোসেনকে নিয়ে অপর অনুসন্ধান টিমের কাছে অভিযোগ- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ও সিটি করপোরশেরন কতিপয় ঠিাকাদরের বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
তলবের দিন হাজির হওয়ার সময় জাহাঙ্গীর আলমকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রেকর্ডপত্র সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত ওই দিন দিন হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে অভিযোগের বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দুদকের কাছে আসা অভিযোগে বলা হয়, তিন বছরের বেশি সময় মেয়র থাকাকালীন সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন খাতে ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত তিনি। তার বিরুদ্ধে বিশ্ব ইজতেমার খরচের ভাউচারে অনিয়ম, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়ম, সড়ক প্রশস্তকরণের নামে জমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে আত্মসাৎ, ভুয়া টেন্ডার, আরএফকিউ, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, হাট-বাজার ইজারার অর্থ যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে।
জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং দুদকের তদন্ত শেষ করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে এবং ওই তদন্ত ও অনুসন্ধান শেষ করতে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের রহিম সরকার নামে এক বাসিন্দা হাইকোর্টে একটি রিট করেন। পরদিন এ রিটের শুনানির পর ছয় মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করতে দুদককে নির্দেশ দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
আলী আকবর ও আশিকুর রহমানের সমন্বয়ে অনুসন্ধান টিম যে অনুসন্ধান করছে এতে জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে অভিযোগ- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হতে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎসহ ভুয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ রয়েছে।
অন্যদিকে, আলী আকবরের নেতৃত্বে আলিয়াজ হোসেনকে নিয়ে অপর অনুসন্ধান টিমের কাছে অভিযোগ- গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুর রহমান ও সিটি করপোরশেরন কতিপয় ঠিাকাদরের বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
তলবের দিন হাজির হওয়ার সময় জাহাঙ্গীর আলমকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য রেকর্ডপত্র সঙ্গে আনতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত ওই দিন দিন হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে অভিযোগের বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য হবে বলে নোটিশে বলা হয়েছে।
জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে দুদকের কাছে আসা অভিযোগে বলা হয়, তিন বছরের বেশি সময় মেয়র থাকাকালীন সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন খাতে ৭ হাজার ৪০০ কোটি টাকার দুর্নীতি ও অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত তিনি। তার বিরুদ্ধে বিশ্ব ইজতেমার খরচের ভাউচারে অনিয়ম, নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক প্রশস্তকরণের কাজে অনিয়ম, সড়ক প্রশস্তকরণের নামে জমি অধিগ্রহণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ না দিয়ে আত্মসাৎ, ভুয়া টেন্ডার, আরএফকিউ, বিভিন্ন পদে অযৌক্তিক লোকবল নিয়োগ, একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পে দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ, হাট-বাজার ইজারার অর্থ যথাযথভাবে নির্ধারিত খাতে জমা না রাখাসহ নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে।
জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং দুদকের তদন্ত শেষ করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে এবং ওই তদন্ত ও অনুসন্ধান শেষ করতে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের রহিম সরকার নামে এক বাসিন্দা হাইকোর্টে একটি রিট করেন। পরদিন এ রিটের শুনানির পর ছয় মাসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করতে দুদককে নির্দেশ দেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
মন্তব্য করুন: